আমরা সবাই কম বেশি স্ক্যানার সম্পর্কে জানি। এটি অনেকটা ফটোকপি মেশিনের মত কিন্তু ফটোকপি মেশিন নয়। এর কাজ হলো ইমেজ, টেক্সট, ড্রয়িং, অবজেক্ট ইত্যাদির স্ক্যান করে তা ডিজিটালি কনভার্ট করা। এই Scanner আমরা প্রায়শ বিভিন্ন অফিস-আদালতে দেখতে পাই। আবার আমরা এটাকে বিভিন্ন ফটোকপি, কম্পিউটার কম্পোজ, এর দোকানেও দেখতে পাই।স্ক্যানার খুবই জনপ্রিয় একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। ডকুমেন্ট ও বুক স্ক্যানার কিন্তু সাধারন স্ক্যানারের থেকে একটু আলাদা এর প্রসেসিং এর ধরনের কারনে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই সাধারন স্ক্যানার ও Document and Book Scanner এর মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে।
বন্ধুরা শুরুতেই আমরা জেনে গিয়েছি যে স্ক্যানার অনেকটা ফটোকপি মেশিনের মত কিন্তু ফটোকপি মেশিন নয়। কি কারনে এটা ফটোকপি মেশিন নয় তার কারণ হল স্ক্যানার দিয়ে শুধু স্ক্যান করা যায় কিন্তু ঐ ডকুমেন্টের কোন প্রতিলিপি বা কপি বের করা যায় না। অর্থাৎ একটি ফটোকপি মেশিন দিয়ে আপনি একই সাথে একটি স্ক্যানারের কাজ এবং প্রিন্টারের কাজ দুইটাই একসাথে সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু স্ক্যানার দিয়ে শুধু আপনি একটি ছবি তুলে তার একটি সফট কপি আপনি আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে পারবেন। পরবর্তিতে আপনি প্রিন্টার ইউজ করে তার একটা প্রতিলিপি বের করে নিতে পারেন। এর ভিতর যদি কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন, সংযোজন, পরিমার্যন ইত্যাদির প্রয়োজন হয় তবে সেই অনুযায়ী সম্পন্ন করে আপনি এর প্রতিলিপি বা হার্ডকপি বের করে নিতে পারেন। প্রিন্টারের মাধ্যমে আপনি সাদাকালো ও রঙ্গিন উভয় কালারই প্রিন্ট করতে পারেন। কিন্তু একটি ফটোকপিয়ার মেশিনের সাহায্যে শুধুমাত্র সাদাকালো হার্ডকপি বের করতে পারবেন। তবে বর্তমানে কিছু উন্নতমানের ফটোকপিয়ার মেশিন এসেছে যার দ্বারা আপনি ইচ্ছে করলে রঙ্গিন প্রিন্ট করতে পারেন।
এখন আসুন আমরা জেনে নেই কেনো আমরা Scanner বা Printer বা Photocopier মেশিন কিনব। বন্ধুরা আসুন প্রথমেই আলোচনায় নিয়ে আসি ফটোকপিয়ার মেশিন, এর দ্বারা আপনি স্ক্যান এবং প্রিন্ট দুইটা করতে পারছেন তাহলে কেনো আপনি স্ক্যানার বা প্রিন্টার আলাদা আলাদাভাবে কিনবেন। হ্যাঁ বন্ধুরা, একটি ফটোকপিয়ার মেশিনের দাম অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় এটা একটি স্ক্যানারের মত হাই রেজুলেশনের স্ক্যান সম্পন্ন করতে পারে না আবার প্রিটের ক্ষেত্রেও ভালোমানের প্রিন্ট এর থেকে আশা করা যায় না যেমন একটি প্রিন্টার করে থাকে। তাই এটি আসলে দ্রুত কাজ করার উদ্দেশ্যে বানিজ্যিক কাজে অথবা সাধারন আফিসিয়াল কাজে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যাহোক বন্ধুরা আমরা মূল আলোচনায় ফিরে আসি বই স্ক্যানারের কাজের প্রকৃতি নিয়ে, বই বা ডকুমেন্ট স্ক্যানার এর উপরের অংশে একটি ক্যামেরা থাকে যার মাধ্যমে এটি এর নিচের দিকে থাকা বই বা ডকুমেন্টের একটি ছবি তুলে সেটা ডিজিটালি প্রসেসিং করে থাকে। অর্থাৎ এটি বিভিন্ন ফরমেটে সেভ করে রাখে। আপনি আপনার প্রয়োজনমত এডিট করতে পারবেন। এটি সাধারনত শিক্ষার্থী বা শিক্ষক শ্রেনীর লোকজনের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। কারণ এই স্ক্যানারটি বিশেষভাবে বিশেষ শ্রেনীর লোকদের উদ্দেশ্য করে ডিজাইন করা। এই স্ক্যানারটি ফটোতুলে তা ডিজিটালি প্রসেস করে কয়েকটি ফরমেটে যেমনঃ ওয়ার্ড, পিডিএফ, টিফ, এক্সেল ইত্যাদিতে পরিবর্তন করতে পারবেন।
বন্ধুরা আপনারা এই স্ক্যানারে দুই ধরনের সেন্সর পাবেন HD CMOS এবং শুধু CMOS। আপনি আপনার প্রয়োজনমত সেন্সর পছন্দ করে নিবেন। সেন্সরের কাজ হলো ফোটনকে ইলেকট্রনে ডিজিটালি রুপান্তর করা। এছাড়া আপনি ইমেজের জন্য jpg ফরমেট পেয়ে থাকবেন ও ২৪ বিটের কালার বিট ডেপথ আছে। এছাড়াও ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং করা যায় এই যন্ত্রটির মাধ্যমে।
তাই যারা শুধুমাত্র বই স্ক্যানিং এর কাজে স্ক্যানার কিনতে চান তাদের জন্য CZUR Document and Book Scanner হতে পারে ভালো সমাধান। তাই বলে এটি যে বই ছাড়া অন্য কিছু স্ক্যান করতে পারবে না তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। এছাড়া এই স্ক্যানারের রয়েছে বিশেষ গতি যার কারনে এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি।
তো বন্ধুরা, আজকের মত এখানেই শেষ, সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। শুভকামনা নিরন্তর।