স্ন্যাপচ্যাট আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ভারত এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফটো শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন স্ন্যাপচ্যাট(Snapchat)। এটি ভারতের তৈরি একটি সফটওয়্যার। গত বছরের শেষে ভারতের বাজারে প্রবেশ করার পর এতদিন পর্যন্ত হিন্দি,মাতারি,গুজরাতি এবং পাঞ্জাবি ভাষায় ব্যবহার করা যেত। কিন্তু বর্তমানে এখন আরো পাঁচটি ভাষা সংযুক্ত করা হয়েছে এই স্ন্যাপচ্যাটএ। এটি মূলত ছবির মাধ্যমে মেসেজ পাঠানোর মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
এটি বর্তমানে এখনো প্রায় নটি ভারতীয় ভাষায় এই অ্যাপ্লিকেশনটি গ্রাহকরা ব্যবহার করতে পারবেন। ভারত যেহেতু বৃহত্তম জনবহুল একটি দেশ সেখানে বাংলা ভাষাভাষী অনেক লোক থাকার সুবাদে এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে বাংলা যুক্ত করে এখন সফট্ওয়ারটি বাংলাদেশে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় এই স্ন্যাপচ্যাট এর সংস্থাটির তরফ থেকে। এতে বলা হয়, এতদিন পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ৪টি ভাষার ব্যবহার করতে পারতেন। অন্যান্য ভাষাভাষীরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারতেন না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে অবশেষে আরো ভাষা সংযুক্ত করলো সংস্থাটি। এবার থেকে বাংলা,কন্নড়,মালায়ালম, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় ব্যবহার করা যাবে।
বর্তমানে ইন্সট্রাগ্রাম হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটো শেয়ারিং অ্যাপ এটি মূলত ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
মূলত একে টেক্কা দিতে ভারতের সব ভাষাভাষীদের জন্য উপযোগী সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করে সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাচ্ছে স্ন্যাপচ্যাটের মূল কোম্পানি স্ন্যাপচ্যাট ইনকর্পোরেশন। এভাবে জনপ্রিয় হতে থাকলে আগামীতে ইনস্টাগ্রাম কেও ছাড়িয়ে যাবে স্ন্যাপচ্যাট। এটি আরও ইনস্টাগ্রাম থেকে ডাবল সুবিধা নিয়ে কেমনে গ্রাহকদের মন জয় করা যায় এ নিয়েই কাজ করছে সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে স্ন্যাপচ্যাট ইনকরপোরেশনের ইন্টার্নেশনাল মার্কেটসের এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নানা মুরুগেসান বলেন, আমরা আরো গভীরভাবে গবেষণা চালাচ্ছে যাতে ভারতে থাকা সমস্ত সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে আমরা এই সুবিধাটি পৌঁছে দিতে পারি। আমরা কিভাবে এই অ্যাপের নতুন ফিচারগুলিতে আমাদের দেশে ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও সৌন্দর্য গুলিকে সারা বিশ্বে ফুটিয়ে তোলা যায় তা নিয়ে আমাদের অবিরাম চেষ্টা চলছে।
এই নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে গত বছর থেকে এ বছরে প্রতিদিন স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে সংস্থাটির ধারণা।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, এই স্ন্যাপচ্যাট সফটওয়্যারটি মূলত কারা তৈরি করেছে?
এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইভান স্পিজেল,র্যেগি মার্ফি এবং ববি মার্ফি। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এত অল্প সময়ে এটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে প্রায় ২২০ মিলিয়ন মানুষ।
কত বছর ভারতে আসার পর প্রথম অফিস তৈরি করা হয় মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইতে। তারপর থেকে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই সফ্টওয়ারটি। এমনি কি দেশের বাজার ধরে রাখতে স্থানীয় বিজ্ঞাপনদাতাদের পাশাপাশি ব্যবহারকারী ভারতের সব ভাষাভাষীদের পছন্দের দিক দিয়ে নজরে এসেছে সবার।