সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ভিডিও ছবি বা মিমি ভাইরাল হয়ে থাকে তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতে এক সপ্তাহের জন্য কেউ না কেউ ভাইরাল হয়েই থাকে । । প্রতিনিয়ত মিমি ভাইরাল হয়ে থাকে ইন্টারনেটে এসকল মিমি কখন হাসিয়ে ছাড়ে কখনো বা আবেগ বাড়ায় । আবার কখনও বা অবিশ্বাস্য ভিডিও তুলে ধরে। কিন্তু বর্তমানে নতুন যে ট্রলটি বের হয়েছে তারা কফিনের সাথে ড্যান্স করছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মিমিটি অনেক ভাইরাল হয়েছে ।। কিন্তু আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এরা কারা এবং কেনইবা এরা স্যুট বুট পরে ড্যান্স করছে কফিনের সাথে।।
আসলে এই ব্যক্তিরা ঘানাতে বসবাস করে এবং ঘানাতে একটি কম্পানি রয়েছে যেখানে তাদের কাজ হলো কফিন বহন করা ।এখন প্রথম কথা হলো এরা কফিন নিয়ে ড্যান্স করে কেন?? এরা কি মানুষ মারা গেলে খুশি হয়??
আসলে বিষয়টা হচ্ছে এটি কোন পুরাণো কোনো ইতিহাস নয় । এটি কিছু বছর আগে শুরু হয়েছে ঘাণাতে ।এখন বলে রাখি কেন এটি করা হয়েছিল ।।
সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে আত্বীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবাই দঃখী হয় কিন্তু অনেক মানুষ ভাবে যে তাদের প্রিয়জনের মৃত্যুতে তারা আনন্দের সাথে বিদায় দিবে ।যাতে তার আত্মা খুশির সাথে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে পারে। আর এজন্য এটি করা হয়েছে । ।
আসলে আপনি যে ভিডিওটি দেখছেন সেটি রেকর্ড করে আমেরিকান এ ব্লগার একটি একটি ইভেন্ট থেকে । যেখানে মৃত ব্যক্তি ছিলেন ঘানার এক নাগরিক এলিজাবেথ আনান এর মা। তার মায়ের ইচ্ছা ছিল তার মৃত্যুতে যেন কেউ দুঃখ না পায় ।। এজন্য এলিজাবেথ আনান বেঞ্জামিন কোম্পানিকে সার্ভিস দিতে বলেছিলেন। এবং সে আমেরিকান ব্লগার সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড় ফলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ঘানাতে যে বেঞ্জামিন নামে বড় কম্পানিটি রয়েছে তারা এ কোম্পানিটি শুরু করেছিল নতুন এক আইডিয়া দিয়ে। আপনারা ভিডিওটি ইন্টারনেটে মিমির সঙ্গে দেখেন এখানে এমন কিছু চেহারা ব্যবহার করা হয়েছে যা বর্তমানে অনেক পরিচিত হয়েছে এবং ব্লগারদের কাছে থেকে পেয়েছে সন্মান।
ভিডিও সাথে যে মিউজিক শোনা যায় তা অ্যাস্ট্রোনমিয়া ।।অ্যাস্ট্রোনমিয়া আসলে ভিডিও মিউজিক যা ২০০৮ সালে বানানো হয়।এর মিউজিকটি ওই ড্যান্সের সাথে অনেকটা মিলে যায় ফলে উক্ত ব্লগাররা অ্যাস্ট্রনমিয়ার মিউজিকটিকে ওই ড্যান্সের সাথে ব্যবহার করে।
এখন পুরো পৃথিবীতে এই ভিডিও নিয়ে ট্রল চলছে প্রতিটি যোগাযোগ মাধ্যমে এটি যায়গা করে নিয়েছে। আজএই মহামারীতে যখন কোটি কোটি মানুষ লকডাউনে রয়েছে এবং অনেক মৃত্যু হচ্ছে অনেক মানুষের তবুও এর মধ্যে খুশির একটু চমক পাওয়া যাচ্ছে এ ভিডিও থেকে। মানুষকে লকডাউনে রাখতে ভিডিওটি নিয়ে অনেক ট্রল দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও দিনে দিনে ভিডিওটি সবাইকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।।