কেশরাজ গাছের সাধারণত রস ব্যবহার করা হয় অনেক কাল আগে থেকে।কেশরাজ গাছ ৫০/৬০ সেমি বড় হয়।এই গাছের অনেক শাখা প্রশাখায় পাতা, ফুল ও ফুল থাকে।পাতা ও ফলের রং সবুজ হয়।পাতা ৫/৬ সেমি বড় হয়।ফল গুলো পাকলে মাটিতে পড়ে এবং নতুন গাছের জম্ম হয়।
কেশরাজ গাছের অনেক গুণ রয়েছে।এতে রয়েছে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডে লোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইোসাইড,ট্রিটারপেন।
কেশরাজের উপকারীতাঃ
(১)কেশরাজ চুলের জন্য মহাঔষধ।এর রস চুলকে শক্তিশালী এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ করে।
(২)কেশরাজ চুল গজাতে সাহায্য করে।প্রতিদিন কেশরাজের রস ও তেল মিশ্রিত করে চুলের তালুতে দিলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
(৩)কেশরাজের কালো রস চুলকে আরও কালো করে এবং চুলের সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে।যারা অল্প বয়সে সাদা চুল নিয়ে সমস্যায় পড়েন তাদের জন্য কেশরাজের রস খুব ভালো ফল দিবে।
(৪)কেশরাজের রস তেলের সাথে মিশ্রিত করে চুলে লাগালে চুল দ্রুত লম্বা হয়।
(৫) চুলের যাবতীয় সমস্যা গোড়া ফাটা,চুল রুক্ষ হওয়া ইত্যাদিতে কেশরাজের রস অনেক উপকার করে।
(৬)কেশরাজের রস মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
(৭)কেশরাজের রস চুলকে ঘন কালো দীর্ঘস্থায়ী রাখতে সাহায্য করে।এর রস চুলকে ঝলমলে করে তোলে।
(৮)কেশরাজের উপাদান টাক মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কেশরাজের আরও অনে গুণ রয়েছে। যা আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেশরাজের রস লিভার ও কিডনীর জন্য অনেক উপকারী। এটি লিভারের প্রদাহ ও জন্ডিস দূর করতে সাহায্য করে।কেশরাজের রস কৃমি থেকে মুক্তি দেয়।কেশরাজের রস রক্তের ক্ষতিকারক উপাদান নষ্ট করে দেয়।এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কেশরাজকে অনেকে কেশুতি বা কালো কেশী বলে চেনে।এর অনেক আঞ্চলিক নাম রয়েছে।কিন্তু এটি আমাদের চারপাশে হয় আমরা না বুঝে উঠিয়ে ফেলি। কেশরাজ বছরের সবসময় পাওয়া যায়।এই গাছগুলো যেকোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে।ছাঁদে টবেও এদের লাগানো যেতে পারে।এরা প্রচুর পরিমাণে জম্মে।এদের তেমন যত্ন ও করতে হয় না।
কেশরাজ গাছের অনেক উপকার রয়েছে।আশেপাশে বিনা যত্নে এরা জম্মায়।দৈহিক সুস্থতা আর চুলের যত্নে এটি অনেক ভূমিকা রাখে। তবে এ গাছ গর্ভবতী ও নবজাতকের জন্য ক্ষতিকর।