পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজে রাখা হয়নি মোস্তাফিজে।
একের পর এক টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়াই মোস্তফিজের বাদ পরার মূল কারণ।তাছাড়া বড় কোন দলের বিপক্ষে মোস্তাফিজ বরাবর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
তার বাদ পরার বিষয়ে নির্বাচক হাবিবুর বাসার বলেন “আমাদের বোলিং ইউনিটের বড় শক্তি মোস্তাফিজ কিন্তু তার ধারাবাহিক বাজে পারফরমেন্স আমাদের ভাবাচ্ছে।চলতি সিরিজে তাকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে।এইটাকে বাইরে বলবোনা শুধু ওকে সময় দেয়া হচ্ছে।যাতে সে চলতি বিসিএল এ পারফর্ম করে আবার দলে আসতে পারে”
এইদিকে চলতি বিসিএলও ব্যর্থ মোস্তাফিজ।প্রথম ম্যাচে ১০৬ রানের বিপরীতে ছিলেন উইকেট শূন্য।তিনি সেন্ট্রাল জোনের হয়ে খেলছেন এবারের বিসিএল।
দর্শকের মতো বিসিবিও আশাবাদি মোস্তাফিজকে নিয়ে।সে বড় মানের খেলোয়ার, সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বিসিএল এ ভাল পারফর্ম করে ফিরে আসবে দলে।
দলে মোস্তফিজের পরিবর্তীত খেলোয়ার হিসেবে নেওয়া হয়েছে বুবেল হোসেনকে।বিসিবি জানায় বুবেল সম্প্রতিক দারুন ফর্মে আছে।চলতি বিসিএল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এ সে ভাল করতেছে।
সদ্য শেষ হওয়া টিটুয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থ দল।সবেমাত্র বিপিএল খেলা যাওয়া দলের পারফরমেন্সে হতাশ বিসিবি।
টিটুয়েন্টি সিরিজে বোলিং থেকে শুরু করে ব্যাটসম্যান সবাই ব্যর্থ।তামিম ইকবাল ছাড়া তেমন কেউ নামের প্রতি সুবিচার করতে পারিননি।এবার টেস্ট সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছে ভক্তরা।
পাকিস্তানের মাটিতে অনেক দিন পর খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল।বিদেশের মাটিতে দল খুব একটা ভাল ফর্মে নেই।ম্যাচটা যদি হয় টেস্ট তাহলে বেশি ভোগায় দলকে।তার চেয়ে বড় কথা নিয়মিত মুখ মোস্তাফিজকে ছাড়া দল কতটা ভাল করে তা সময়ই বলে দিবে।
মোস্তাফিজকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে ভারতের বিপক্ষে।তিন ম্যাচের সিরিজে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।ঐই ম্যাচে ছিলেন উইকেট শূন্য।এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে টিটুয়েন্টি ম্যাচেও ছিলেন উইকেট শূন্য।যতো তাড়াতাড়ি এই বোলার ফর্মে ফিরবেন ততই বাংলাদেশ দলের জন্য মঙ্গলজনক।
অপরদিকে দলের বড় তারকা সাকিব আল হাসান নেই দলে।তার শূন্যতা ভালই ভোগাচ্ছে দলকে।সামনে টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কতটা ফর্ম নিয়ে তিনি দলে ফিরতে পারবেন তা দেখার বিষয়।
এবারের বিপিএলএ দারুন ফর্মে থাকা তরুণদের কতটা কাজে লাগাতে পারে বিসিবি তা সামনে বিশ্বকাপই বলে দিবে।
আপাতত চলতি টেস্ট সিরিজ নিয়ে কাজ করতেছে দল।দলে নেই আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুসফিকুর রহিম।তার জায়গায় কে অন্তর্ভুক্তি হতে যাচ্ছেন তা এখনও নিশ্চিত করেনি বিসিবি।
তবে আশায় বিষয় চলতি বিসিএলে রান পাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ তামিমরা।
শেষ ম্যাচে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল।৪০৭ বল খেলে ৩৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।৪৪ টি বাউন্ডারির মার ছিল তার ইনিংসে।প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বশেষ তার ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি আসে ২০১৫ সালে।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এইটিই সর্বোচ্চ ইনিংস।
কোটি ভক্ত আর ক্রিকেট প্রেমিকের আশা থাকবে চলতি পাকিস্তান সফরেও তামিমের ব্যাট হাসুক।তার ব্যাট হাসলেই বাংলাদেশ দল বড় পুজি পাবে,মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকবে পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা।আর ব্যাটসম্যানদের লড়াকু পুজির উপর ভর করে পার্থক্য গড়ে দিবে বোলাররা।এই আশা আমাদের সবার।