১. গ্যাস্ট্রিক
বাস, ট্রেন, স্টেশন, বাজার, অলিতে-গলিতে সর্বত্র ইদানিং আপনি হজমের ঔষধপত্রের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি দেখবেন অথবা গুলি, বড়ি বটিকা, দানা, মিকচার ইত্যাদির বিক্রেতা পাবেন। সকলেই দাবী করে, এটা গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদির রোগ নিরাময়ের একমাত্র মহৌষধ। বর্তমানে দেশে পাকস্থলীর রোগ ব্যাধি নিরাময়ের জন্য যত ঔষধ-পত্র তৈরি হচ্ছে এবং অন্যান্য রোগের জন্য হবে, তন্মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম চিকিৎসা হল, পায়ে হাঁটা এবং চলাফেরা করা। আমরা যখন ঘি দিয়ে পাকানো সুস্বাদু খাদ্য খেয়ে চেয়ারে বসে থাকি এবং চলাফেরা করি না, তখন উক্ত খাদ্য পঁচে যায়। ফলে তা রোগ প্রতিষেধক হওয়ার পরিবর্তে রোগ জীবাণুতে পরিণত হয়।
২. কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
এটি একটি কঠিন সমস্যা। ঔষধ পত্র, বটিকা, ফাইল ইত্যাদি খেলে যদি এর উপশম হয়, তবে তো ভাল। অন্যথায় রোগী চিকিৎসার সাথে সাথে যদি পায়ে হেঁটে চলাফেরা শুরু করে দেয় তবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ইনশাআল্লাহ পরিত্রাণ পাবে।
৩. হৃৎপিণ্ডের রোগব্যাধিঃ
হৃৎপিণ্ড একটি ক্রিয়াশীল অঙ্গ। এটা গতিশীলতাকে পছন্দ করে। কিন্তু হৃৎপিণ্ড বাহক মানুষ অধিক অলসতা করে এবং কাজ থেকে বিরত থাকে। সুতরাং মানুষ যদি হৃৎপিণ্ডের ন্যায় সচল ও সক্রিয় না হয় তবে হৃৎপিণ্ড অকেজো হয়ে যায়। তারপর একে সক্রিয় ও সচল করার জন্য চিকিৎসার নিমিত্তে বিভিন্ন উপায়-উপকরণ ও পন্থা অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু তাও অকেজো হলে অনেক ঝটিলতা দেখা দেয় এবং পরে এর চিকিৎসার একমাত্র উপায় হচ্ছে হাঁটা।
৪. মেদ ভূঁড়ি
মেদভূঁড়ি কি অপ্রতিরোধ্য! আদৌ নয়। এর যথাযথ চিকিৎসা রয়েছে। একবার এক পুলিশ অফিসার মেদভূঁড়ি কমানোর অভিযোগ নিয়ে এক চিকিৎসোকের কাছে যায়।
সে তাকে কিছু ঔষধপত্র দেয় এবং প্রত্যহ ৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটতে বলে। সে এর প্রতি মনোনিবেশ করে এবং নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে। ফলে মাত্র ৪০ দিন পর তার পেট ও শরীর স্বাভাবিক হয়ে যায়। এমনকি পরিশেষে তার জামা-পায়জামা ছোট করার প্রয়োজন হয়।
৫. অর্শ্বরোগ
কোন কোন ভাষায় অর্শ্বরোগকে “বসা রোগ” বলা হয়। কেননা পায়ে চলাফেরা করে এমন ব্যক্তিদের অর্শ্বরোগ কম হয়। এ রোগের চিকিৎসা যদি পায়ে চলা দ্বারা করা হয় তবে বহু উপকার হয়। বাত আক্রান্ত অর্শ্বরোগী অবশ্য চলতে পারে না। কিন্তু তবু তারা যখন পায়ে চলা শুরু করে দেয় এবং বিরতিহীনভাবে নিজস্ব ভঙ্গিতে চলতে থাকে, তখন রোগ চিরদিনের জন্য তাকে সালাম দিয়ে চলে যাবে।
অথএব যদিও বর্তমান ডিজিটাল যুগে, চলাফেরার জন্য, সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা, মোটর সাইকেল, সি এন জি, বাস, ইত্যদি হওয়ার কারনে, পায়ে হেঁটে চলার তমন কোন পরিবেশ নেই। পায়ে হেঁটে চলতে গেলে লোক সমাজের নজরে পড়ে যায়।তারপরও আমাদের শরীর স্বুস্থ্য রাখার জন্য, কিছু শ্রোম, ও পায়ে হাঁটাহাঁটি করা অপরি হার্য।