Mashrafe Bin Mortaza
২২ গজে পা দুটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে দৌড়ে এসে বিপক্ষ দলের উইকেট নেওয়ার নাম।
২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক আছেন একজনই,তিনি কারো কাছে বন্ধু,কারো কাছে আবার বড় ভাই।তিনি একজনই মাশরাফি বিন মোর্তাজা।
যিনি নিজের কথা না ভেবে কলার উচিয়ে ঘাড়ের রগ বাকা করে প্রতিপক্ষের শিবিরে আঘান হানেন।
যার ২ পায়ে ৭ টা অস্ত্রোপচার করার পরেও দেশের হয়ে খেলে যাচ্ছেন।
যিনি ২০১৫ বিশ্বকাপে টাইফয়েড এর আক্রান্ত ছেলের কথা না ভেবে দেশের হয়ে খেলতে চলে গেলেন।
গত ২/৩ দিন আগে বঙ্গবন্ধু বিপিএল এর চলমান একটি ম্যাচ বা হাতের আঙ্গুলে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন।সবাই জানে এই মাশরাফি কে দমিয়ে রাখা যাবে না।হাতে ১৪ টা সেলাইকরে,ব্যান্ডেজ করা হাত নিয়ে নেমে গেলেন পরবর্তী ম্যাচ এ।কারন যে ঐএকটাই,তিনি মাশরাফি, তিনি আহত যোদ্ধা।
কেউ কেউ বলছে মাশরাফি আগের থেকে লোভি হয়ে গেছে।
আচ্ছা, ভাই,আপনি যখন চাকরি থেকে অবসর এ যাবেন তখন আপনার কোনো কাজ থাকবেনা,তখন আপনার কর্মস্থলের কেউ আপনাকে চিনেও না চিনার মত থাকবে।আর আমাদের দেশের জনগণের একটা খারাপ স্বভাব হলো,যে উপকার করে কিংবা দেশের হয়ে কোনো কৃতিত্ব অর্জন করে তখন কিছু দিন স্বাগতম জানায়,এর পর সবাই তাকে ভুলে যাই। আর মাশরাফি অবসর এর পর দেশের সেবা করতে চান বলেই রাজনীতি তে নাম লিখিয়েছেন।
কারো সমালোচনা করার আগে দেখবেন তার ভালো দিক বেশি নাকি খারাপ দিক বেশি?
এক মাশরাফি যদি না থাকতো তাহলে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া বাংলাদেশকে ছোট মনে করে থাকতো।
অনেকে বলতে পারেন আমি আবেগী..আচ্ছা ভাই কারো সম্পর্কে কিছু লিখলেই যে আবেগী হয়ে যায় সেটা কোথায় লিখা আছে দেখাবেন আমায়?
এটা আবেগ না এটা হলো ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। আজ কাল কম বেশি সব তরুণদের আইকন হলো মাশরাফি। বাংলাদেশের ক্রিকেট এ এক মাশরাফি ছিলো আর আছে আর এই এক মাশরাফি থাকবেই।
জীবন পথে সাহস নিয়ে চলুন
জীবনে বাধা আসবেই, তবুও এগিয়ে যেতে হবে পথ চলতে গিয়ে বাধা আসবেই এটাই স্বাভাবিক,কিন্তু আমরা অনেক সময় এই বাধাটাকে...