সুস্থ থাকার সহজ এবং কার্যকরী ৪ টি উপায়

অনেকেই মনে করেন সুস্থ জীবন গড়তে হলে একটি লম্বা ডায়েট মানতে হবে। শরীরচর্চা বা ব্যায়াম এর জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। কিন্তু এটি একদমই অমূলক কথা। কিছু সহজ উপায় মেনে চললেই আপনি গড়ে তুলতে পারবেন সুস্থ, সবল, সুন্দর জীবন। আপনিও যদি সুস্থ থাকার সহজ উপায় খুঁজে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম।

 

 

 

 

প্রচুর পানি পান করুন :

 

 

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আপনাকে খালি পেটে যেটি করতে হবে তা হলো নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান।

 

প্রাপ্তবয়স্কদের কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার এবং বাচ্চাদের কমপক্ষে এক থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিত।

 

বিশুদ্ধ পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এটি আপনার ত্বককে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে এবং গড়ে তুলবে ঝলমলে ও লাবণ্যদীপ্ত চেহারা। আপনার বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করতেও পানি সবসময় এক ধাপ এগিয়ে। গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা, এসিডীয় বিপাক, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে পানি অতীব প্রয়োজনীয়। আপনার শরীরের কার্যাদি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কার্টিলেজে আশি শতাংশ পানির উপস্থিতি প্রয়োজন।

 

আপনাকে শরীরের ওজন ঝরানো নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করতে হবে না যদি আপনি রোজ সকালে এক গ্লাস গরম পানি পান করেন। এটি আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নির্গমনেও লক্ষ্যভেদী তীর হিসেবে কাজ করবে।

 

তাহলে চিন্তা করে দেখুন, সাধারণ পানিই আপনার সুস্থ থাকার কত সুন্দর একটি উপায়?

 

 

 

 

সকালের নাস্তা এড়াবেন না :

 

 

অনেকেরই কর্মব্যস্ততার জন্য সকালের নাস্তাটি গ্রহণ ঠিকমতো হয়ে ওঠে না। কিন্তু সকালের পুষ্টিকর ও আঁশযুক্ত নাস্তাই আপনাকে সারাদিনের কর্মশক্তি যোগাতে সক্ষম। গবেষণা থেকে জানা যায়, সকালের নাস্তা স্থূলতা কমানোসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা কাজের কাজী।

 

সকালের নাস্তাই আপনাকে অবশ্যই ফলমূল রাখতে হবে। আর কোলেস্টেরল এড়াতে ওটস এর তো জুড়ি মেলা ভার। তাই সকালের নাস্তায় টেবিলে রেখে দিন এক বাটি ওটস।

 

নাস্তার জন্য আটার রুটি একটি সুস্বাদু এবং কার্যকরী খাবার। এটি আপনাকে পুরোদিনের এনার্জী যোগাবে। কিন্তু তেলে ভাজা পরটা অবশ্যই পরিহার করা উচিত। এছাড়াও দিনের শুরুটা চমৎকার করতে সালাত, দই, ডিম খেতে পারেন।

 

পড়েছেন তো পুরো মেন্যু টা? যদি পরে থাকেন তবে নিঃসন্দেহে সুস্থ থাকার উপায় এর একাংশ পেয়ে গেছেন।

 

 

 

 

 

ভালো খান, সুস্থ থাকুন :

 

 

আপনার খাবার প্লেটের অর্ধাংশ জুড়ে যদি সবুজ শাক-সবজি থাকে তাহলে আপনি একদম ঠিক রাস্তাই এগোচ্ছেন।

 

পোলাও, বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করেন? কিন্তু এসব বেশি খেলে চলবে না। আপনার দুপুরের খাবার হিসেবে রাখুন সাদা ভাত।

 

মাংস একটু কম করে খান। মাংসের বদলে পাতে রেখে দিন মাছ।

 

বাইরের খোলা খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। যদি বাইরে খাওয়ার একান্তই প্রয়োজন পড়ে তবে গরম গরম খাবার বেছে নিন, ঠাণ্ডা খাবারে হাত দিবেন না।

 

কি ভাবছেন? এক বেলা না খেয়ে রইলে শরীরের ওজন এক কেজি কমে যাবে? না, এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। আপনি যত না খেয়ে থাকবেন আপনার শরীরে তত ফ্যাট জমবে। সেই সাথে কমবে মেটাবলিজম। এর হার ঠিক রাখার জন্য সারা দিনের খাবার সমান ভাগে ভাগ করে ছয় ভাগে খেতে হবে।

 

এই পরামর্শসমূহ কিন্তু সুস্থ থাকার একদম মৌলিক উপায় গুলোর মধ্যে পড়ে।

 

 

 

 

 

জাঙ্ক ফুড নিন অল্প পরিমাণে :

 

 

মুখরোচক খাবার আর স্বাদের জন্য জাঙ্কফুডে ঝুঁকে না পড়ে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যোগ করে জাঙ্ক ফুড বা ফাস্ট ফুডের টেস্ট বাড়ানো হয়। যা অতিমাত্রায় ক্ষতিকর।

 

তাই জাঙ্ক ফুডকে না বলতে শিখুন। একেবারে ছাড়তে না পারলে সপ্তাহে শুধুমাত্র একটি দিন জাঙ্কফুডের জন্য রাখুন, এর বেশি নয়।

 

জাঙ্কফুডে একদমই ফাইবার থাকে না যার ফলে কন্সটিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ডায়বেটিক্সের ঝুঁকি ও বাড়ায়।

 

জাঙ্ক ফুড কখনোই সুষম খাদ্যের মধ্যে পড়ে না। এতে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে।

 

আর শরীরের মেদ বাড়াতে জাঙ্ক ফুড যে কতটা ক্ষতিকর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

 

 

উপরের বিষয়গুলো ফলো করুন। ইনশাল্লাহ একটি সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন।

 

Related Posts