আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে আমাদের নিত্যব্যবহার্য একটি বস্তু হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। সময় যত বাড়ছে এ ফোনের চাহিদা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু-কিশোর থেকে বয়স্করা পর্যন্ত বর্তমানের এই ফোনের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। সেই সাথে ফোন নির্মাতারাও পাল্লা দিয়ে তাদের ফোন বাজারে বের করছে। প্রত্যেকটা সময় সবাই চেষ্টা করে তাদের নিজ নিজ ব্র্যান্ড কে সবার থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করার জন্য।
মানুষের কাছে কোন দিকটা কে কখন আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায় তারই চেষ্টা করে ফোন কোম্পানিগুলো। যেহেতু আমরা সব সময় চাই সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালোটা চাই আমরা আমাদের এই নিত্যপ্রয়োজনীয় মোবাইল ফোন অনেকটা যাচাই-বাছাই করে কিনতে পছন্দ করি। প্রত্যেক ফোন কোম্পানি তাদের নিজেদের নামকে ক্রেতাদের মাঝে আরও বেশি ভালো করে প্রচার করতে চায়। আর এই ইউনিকনেস প্রকাশ করার জন্য বাহ্যিক পরিবর্তন যে রকমের জরুরী ঠিক তেমনি ভাবে অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও জরুরী। আর এই অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন বুঝা যায় ফোনের ইউজার ইন্টারফেস পর্যবেক্ষণ করে। আমরা সাধারণত একে সংক্ষেপে UI বলে ডাকি।
ইউজার ইন্টারফেস:
আমরা ফোনের ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানি আবার অনেকেই তেমন কিছুই জানি না। এটি ফোনের অপারেটিং সিস্টেম নয়। যদি আপনারা তা মনে করে থাকেন তাহলে ভুল করবেন। একটি ফোনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে যে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করা হয় তাকে কাস্টমাইজ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ইউজার ইন্টারফেস। এটি অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম কে আরো আকর্ষণীয় ভাবে গ্রাহকের নিকট উপস্থাপন করে।
বিভিন্ন ধরনের ফোন তাদের নিজেদেরকে আলাদা করে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করে থাকে। এর সাহায্যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে বেশ কিছুটা নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া যায় এবং এর সাথে নতুন কিছু অপশন যুক্ত থাকে। বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফাংশন পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি হয় একেকটি থেকে আলাদা।
আমরা অনেকেই ইউজার ইন্টারফেস সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখি। বিভিন্ন ফোন তাদের ইউনিকনেস প্রকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইউজার ইন্টারফেস হলো oxygen OS, যা আপনারা one plus ব্র্যান্ডের ফোনগুলোতে পেয়ে যাবেন। Samsung এ ব্যবহার করা হয় one UI, XIAOMI তে ব্যবহার করা হয় তাদের নিজস্ব MIUI। এছাড়া INFINIX এ ব্যবহার করা হয় XOS , আর Vivo তে ব্যবহার করা হয় FUN TOUCH OS। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেকবারই কিছু ফোনে থাকে পিওর স্টক এন্ড্রয়েড।
সত্যিকার অর্থে ইউজার ইন্টারফেস মোবাইলের সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়া তেমন কোনো কাজেই আসে না। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা এই সকল ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করার বদলে স্টক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। যাইহোক ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কিছু উপকারিতাও রয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের আইকন, স্ট্যাটাস বার সহ আরো বিভিন্ন জিনিস নিজের ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
একেক ধরনের ইউজার ইন্টারফেসের ক্ষেত্রে আপনি একেক ধরনের সুবিধা পাবেন। এসকল ইন্টারফেস আবার অনেক সময় ফোনের ওভার অল পারফরমেন্স কে স্লো করে দেয়। এছাড়া যদি ইউজার ইন্টারফেস আপডেট করার পর সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনাকে নতুন আপডেট আসা পর্যন্ত বা সমস্যা দূর না করা পর্যন্ত মোবাইলকে নিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে।