সেপসিস কী?সেপসিস হলে কী হয়?

আজ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত  একটা গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়ে লিখতে যাচ্ছি।একটা রোগ নিয়ে আলোচনা করবো।আশা করি এই আর্টিকেল থেকে কিছু হলেও জানতে পারবেন।তো চলুন শুরু করা যাক।

আজ যে রোগটি নিয়ে আলোচনা সেটির নাম হচ্ছে সেপসিস।
প্রথমেই জানতে হবে যে সেপসিস কী?
সেপসিস হলো মারাত্মক অসুস্থতা যা ব্যাকটেরিয়া (জীবাণু) দ্বারা রক্তের কার্য ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস  করে।

এই রোগের লক্ষণ কী?

এই রোগের লক্ষণসমূহ হলোঃ

-এই রোগে রক্ত চাপ কমে যায় ও ধাক্কা অনুভুত হয়।

-দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমূহের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

-কিডনি, যকৃত, ফুসফুস ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজ থেমে যায়।

-মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়

-অতি শ্বাস-প্রশ্বাসও কিন্তু এই রোগের লক্ষণ

-প্রস্রাব কমে যায়

-জ্বর অথবা দেহের তাপমাত্রা কমে যায়

-রোগী প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিতে থাকে

-অল্প রক্ত চাপের জন্য মাথা ঘোরাতে পারে ও ঝিমুনি হতে পারে

-দ্রুত হৃদয় স্প্ন্দন হতে থাকে অর্থাৎ হার্ট বিট বেড়ে যায়

-ত্বকে চাকা-চাকা লালচে দাগ দেখা দেয়।

এই রোগের কারণ কী?

এই রোগ ব্যাকটেরিয়ার (জীবাণু) সংক্রমণে ঘটে যা দেহের যেকোন জায়গায় হতে পারে। সাধারনত দেহের যে যে জায়গায় এই সংক্রমণ ঘটতে পারে তা হলো – অন্ত্রে, কিডনিতে, ঘিলুর ভাঁজে, যকৃতে, পিত্তথলিতে, ফুসফুসে (ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া) ও ত্বকে। এছাড়া, শিশুদের হাড়েও এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে যে ব্যাক্টেরিয়া এই রোগ বহন করে ব্যাক্টেরিয়া  আর ভাইরাসের এখানে কোন কারসাজি নেই বা ভাইরাস যুক্ত নয়।যাদের রোগ প্রতিরোধ করার  দুর্বলতা আছে অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সাথে বাস করতে পারে।অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ব্যক্তিরা বেশী ক্ষতির মুখে পড়েন।

দূর্ভাগ্যবশত এই রোগের পরিণতি মৃত্যু ও হতে পারে।
তবে কিছু নিয়ম মানলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।নির্ধারিত সুপারিশ ও সতর্ক অনুসরণ করে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। বিশেষভাবে হাসপাতালে শিশুদের জন্য চিকিৎসা  পদ্ধতির সতর্কতা ও যত্ন সহকারে অনুসরণ করলে এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।কোন ব্যাক্টেরিয়াল রোগজনিত সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্টারের পরামর্শ নিন। এইক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকও ভূমিকা রাখে।
ফাংগাল এর পরজীবি জীবাণু সংক্রান্ত যেকোন রোগ হলেই সেটার সঠিক চিকিৎসা অবশ্যই করবেন।আর ধূমপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে পারলেই উত্তম। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান,পঁচা-বাশি এড়িয়ে চলুন,পরিচ্ছন্ন থাকুন।

আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে সেপসিস রোগ সম্পর্কে কিছু হলেও জানতে পেরেছেন। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

-ধন্যবাদ

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন