প্রোটোকল কিভাবে কাজ করে ঃ
- ডেটা সিকোয়েন্সিং ঃ বড় তথ্যকে ছোটো সুনির্দিষ্ট আকারে ভেঙ্গএ প্রেরন করে যাতে ভুল না হয় , এবং সংশোধন করা যায় ।
- ডেটা রাউটিং ঃ তথ্য প্রেরনের পূর্বে প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে সবচেয়ে ভাল পথ খুজে বের করা ।
- ফ্লো কন্ট্রোল ঃ তথ্য প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে গতির তারতম্য থাকতে পারে । ফ্লো কন্ট্রোল প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে তথ্য আদান- প্রদান প্রক্রিয়া এমন ভাবে নিয়ন্রণ করে যাতে গতির কম বেশি হওয়ার জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় ।
- ইরর কন্ট্রোল ঃ কমিউনিকেশনের প্রোটোকলের অন্যতম কাজ তথ্য আদান প্রদানের প্রক্রিয়ার ভুল শনাক্ত করা এবং তা সংশোধন করা । ইরর কন্ট্রোল নিশ্চিত করে যে , ডেটা ট্রান্সমিশন নির্ভুলভাবে হয়েছে ।
কম্পিউটার হল ডেটা প্রসেসিং ডিভাইস । কম্পিউটার কর্তৃত প্রসেসকৃত ডেটা ট্রান্সক্রিপট সিস্টেম এর মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পৌছে যায় । ডেটা ট্রান্সক্রিপট সিস্টেম এর উপাদান হলো – মডেম , ট্রান্সমিটারম সুইস, রিসিভার ইত্যাদি ।
সিমপ্লিফাইড কমিউনিকেশন মডেল
সিমপ্লিফাইড কমিউনিকেশন মডেল তিনটি অংশে গঠিত । যথা –
- সোর্স সিস্টেম ঃ যে ডেটা পাঠাতে হবে তা উৎস থেকে তৈরি করা হয় । উৎস গুলো হচ্ছে -কম্পিউটার, টেলিফোন ইত্যাদি ।
- ট্রান্সমিশন সিস্টেম ঃ প্রেরকের কাজ হচ্ছে ডেটাকে এক প্রান্তে থেক অন্য প্রান্তে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে অথবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে প্রেরন করা এবং ডেটা নিরপত্তা বিধানে একে এনকোডে করা। উদাহরন – মডেম কম্পিউটার থেকে ইনপুট হিসাবে ডিজিটাল ডেটা গ্রহন করে ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলাচলের উপযোগী করার জন্য ঐ ডিজিটা ডেটাকে এনালগ সিগনাল এ রুপান্তর করে ।
- ডেস্টিনেসান সিস্টেম ঃ গন্তব্য ডিভাইস রিসিভার থেক প্রান্ত অরিজিনাল ডেটা গ্রহনা করা । উদাহরন- কম্পিউটার
সিমপ্লিফাইড ডেটা কমিউনিকেশন মডেল সাধারনত ৫ টি অংশ নিয়ে গঠিত ।যথা ঃ
- উৎস
- প্রেরক
- মাধ্যম
- গ্রাহক
- গন্তব্য
ডেটা কমিউনিকেশ ব্যবস্থা
প্রেরক কম্পিউটারে সাথে সংযুক্ত মডেম কম্পিউটারে ব্যবহারিত ডিজিটাল অ্যানালগ ডেটা রুপান্তিত করে টেলিফোন লাইনে প্রেরন করে । টেলিফোন লাইন ডেটাকে আনালগ হিসাবে সেটা প্রাপক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেমে পোছে দেয় । প্রাপক কম্পিউটারে সাথে যুক্ত মডেম টেলিফোন লাইন থেকে প্রান্ত অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তিত করে প্রাপক কম্পিউটারে প্রেরক করে । নিম্নে দেখানো হলো ঃ
উৎস ——প্রেরক ———–ট্রান্সমিশন————–প্রাপক——————–গন্তব্য
ডিজিটাল সিগনাল——— অ্যানালগ সিগনাল —-অ্যানালগ সিগনাল ——ডিজিটাল সিগনাল
নিম্নে তথ্য প্রেরকের বিভিন্ন ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণিত হলো –
- ডেটা ট্রান্সমিশন সময় যে ফাইলে ডেটা সংরক্ষিত আছে তার প্রতিটি বাইটকে বাইনারিতে রুপান্তিত করে তার সমতুল্য ডিজিটাল ইলেকট্রিক সিগনাল তৈরি করে । যেমন -বাইনারি ০ কে ০ ভোল্টাজ এবং ১ কে ৫ ভোল্টাজ উপস্থাপন করা হয় ।
- অতপর ডিজিটাল ইলেকট্রিক সিগনালকে প্রেরক যন্তের মাধ্যমে অ্যানালগ সিগনালে রুপান্তিত করে ।
- কোম মাধ্যমের বা মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল তথ্য প্রবাহিত হলে দূরত্বর কারনে ডিজিটাল তথ্য অনেকটা পরিবর্তীত হয়ে মূল তথ্য নস্ট হয়ে যায় । ফলে ডিজিটাল তথ্যকে প্রেরক যন্তে এনাগল তথ্যের রুপান্তর করতে হয় ।আর প্রক্রিয়াকে বলা হয় মডুলেশন এবং উক্ত প্রেরক যন্তকে বলা হয় মডুলেটর । এখানে উল্লেখ্য যে, মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে এনালগ তথ্য ট্রান্সমিশন হলে ও বেশ পরিবর্তীত হয় কারন যে কোন মাধ্যমে কিছু নয়েজ সিগনাল তৈরি করে ।