সুপ্রিয় দর্শক মন্ডলী আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু কেমন আছেন আপনারা সকলে আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
এবং করনা মহামারীর করনে যে যার অবস্থানে খুবই সতর্ক আছেন।
তো সু’প্রিয় দর্শক মন্ডলী আপনারা সকলে হয়তোবা টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন যে আজকের পোস্ট কি নিয়ে।
৯ম শ্রেনীর শিক্ষাথীদের অ্যাসাইমেন্ট এর উত্তর আমি নিচে আপনাদের মাঝে উপস্থিত করেছি।
আমি আশা করি আপনারা যদি সুন্দর ভাবে বাংলার পাশাপাশি আরবি গুলো খাতায় লিখতে পারেন, তাহলে আমি অবশ্যই বলবো এই বিষয়ে আপনার A+ নিশ্চিত।
তো এবার খাতা কলম নিয়ে তৈরি হয়ে যান, লিখার জন্য।
নবম শ্রেণীর আরবি দ্বিতীয় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর।
আরবিতে অনুবাদ:
পিতা মাতার সম্মান করা আবশ্যক।
*يجب احترام الوالدين.
**সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।
**وجوب إجابة السلام.
নিতে এখানে ক্লিক করুন
আর হ্যা, আপনারা যদি আরো নতুন নতুন বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই grathor.com চ্যানেলটি এখনই subs করে রাখুন।
(And yes, if you want to know more about new things, you must subscribe to grathor.com channel now.)
(বিষয়: পিতা-মাতার প্রতি করুনীয়।)
قال أمك ثم من قال أمك … ثم أبوك
হাদিসাংশের ব্যাখ্যা :
ইসলামের দৃষ্টিতে – আল্লাহ ও তার রাসূলের পরে বান্দার হকের মধ্যে পিতা – মাতার হক হচ্ছে সর্বাগ্নে । এই পিতা – মাতার মধ্যে মাতার অধিকার পিতার চেয়েও বেশি যা হাদিস শরীফে স্পষ্টভাবেই বর্ণিত হয়েছে । এর যৌক্তিক কিছু কারণ বা ব্যাখ্যা মুহাদ্দিসগণ দিয়েছেন ।
১. মা – ই তাে সন্তান গর্ভে ধারণ করেন । গর্ভ ধারণকালীন সময় অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে দীর্ঘ নয় মাস অতিযত্নের সহিত রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রসবকালীন অসহনীয় কষ্ট সহ্য করেন । যে কষ্ট পিতার হয় না । আল্লাহ ইরশাদ করেন , حملته أمه گرها ووضعته گرها:
12 সন্তানকে দীর্ঘ দুটি বৎসর যাবত স্তন্য পান করান এবং লালন – পালন করেন ।
৩. শৈশবকালীন সন্তানের লালন – পালন ও পরিচর্যার দায়িত্ব একমাত্র মা – ই পালন করেন । তাই হাদিস শরীফে মাকে পিতার উপর অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
م الحكم في المملة منع الوالدين إن كان شركة أو راغبة عن الإسلام
পিতা – মাতা অমুসলিম হলে কুরআন ও হাদিসের নির্দেশ মত তাদের সাথে সম্মান ও সদাচরণ করতে হবে । যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- “ وبالوالدين الحانا – মাতা – পিতার প্রতি সন্মান ও সদাচারণ প্রদর্শন কর । ” এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে অমুসলিম পিতা – মাতার প্রতি কি ধরনের আচরণ করবে ? এই প্রশ্নের জবাবে- ইসলামি পণ্ডিতগণ দুই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করেছেন ।
১./ পিতা – মাতা অমুসলিম হলেও তাদের সাথে সম্মান ও সন্ধ্যবহার করতে হবে । আলােচ্য হাদিসটিই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।
২/ মাতা – পিতা যদি অমুসলিম হয় এবং তাঁরা যদি ইসলামি শরীয়া বিরােধী কোন কাজের নির্দেশ দেন তবে তাদের এরূপ নির্দেশ পালন করা অবশ্যই জায়েজ নাই । কেননা হাদিস শরীফে এসেছে , لا طاعة لمخلوق في معصية الخالقيات
অর্থাৎ স্রষ্টার নাফরমানীতে কোন সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না । الأحكام
পিতা – মাতা অমুসলিম হলেও তাদের সাথে সুন্দর আচরণ ও দেখাশুনা করা প্রতিটি মুসলিম সন্তানের জন্যে অপরিহার্য কর্তব্য ।
কেননা জাগতিক বিষয়ে কাফেরদের সাথে সুন্দর আচরণ করা জায়েজ ।
আলােচ্য হাদিসই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ।
প্রতিটি মানুষ শিশু অবস্থায় খুব অসহায় থাকে । বাবা – মা তাকে অনেক কষ্ট সহ্য করে ছােট থেকে বড় করেন । আর এইতাে বাবা – মা যখন বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হবে , তখন ছেলেদের ওপর কর্তব্য হলাে তাদের খেদমত করা ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন- وقضى ربك ألا تعبدوا الا اياه وبالوالدين اخانا . إما يبلغن عندك الكبر أحدهما أو كلاهما فلا قل لهما أف ولا تنهرهما وقل لهما قولا كريما .
এ আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের পরই বাবা – মায়ের খেদমত করা , তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করা । বিশেষ করে যখন তারা উভয়ে অথবা একজনে বৃদ্ধ বয়েসে উপনীত হয় তাদের সাথে রুঢ় ভাষায় কথা বলা যাবে না ; বরং অত্যন্ত সুন্দর ও কোমল ভাষায় কথা বলতে হবে ।
যদি পোস্ট টি অসুন্দর কিংবা লেখায় যদি ভুল থেকে থাকে তাহলে ক্ষমা, সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর যদি মনে হয় আমার লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে আর যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না আর যদি আপনাদের বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
এবং আপনারা কি ধরনের পোষ্ট পেতে চান তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
****হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন মাক্স পড়ুন এবং নিরাপদ থাকুন সামাজিক ডিসটেন্স বজায় রাখুন।
লেখক: মুহাম্মাদ সজিব মৃধা
(আল্লাহ হাফেজ)