“Tecno” গত ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে একটা স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে যার নাম “TECNO Camon 15 Pro“।এর সব কিছুই জানা গেছে এতদিনে। আমি সিফাত আজকে আপনাদেরকে “TECNO Camon 15 Pro” এর সম্পূর্ণ রিভিউ দিব তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক ।
ডিজাইন
এর সামনের দিকে দেওয়া হয়েছে “গ্লাস”। তবে এখানে কি বা কোন গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে তা বলা হয় নি, তবে আমার মনে হয় যে “গোরিলা গ্লাস 3” ব্যবহার করা হয়েছে। আর পছনে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিক। তবে প্লাস্টিক দিলেও কি হবে এখানে এমন ভাবে এর ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে যে দূর থেকে দেখলে গ্লাসই মনে হবে। এর ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিকের । এখানে নানা রকম ক্লার হয়েছে দেওয়া হয়েছে যা থেকে আপনি আপনার মনের মত ক্লার বেছে নিতে পারবেন। তাছাড়াও এর ডিজাইন দেখতে অসাধারণ । আমার মতে এর ডিজাইনে একে ১০ এ ৫ দেওয়া যায়।
ডিসপ্লে
এতে ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে ” আইপিএস ডিসপ্লে” যার আকার হচ্ছে 6.6 ইঞ্চি এবং এর রিফ্রেশ রেড দেওয়া হয়েছে 90 হার্জ। এই ডিসপ্লেতে যেকোন ভিডিও ১০৮০পি তে দেখা যাবে। আর এখানে ডিসপ্লের ভিতরে কোন ক্যামেরা নাই যার ফলে পুরো ডিসপ্লে জুরে ভিডিও দেখার আনন্দ পাচ্ছেন।
প্রসেসর
এতে ব্যাবহার করা হয়েছে”Mediatek Helio P35″।এটি একটি 12 নেনমিটারের প্রসেসর। পাবজির মত বড় সাইজের গেম চালাতে সামান্য একটু সমস্যায় পড়তে হবে, তবে গেম বাদে যেকোনো কিছু খুব ভালো মতো চলবে। এতে রয়েছে মোট ৮ টি কোর।
১ম ৪ টি কোরের স্পিড হচ্ছে 2.35 গিগাহার্জ যা “Cortex-A53” বেস করে চলবে।
পরের ৪টি কোরের স্পিড হচ্ছে 1.8 গিগাহার্জ যা “Cortex-A53” বেস করে চলবে।
এখানে জিপিউ হিসেবে থাকছে “PowerVR GE8320″।
এই প্রসেসর দিয়ে লং-টাইম গেমিং করলে এর তাপমাত্রা বেড়ে ৪৫°+ সে. এ চলে যায়।
এর র্যাম মেনেজিং দেখে আমি সত্যই অনেক অবাক হয়েছি কারন এটি একসাথে অনেকগুলা এপ মেনেজিং করতে পারে।
র্যাম রম
এখানে রম হিসেব থাকবে 6 জিবি এবং র্যাম হিসেবে থাকবে 128 জিবি। তাছাড়াও এখানে এসডি কার্ডের ব্যবহার করা সুবিধা আছে যা সর্বচ্চ 256 জিবি পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্যামেরা
এখানে ক্যামেরা হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন তৃপল রিয়ার ক্যামেরা। যার মেইন ক্যামেরা 48 মেগাপিক্সেল । আর এখানে ৮ মেগাপিক্সেল একটা আল্ট্রাওয়াড্র ক্যামেরা আছে । এখানে আরও পাচ্ছেন ২ মেগাপিক্সেলের ডেপ স্নেসর । তাছাড়াও এখানে পেয়ে যাচ্ছেন লো লাইট স্নেসর। ক্যামেরা দিয়ে মোটামুটি ভালো মনের ছবি পাওয়া যায় তবে রাতে এর ছবিগুলা অসাধারণ হয় এর মূল কারণ হলো এর লো লাইট স্নেসর । আর ক্যামেরা বেশি ক্ষন চালালে ফোন গেম খেলার মত গরম হয়ে যায় যা খুবই বিরক্তিকর। এর মেইন ক্যামেরা দিয়ে আপনি ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। তবে এখানে থাকছে না কোন অপ্টিকাল ইমেজ ইস্টেবালাইজ। তবে হাতে শক্ত করে ধরলে ভালো মানের ভিডিও পাওয়া যায়।
সেলফি ক্যামেরা
এখানে সেলফি ক্যামেরাতে পেয়ে যাচ্ছেন মোটর ওয়াইস পপ আপ ক্যামেরা যার মেগাপিক্সেল হচ্ছে 32।
এই ক্যামেরা দিয়ে বেশ ভালোই ছবি তোলা যায় যদি ভালো আলো থাকে তাহলে। আর এটা দিয়ে ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। আর থাকছে না কোন অপ্টিকাল ইমেজ ইস্টেবালাইজ।
ব্যাটারি
তে ব্যাবহার করা হয়েছে 4000 এমএইচ ব্যাটারি যা দিয়ে এই ফোন আরাম চেয়ে দিন চলে যাবে। তবে আমার মনে হয় রাত শেষে সামান্য একটু চার্জ দিতে হবে। তাছাড়াও একটানা গেম প্লেইং করলে এভারেজে ৪ ঘন্টা পাড় করে দেওয়া যাবে আর শুধু শোসাল মিডিয়া চালালে দিন রাত নরমালি চলে এবং সকালে কিছুটা চার্জ বাকি থাকবে।
চার্জিং
এই ফোনের বক্সের সাথে দেওয়া হয়েছে 10/15 ওয়াড্রের চার্জার যা ব্যবহার করে ফোনটি ১.৫ ঘন্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে । তবে আমার মনে হয় যে এটি তার চেয়ে খানিকটা দেরি হবে।
স্নেসর
এখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় স্নেসর আছে। তবে সব চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এখানে 3.5 এমএম অডিও জ্যাক আছে। এখানে চার্জিং প্রোট দেওয়া হয়েছে “টাইপ-সি”। তাছাড়াও এখানে রয়েছে পিংজার প্রিন্ট যা পিছে আছে।
দাম
এর দাম ধরা হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় ১৯০০০।
তবে এর দাম যদি আর সামান্য কিছু কম রাখা হত তাহলে মনে হয় ভালো হত।
ধন্যবাদ। কমেন্ট করে জানান যে কেমন লাগলো আপনার এই ফোনটি। আর কিছু দিনের মধ্যে আরেকটি ফোনের রিভিউ আসছে তাই পাশে থাকুন।