আমরা অনেকেই ছবি দেখি। কেউবা দেখার মত করে দেখি কেউ বা মনের আনন্দে দেখি।আমরা যারা দেখি তারা কিন্তু খুব সহজেই একটি মুভি দেখে নেই। কিন্তু একটি ছবির গল্প সেখানে কিন্তু শেষ হয় না। সেই মুভিটি কারও কারও মনে গেঁথে থাকে অনেক বছর। আপনি অনেক মুভি দেখেছেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন কিছু মুভি আছে যা আপনার মনের থেকে কখনো মুছে যায়নি। এমনই একটি মুভি যে আপনি এখনো না দেখে থাকলে দেখে নিবেন। মুভিটি একসময় খুব জনপ্রিয় মুভি হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল। বর্তমানে ও এর জনপ্রিয়তা কোন অংশে কমেনি।
বরং আধুনিক যুগে এমন ছবি খুব কমই দেখা যায়। ছবিটির নাম সবাই শুনেছেন। অনেকেই দেখেছেন আবার অনেকেই দেখেননি। আপনি এখন অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আমি কোন ছবিটার কথা বলছি। “মোহাব্বাতিন”যারা এই ছবিটি দেখেছেন তাদের তো কোন কথাই নেই কিন্তু যারা দেখেননি তাদেরকে বলব সময় পেলে দেখে নিবেন। শাহরুখ খানের অনেক জনপ্রিয় ছবি আছে। তবে এই ছবিটি সবার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মোটামুটি ব্যবসাসফল একটি রোমান্টিক ছবি। ছবিটির নায়িকা সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রায়। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন।
অবশ্য ছবিটির কাহিনী পুরোপুরি অমিতাভ বচ্চন কে ঘিরে। কিন্তু পরিচালকের অসাধারণ কারিশমায় সাধারণ একটি গল্প যে এতো সুন্দর হতে পারে তা না দেখলেই নয়। তবে সবচাইতে মজার ব্যাপার যেটি সেটি হলো এই ছবির থেকে এর গান গুলো অনেক জনপ্রিয়। এর একটি গান, যে গানে অভিনয় করেছিল শাহরুখ ঐশ্বরিয়া রায়। পর্দা এরা শুধু ঠোঁট মেলালে ও গানের কলি সাথে অস্বাভাবিক এবং স্মরণীয় করে রাখার মত অভিনয় করে গেছেন তারা। আজও ইউটিউব এ গানটির ভিউ অনেক গান কে ছাড়িয়ে গেছে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমি সেই গানটির কথা বলছি যা একসময় মানুষ মুখে মুখে গাইতো।
হিন্দি ভাষা তখনও অনেকেই বোঝেন না। তবে এই ছবির গল্পটি একদম সহজ এবং সরল। তবে শাহরুখের অভিনয়ের কথা অনেকেই জানেন। নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। বরাবরই তার প্রতিটা ছবি বক্স অফিসে হিট করে।বলিউডে যে কজন নায়ক আছে তাদের মাঝে শাহরুখ খানকে কিং খান বলে ডাকা হয়। অবশ্য কিং হওয়ার পিছনে তার যে পরিশ্রম ও সাধনা সেটা খুব কম লোকই জানেন। একদিন এসে শাহরুখ খান হয়নি। অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দেওয়ায় নায়ক বর্তমানে ও সমান জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তায় তার এখনও ভাটা পড়েনি। বিবাহিত এই নায়কের বিবাহিত গল্পটাও একটা গল্প। বাস্তব জীবনে শাহরুখ খান মুসলমান হলেও তিনি বিয়ে করেছেন হিন্দু নারীকে। বর্তমানে গৌরি খান হিসেবে তাকে সবাই চিনে থাকবেন। তবে স্বামী-স্ত্রী দুজনে ভিন্ন ধর্মের হলেও তাদের সংসারের উপরে এর কোনো প্রভাব পড়ে না।
খুব স্বাচ্ছন্দে তাদের সংসার জীবনযাপন সার্থক হয়ে গেছে।বর্তমানেও একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন সংসার ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। ঐশ্বরিয়া রায়ের কথা সবাই অনেক আগেই জেনে গেছেন। নতুন করে বলার কিছু নেই।আসলে বড় বড় স্টার দের নিয়ে লিখতে অনেক ভয় হয়।আমরা যতটুকু জানি এবং যতটুকু প্রতিভা আছে তার চাইতে তাদের প্রতিভাগুলো একটু অন্যরকম।তারা এখন যে পর্যায়ে চলে গেছে তা মন্তব্যেরও সীমানা অতিক্রম করেছে। ভারতে তারা এতটাই জনপ্রিয় যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না অনেকে তাদের মূর্তি বানিয়ে পূজা করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে তা আমরা জানতে পারি। বিনোদন সংবাদ 18 নিউজ হচ্ছে কিং খান।
তবে এমন সফল মানুষদের নিয়ে লিখতে সবারই ভালো লাগে। তবে সফলতাগুলো লিখে শেষ করা যাবে না।বাস্তব জীবনেও তারা সফল পর্দার জীবনেও তারা সফল। তবে একটি কথা না বললেই নয়। যেটি দিয়ে শুরু করেছিলাম তাহলে মহব্বত ইন ছবিটি। এই ছবিটির গল্প লোকেশন এবং গান এক কথায় অসাধারণ। 90 দশকের পরে তৈরি করা হলেও বর্তমানেও ছবিটিই অনেক জনপ্রিয়।বিশেষ করে বর্তমান যুগের ছবিগুলো দেখলে তাদের অভাব গুলো বোঝা যায়। মারমার কাটকাট ছবি না হলেও ছবিতে জনপ্রিয় হয় সেটা প্রমাণ তারা অনেক আগেই করে গেছে।
এই ছবির একটি গান আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাচ্চা ছেলে মেয়েদের মুখেও শোনা যায় হামকো হামসে পেয়ার হে, দিলমে কাহি তুম ছুপা লো। হো না যায়ে হোনা যায়ে, পাস আও গালেমে লাগজায়ে। আসলে এই গানটির প্রতিটি লাইন অসাধারণ। গানটি যতটা না অসাধারণ তার চাইতে গানটির ভিতরের ভিডিও লোকেশন ও এর সাথে অভিনয় করা শিল্পীদের দ্বারা এটি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা লাভ করে। এখনো গানটির জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি। তবে কাহিনী আমরা অনেকেই জানি অনেকেই জানিনা।
তবে কাহিনীর বিষয়টি না হয় নাই বললাম। সেটা আপনারা যখন ছবি দেখতে পারবেন তখন বুঝতে পারবেন। তবে এই ছবিতে শুধু শাহরুখ এবং ঐশ্বরিয়া যে জনপ্রিয়তা নয়।এখানে অভিনয় করা আরও কিছু শিল্পী আছেন যারা ছবিটিকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ দাতাদের ও পাওয়ার যোগ্য। তাছাড়া ছবির বিশেষ আকর্ষণ ছিল অমিতাভ বচ্চন। পুরো পৃথিবীতে এমন কি এশিয়া মহাদেশে যে সকল দেশ আছে প্রায় সকল দেশের লোক অমিতাভ বচ্চন কে চেনেন। আমাদের দেশে তো কথাই নেই। অমিতাভ বচ্চন কে চেনেন না এমন লোক হয়তো আমাদের দেশে খুব কমই আছে।
আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আর বিলাসবহুল জীবনে টিভির পর্দা থেকে বারবার দেখা যায় তিনি হলেন অমিতাভ বচ্চন। অমিতাভ বচ্চনের যে জনপ্রিয়তা তা বলিউডে খুব কম উপভোগ করতে পারেন। শিক্ষা রাজনীতি এমনকি বলিউডপাড়ায় যার নাম গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয় সেই নামটি হল অমিতাভ বচ্চন। বচ্চন পরিবারের নাম ডাক্তার মাধ্যমে ছড়িয়েছে।ভারতের এক জরিপে দেখা গেছে এখনো আমিতাভ বাচ্চান আগের চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয়।তার লম্বা ক্যারিয়ারে তিনি কখনও ট্রোলের শিকার হননি। যা অন্যান্য নায়কেরা অনেকবার হয়েছে।
একটি বিশেষত্বই অমিতাভ বচ্চন কে এনে দিয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। ছবিটি নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। এই ছবিটির মাঝে অনেক টুইস্ট আছে। যা আপনারা যখন দেখবেন তখন তার প্রতিটা স্টেজে স্টেজে মজা পাবেন। সেই মজাটা নষ্ট করতে চাইনা। যারা বলিউডের ছবি দেখতে ভালোবাসেন। তারা অবশ্যই জীবনে একবার হলেও ছবিটি দেখবেন। আপনার ছবি দেখার অভিজ্ঞতা তাই পাল্টে যাবে।
আমরা যারা প্রথমদিকে ছবিটি দেখি তখন তো আমরা কেঁদে ফেলেছিলাম। তো বন্ধুরা আমার বিশ্বাস যে ছবিটি মনোযোগ সহকারে দেখবে তার চোখ থেকে দু ফোঁটা অশ্রু ঝরতেই হবে। তবে বন্ধুরা ছবিটি কখনো টেনে টেনে দেখবেন না। এর পূর্ণাঙ্গ টুইস্ট গুলো আপনারা মিস করবেন। সম্ভব হলে পুরো ছবিটি দেখুন একটানা। এখন তো বিরতি বিরতি কিছু নেই। হলেই আপনারা বিরতিহীনভাবে ছবিটি দেখতে পারবেন।
সুতরাং বন্ধুরা বলবো যদি এখনও যারা এই ছবিটি দেখেন নি তারা প্লিজ দয়া করে একবার ছবিটি দেখবেন। হিন্দি ছবির জগতে এই “মোহাববাতিন” ছবিটি একটি জনপ্রিয় নাম। পুরো ভারতবাসী ছবিটিকে অনেক দিন মনে রাখবেন। বিনোদনপ্রেমী মানুষদের কাছে ছবিটি আজও একটি ভালো ছবির উদাহরণ। এমন ছবি এ যুগে খুব কমই পাওয়া যায়। ভালো নির্মাতার ভালো মানের একটি ছবি একটি ছবিকে যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখে। আমরা অবশ্যই ভালো ছবি দেখব। তবে বন্ধুরা সত্যি বলছি ছবিটি দেখলে সত্যি-সত্যি কান্না চলে আসবে। আপনার কাছে হয়তো হয়ে উঠতে পারে এটি আপনার দেখা সেরা একটি ছবির মধ্যে অন্যতম।