আমাদের মাঝে প্রায় সময় প্রায় মানুষকেই ঘাড় ব্যথার কথা বলতে শুনি। এটা হওয়ার কিছু সাধারন বিষয় রয়েছে। যেগুলো মেনে চললে ঘাড় ব্যথা সহজের রোধ করা সম্ভব। এদের মধ্যে, সঠিক বিছানা ও বালিশ ব্যবহার অপরিহার্য। বিছানা খুব শক্ত হলে মেরুদন্ডের প্রাকৃতিক আকার শোয়ার পরে ঠিক থাকবে না।
আবার বিপরীতে, বিছানা যদি খুব বেশি নরমও হয়, তবুও ঘাড়ের তথা মেরুদণ্ডের প্রাকৃতিক আকার আরো বেশি বেঁকে যাবে। তাই বিছানা ও বালিশ নির্বাচনের সময় খুব শক্ত আবার খুব নরমের মাঝামাঝি একটা অবস্থান নির্বাচন করা উচিত। এক্ষেত্রে নারিকেলের সোবা ও শিমুল তুলা দিয়ে তৈরি তোষক ব্যবহার করা ভাল। তাই মেরুদন্ডের কার্ভ ঠিক রাখতে খুব শক্তওনা আবার খুব নরমও না এরকম বিছানা নির্বাচন করা উচিত।
এবার আসি বালিশের কথায়। কি হওয়া উচিত বালিশের বৈশিষ্ট্য। বালিশের কাজ হচ্ছে মাথা ও ঘাড়কে একটা সঠিক অবস্থানে রাখা। এর কারনে ঘাড় ডানে ও বামে, সামনে ও পিছনে বাকা হওয়া থেকে পজিশন ঠিক রাখে। আপনি দেখে থাকবেন যে, যদি আপনি চিৎ হয়ে ঘুমান তবে বিছানার বালিশটা অত বড় না হলেও চলে।
কারন সে সময় পিঠের উপরিভাগের সাথে মাথার পিছনের আনুপাতিক দূরত্ব কম থাকে। আবার অনেকে আছেন ডানে বা বামে কাত হয়ে ঘুমান তাহলে ওনার বালিশটার আকার একটু বড় করার প্রয়োজন হবে। কারন ঐ সময় ব্যক্তির মাথা ও ঘাড়ের সাথে কাঁধের দূরত্ব কয়েক ইঞ্চি বেশী হয়ে থাকে।
এবার ভেবে দেখুন, আপনার শোয়ায় ব্যবহৃত বালিশের অবস্থানের কারনে আপনার ঘাড় ব্যথা হতে পারে। আবার দেখুন, বালিশ বেশি উঁচু বা বেশি বড় হলেও সমস্যা হয় না যদি তা পরিমিত নরম থাকে। এই অবস্থানে মাথা ও ঘাড় নিদিষ্ট স্থান দখল করে। আর তখন, ঘাড় ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার দেখা যায় বালিশ, ঘাড়ের পুরুপুরি সাপোর্ট দেয় না। সেক্ষেত্রে আমরা সাপোর্ট হিসেবে বালিশে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি নরম রোল ব্যবহার করতে পারি।
বালিশ ব্যবহারে অসতর্ক হলে আপনার যে সব সমস্যা হতে পারে, আসুন জেনে নিই।
* ঘাড় সহনীয় ও অসহনীয় ব্যথা হতে পারে।
* একই রকমভাবে কাঁধে ব্যথা হতে পারে।
* শরীরের সাথে কাঁধের সংযোগস্থলে ব্যথা হতে পারে।
* হাতে ঝিন ঝিন ও অবস ভাব আসতে পারে।
* সেই সাথে কখনো কখনো মাথা ব্যথাও হতে পারে।