পোষ্ট ভিউ হচ্ছে না! এই সমস্যাটা সাধারণত নতুন যারা রাাইটার রয়েছে তাদেরকে প্রতিনিয়ত ফেইস করতে হয়। অথচ খুবই ক্ষুদ্র কিছু বিষয় না জানা থাকার কারণেই তাদেরকে এই ধরণের ভোগান্তির মুখে পরতে হয়। একজন ভালো মানের রাইটার হওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু দিক খেয়াল রেখে লিখতে হবে।
প্রথমত,সঠিক টপিক নির্বাচন করুণ। ম্যাক্সিমাম রাইটার অপ্রয়োজনীয় টপিকে লেখালেখি করে টাইম অয়েস্ট করে। এমন টপিকে আর্টিকেল লিখুন যার বর্তমানে ভ্যালিউ রয়েছে। কোনো পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় টপিকে আর্টিকেল লিখে সময় নষ্ট করবেন না। কারণ এতে আপনার পোষ্ট যথেষ্ট পরিমাণে ভিউ হবেনা এমনকি আপনার পোষ্ট অ্যাপ্রুভ করা নাও হতে পারে। অথবা কতৃপক্ষ যদি অ্যাপ্রুভ করেও তাহলে কোনো পেমেন্ট পাবেন না।
কোনো টপিক নিয়ে লেখার আগে সেই টপিক সম্পর্কে আপনার একটা স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। সঠিক টপিক নির্বাচনের পর নির্বাচিত টপিকটি নিয়ে রিসার্চ করুণ। অধিক পোষ্ট লিখেও আপনি পোষ্টের মান ভালো না হওয়ার কারণে কম পেমেন্ট পাবেন। কিন্তু যদি কোনো টপিকে ভালোভাবে রিসার্চ করে লেখেন তাহলে আর্টিকেলের মান ভালো হবে এবং আপনি সেই একটি আর্টিকেলে ১০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট পেতে পারেন।
কি-ওয়ার্ডের দিকে নজর দিন। এটি পাঠককে আপনার অার্টিকেলটি পাঠ করার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করাবে।
আপনি যদি পাঠক হতেন তাহলে আপনি এখন যেই টপিকের উপরে আর্টিকেল লিখতে চলেছেন সেই আর্টিকেল থেকে কি কি ইনফরমেশন পেতে চাইতেন সে বিষয়ে ইমেজিন করুন। এর ফলে আপনি খুব সহজেই পাঠকের ডিমান্ড বুঝতে পারবেন। অত:পর সেই বিষয় গুলো আপনার আর্টিকেলে এ্যাড করুণ।
আপনার অার্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব কিনা সেটি সুনিশ্চিত করুণ।অল্প সময়ে অধিক আর্টিকেল না লিখে অধিক সময় নিয়ে রিসার্চ করে একটি আর্টিকেল লিখুন। আমি সাজেস্ট করব কোনো টপিকে আর্টিকেল লেখার আগে মিনিমাম ২-৩ দিন টপিকটি নিয়ে রিসার্চ করুণ।
ধরুণ আপনি কোনো স্বাস্থ বিষয়ক আর্টিকেল লিখতে চান এবং সেক্ষেত্রে কোনো রোগের বিষয়ে লিখতে চান, হতে পারে সেটা ক্যান্সার বিষয়ে। তাহলে ক্যান্সার কি? ক্যান্সার কেন হয়? কান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি? কোণ কোণ ধরণের খাবার খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব? প্রতি বছর ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা কত? প্রতিবছর শতকরা কত পার্সেন্ট মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়? কান্সারের কোনো মেডিসিন আছে কিনা? এই ধরণের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো আপনার আর্টিকেলে লিখুন।
আপনি এগুলো সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে পেতে পারেন।আপনার নির্বাচিত টপিকের উপরে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন। অথবা অন্যান্য সাইট থেকে এই সকল বিষয়ে ব্লগ পরুণ। তবে কখনো কোন সাইট থেকে হুবোহু কপি করে লিখবেন না। এর ফলে আপনার পোষ্ট ডিলিট এমনকি অ্যাকাউন্টও ডিজেবল করে দেওয়া হতে পারে। তাই কপি না করে এই সাইট গুলো থেকে ধারণা নিয়ে লিখতে পারেন।
আপনার আর্টিকেলে অপ্রয়োজনীয় তথ্য লিখতে যাবেন না। আপনি যখন কোনো ভিডিও বানাবেন তখন কিছুটা অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিলেও কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে এটি করতে যাবেন না। এর ফলে পাঠক আপনার অার্টিকেল পরার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
এমন টাইটেল ব্যবহার করুণ যা পাঠককে আপনার আর্টিকেল পরার প্রতি আকর্ষিত করবে। ধরুণ আপনি কোনো আর্টিকেল লেখার পর, ” স্কীনের জন্য ক্ষতিকর ৫ টি অভ্যাস”- এটি টাইটেল দিতে চাচ্ছেন,সেক্ষেত্রে ” ৫ টি অভ্যাস না জানা থাকলে আপনার স্কীনের ক্ষতি হতে পারে”- এভাবে টাইটেল দিতে পারেন।
সবশেষে আপনার লেখাটি নিজে একবার পরে বানান ভুল আছে কিনা তা দেখে নিন। যদি থাকে তাহলে সংশোধন করে সাবমিট করতে পারেন।