আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। প্রতিদিনের মতন আজ ও আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি খেলাধুলার জগৎ নিয়ে।আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন যে অ-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ উঠে গেছে। আর প্রতিপক্ষ ভারত বলেই হয়তো ভয়টা একটু বেশি।গত বছরেই অ-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে আমরা ভারতের যুবাদের কাছেই হেরেছি। শুধু যে ছোটদের কাছেই নয় আমাদের জাতীয় দল ও অনেকবার বড় বড় টুর্নামেন্ট গুলোতে ভারতের কাছে হেরেছে।এসব মনে করলেই চোখে ভেসে ওঠে নিদাহাস ট্রফি, টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ফাইনাল এর ম্যাচ গুলো।যুবারা কি পারবে এসব আক্ষেপ সব ধুয়ে মুছে দিতে?
এসব তো গেল ভক্তদের মনের ভেতরের ভয়ের কথা।অন্যদিকে গতকাল সেমিফাইনালের ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে দলের ক্যাপ্টেন কি বলেছেন? আকবর আলী বলেছেন যে আমরা আমাদের ন্যাচারাল খেলাটাই খেলতে চাই ফাইনালে,কোনো প্রকার চাপ অনুভব করছি না।ইনশাআল্লাহ মাঠে আমাদের সেরাটা দিতে পারলে ম্যাচ আমাদের পক্ষেই থাকবে। আবার অন্যদিকে সেমিতে জয়ের নায়ক মাহমুদুল ম্যাচ শেষে যেন সাংবাদিকদের সামনে এসে খুশিতে কথায় বলতে পারছিলেন না।শুধু এটুকু বললেন যে গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের একটি ম্যাচে ৯৯ রানে আউট হয়ে যাই,আজকেও খেলার সময় সেই বিষয় মাথায় আসে যে কোনোভাবেই আউট হওয়া যাবেনা,আস্তে আস্তে সিংগেল বের করে এগিয়ে যেতে হবে।অবশ্য সেটি পেরে গেছি,আর ভাল ও লাগছে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন তবে পরের বলেই আউট না হয়ে খেলা শেষ করে আসতে পারলে আরো বেশি ভাল লাগতো।
আপনারা কি জানেন এই জয়ের নায়ক মাহমুদুল এর ক্রিকেটে আসার পেছনের কাহিনী? ছোটবেলা থেকেই জয়(মাহমুদুল) ছিলেন ক্রিকেট পাগল ছেলে,পড়াশোনায় মনযোগ একদমই ছিল না।একবার জয়ের বাবা রাঙামাটিতে বেড়াতে যান,সেখানে জয়ের এক আর্মি চাচা থাকতো।জয়ের চাচা কে তার বাবা নালিস করেন যে ছেলে তো একদমই পড়াশুনা করতে চায় না,সারাদিনে খেলাধুলায় মগ্ন।কি করা যায়? এসব শুনে জয়ের চাচা তাকে একসময় সাভার বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেন।এরপর থেকেই শুরু হয় জয়ের সবকিছু জয় করা গল্পের।তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।অ-১৭,অ-১৯ এভাবেই আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে থাকেন।আর এখন তো বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছেন।
ভাগ্য সহায় থাকলে হয়তো ইতিহাস গড়ে ফেলতেও পারেন। গতকাল ম্যাচ শেষে সাংবাদিকরা মাঠে উপস্থিত কিছু বাংলাদেশী দর্শকদের ও প্রশ্ন করেন যে কি মনে হয়,পারবে কি এই দলটা বিশ্বকাপ এনে দিতে? দর্শকদের একটাই জবাব ছিল হ্যা অবশ্যই আমরা এবার পারবোই।এত কষ্ট করে যখন ফাইনালে উঠেছি তখন আর ছেড়ে দেবনা। আশা করা যায় ফাইনাল ম্যাচে বিপুল সংখ্যক বাঙালী দর্শক মাঠে এসে জুনিয়র টাইগারদের সমর্থন দিবে। আর কোনো আক্ষেপ আমরা চাইনা,আর কোনো দীর্ঘশ্বাস ফেলতে চাইনা।একবার বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই হ্যা আমরাও পারি।
দি কেপ্টেইন ফ্যান্টাসি
- ইনি এক মাত্র ব্যক্তি যার হয় তো ১৭ কোটি বাঙালির মধ্যে ১৭ টাও হেটার পাওয়া যাবে না।যাকে আজ বাঙালির...