আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে আপনাদের যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।
এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আজ আমি নিয়ে এসেছি সপ্তম শ্রেণির চতুর্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
(ক)একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে তোমার কি কি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করে।
উত্তরঃএকজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য আমার যা যা করণিত রয়েছেঃ
একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সুনাগরিক।কেউ সুনাগরিক হয়ে জন্মগ্রহন করে না।সুনাগরিক গুনাবলি অর্জন করতে হয়।রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে সুনাগরিক হতে চাইলে একজন নাগরিককে তিনটি মৌলিক গুণের অধিকারী হতে হবে।তা হলোঃ
১.বুদ্ধি
২.আত্নসংযোম
৩.বিবেক বিচার
১.বুদ্ধি নাগরিকের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।বুদ্ধিমত্তা অর্জন করার সবচেয়ে মূল্যবান উপায় হলো শিক্ষা লাভ করে জ্ঞান অর্জন করা। অতএব নাগরিকদের যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে কারণ বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, দক্ষতার পরিচালনা,রাষ্ট্রের উন্নয়ন সফলতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখতে পারে।
২.আত্নসংযমঃসুনাগরিককে আত্নসংযমী হতে হবে।আত্নসমংযম নাগরিককে অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে।দেশ এবং সমাজের কল্যাণে কাজ করতে এবং নিয়ম মেনে চলতে অনুসরন করে। রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য কাজ করে।তাই সংযমী হওয়া ছাড়া রাষ্ট্রের সুনাগরিক হওয়া সম্ভব না।
৩.বিবেকঃবিবেক বিচার বলতে বোঝায় ভালো মন্দের জ্ঞান,দায়িত্ব কর্তব্যের জ্ঞান।একজন নাগরিককে শুধু বুদ্ধিমান ও আত্নসংযমী হলেই চলবে না যেকোনো কাজ সস্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে কোনটা ভালো না মন্দ।মন্দ কাজটি পরিহার করে ভালো কাজটি করতে হবে।এছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্র এর যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে হলে নাগরিক তার বিবেক দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উল্লেখিত গুনগুলো ছাড়া একজন সুনাগরিকের আরও কতগুলো গুণ থাকা প্রয়োজন। যেমনঃসুনাগরিকের দেশের শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে,অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো মনোভাব থাকতে হবে,আইনশৃঙ্খলা মানতে হবে,আত্নবিশ্বাসী ও দৃঢ় মনোভাবের অধিকারী হতে হবে এবং দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখত হবে।
(খ) তোমার এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার কি কি নিয়ম মেনে চলা হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা কর।
উত্তরঃ নির্বাচনি আচরণবিধিঃ
নির্বাচন কমিশনের একটি অন্যতম কাজ হলো নির্বাচন আচরনবিধি তৈরি করা। কারণ স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ আইন পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত। এ লক্ষ্যে নাগরিকরা নির্বাচনের সময় কি ধরণের আচরণ করবে তার একটি তালিকা তৈরি করে দেয়।আর এটাই হলো নির্বাচনি আচরণবিধি।আমার এলাকায় নির্বাচন এর সময় সেসব নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলা হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
১.মনোনয়মত্র জমা দেওয়ার সময় সভা কিংবা মিছিল করা যাবে না।
২.দেওয়ালে কোন কিছু লিখা কিংবা পোস্টার ছাপানো যাবে না।
৩.কোন রাস্তা কিংবা সড়কে জনসমাবেশ করা যাবে না।
৪.রশিতে পোস্টার কিংবা প্ল্যাকার্ড ঝোলানো যাবে না।
৫.প্রচারের জন্য কোন গেইট কিংনা আলোকসজ্জা করা যাবে না।
৬.মোটর সাইকেল কিংবা কোন যানবাহনে মিছিল করা যাবেনা।
৭ নির্বাচনের ক্যাম্পে ভোটারদের কোন উপহার, খাদ্য ও পানীয় পরিবেশন করা যাবে না।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামন। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন
Topic keyword: চতুর্থ সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২, চতুর্থ সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২, চতুর্থ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২, চতুর্থ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২