এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধারনা ঃ
অনলাইনে আয় করার মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচেহে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।এফিলিয়েট মার্কেটিং হল অর্থাৎ কোন ব্যবসার প্রোডাক্ট,সাইট বা সুবিধা গুলকে প্রচার করার মাধ্যমে আয় করা।বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা দিয়ে থাকে।এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যাই।তার মধ্যে সবচেহে বড় একটি সাইট হল আমাজন।আপনি যদি আমাজন এফিলিয়াট মার্কেটিং করে সফলতার সাথে সর্ব নিম্ন ৫০০ ডলার থেকে ১,০০০ ডলার বা তার বেশি উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনার জন্য নির্দিষ্ট দুইটা পদ্ধতি আছে। এই দুইটা পদ্ধতির যে কোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার স্বপ্নের আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করতে পারেন।এফিলিয়েট মার্কেটিং শিকতে হলে প্রথমে আপনাকে এটার জন্য কোর্স করতে হবে।কোর্স করার মাধ্যমে আপনি পারদরসি হতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন সুবিধা আছে।যেমনঃ
এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি বড় সুবিধা হলো আপনি একটি থাকলে ও ইনকাম এবং ইনএকটিভ থাকলেও ইনকাম হবে ।মোট কথা আপনার ইনকাম বন্ধ হবে না । এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ স্বাধীন ভাবে কাজ করা যায় । এটি সর্ম্পন আপনার উপর। আপনি ভালো ইংরাজী না জানলেও চলবে । এখানে কাজের জন্য কোন ধরনের বিড করতে হয় না , এখনে ইনকামের কোন লিমিট নাই । আপনি যত বেশি কাজ করবেন ততবেশি ইনকাম করতে পারবেন ।
এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য ৬ টি বিষয়ের উপর গুরত্ত দিতে হবে।যথা ঃ
১ঃপ্রচেষ্টা
২ঃসময়
৩ঃকৌশন
৪ঃটাকা
৫ঃধৈর্য
৬ঃবিশ্বাস
৬টি বিষয় আপনার মাঝে থাকলে আপনি এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করে সফল হবেন।এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি সফল হতে হলে আপনার প্রচেষ্টা থাকতে হবে কারন এটি প্রতিযোগিতামূলক বিসনেস।তাই আপনার প্রচেষ্টা থাকতে হবে।সময় আপনাকে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য যতেষ্ট সময় নিয়ে কাজ করতে হবে কারন এটি আপনার ক্ষনস্থায়ী বিসনেস নয় এটি দীর্ঘস্থায়ী বিসনেস । অনেকে প্রথম কয়েক মাস কাজ করে হাল ছেড়ে দেয় যার কারনে সফল হওয়া যায় না ।এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন যে কাজের উপর সে কাজের উপরে আপনাকে কৌশলী হতে হবে।আর দরকার হচ্ছে টাকা,এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিসনেসকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য টাকার প্রয়োজন।অনেক এ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ফ্রি ট্রাফিক ব্যবহার করে ইনকাম করতে চায় কিন্তু এতে ভালো ফলাফল আসেনা।পেইড ট্রাফিক যারা ব্যবহার করে তাদের ফলাফল অনেক ভালো হয়।আর এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবচেহে বাশি দরকার ধৈর্য।কারন ধৈর্য ছারা কোন কিছু করা যায় না।নিজের প্রতি অনেক বিশ্বাস রাকতে হবে।কিছু টপ এ্র্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান কারি হলো Ebay,Amazon,Google, ইত্যাদি।সারা পৃথিবীর মানুষ টাকার পিছনে ছুটছে। চাকরি করার পাশাপাশি আরও দু পয়সা ইনকাম করার জন্য সবাই মরিয়া। বেকারত্ব আমাদের পিষে মারছে। তো এমন পরিস্থিতিতে আমরা যদি অল্প খরচে অল্প কিছু সময়ে অল্প কিছু কাজ করে টাকা আয় করতে পারি।একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কোন কোম্পানিতে যোগদান করতে চাইলে সেই কোম্পানি নির্বাচন করা উচিত যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ে বিশেষজ্ঞ।জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কোনোটা নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই যেখানে আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলে নিজেকে মনে না করেন। বরং এমন জায়গা নির্বাচন করা ভালো যেটাতে আপনার যথেষ্ট আগ্রহ আছে।শুরুতে যত্নবান হওয়াটা জরুরি। তাই জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনটা নির্বাচন করা প্রয়োজন যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা যায়।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য জায়গা নির্বাচনের পরেই আপনাকে আপনার পছন্দের পণ্য বা সার্ভিস নির্বাচন করে নিতে হবে।অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনি আরো অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত হবেন। নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে এটি ভূমিকা রাখে।ইমেইলের মাধ্যমে বা অন্যান্য ব্লগার অথবা অনলাইন মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করে একে অন্যের পণ্যের অ্যাডভারটাইজ দিতে পারেন।
আপনার অ্যাফিলিয়েট বিজনেসকে ভালভাবে ডেভেলপ করার জন্য যা যা করতে পারেনঃ
১ঃআপনার টার্গেটেড ট্রাফিক আকর্ষণ করুন
২ঃপে-পার-ক্লিক অ্যাড লিখুন
৩ঃস্টাডি করুন এবং অন্য অ্যাফিলিয়েটদের থেকে শিখুন
৪ঃসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে
৫ঃগুণগত মানের দিকে লক্ষ্য রাকতে হবে
মনে রাকবেন একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নিজস্ব আলাদা অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে। এটা কাস্টমারের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না এবং এতে নির্ধারিত পণ্যের মূল্যও পরিবর্তন হয় না। কেউ যখন ওই লিংক ক্লিক করে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কোন পণ্য ক্রয় করে তখন অ্যাফিলিয়েট সেই ক্রয়ের কমিশন পাবে। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে আপনি কতটা আয় করবেন তা ওই পণ্যের দাম এবং কমিশন পার্সেন্টেজের ওপর নির্ভর করবে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই আপনার একটা টার্গেট ডেমোগ্রাফি থাকবে। আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন এমন ভাবে দিতে হবে যেন টার্গেট ডেমোগ্রাফি সংখ্যক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে।পরিশ্রম এবং কৌশল অনুযায়ী কাজ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা অত্যন্ত সহজ এবং সম্ভব।এই রুলস না মানা হয় তাহলে মনে হয় না আপনি উপার্জন করতে পারবেন। তাই সবসময় আপনাকে এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আশাকরি আপনি তাদের রুলস ফলো করে একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেন। এটি একটি ছোট উদাহরণ। আরও অনেক বড় বড় এফিলিয়েট কোম্পানি আছে যা আপনি গুগুল এ সার্চ করলেই পাবেন।
সবাই ভাল এবং সুস্থ থাকবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
বন্ধুগণ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আশা করি শীতের এই তিক্ত সময়েও আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ...