করোনা ভাইরাস থেকে বয়স্কদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হল নির্দেশনা:
কেমন আছেন আপনারা আশা করি সকলেই ভাল আছেন সম্প্রতি কোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেশে করনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে আর এর সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা 700 ছাড়িয়ে আঠার দিকে পৌঁছে গেছে। করণা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বেশিরভাগই বয়স্ক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। আর তাই তাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং করোনাভাইরাস থেকে বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া হল বিশেষ নির্দেশনা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর 2:30 মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া কোভিড-19 রোগের আক্রান্তের সর্বশেষ তথ্য জানানোর জন্য অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডাক্তার নাসিমা সুলতানা সকলকে সতর্ক করে জানান যে মাছ তারাই ব্যবহার করবেন না যারা এটি পড়তে পারেন না যেমন অজ্ঞান ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ও দুই বছরের কম বয়সী শিশু। এছাড়া বাকি সবাইকে মাংস পড়া উচিত এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাছ একটি অন্যতম হাতিয়ার বলে জানিয়েছেন এই অধ্যাপক।
এছাড়া তিনি বয়স্কদের কথা উল্লেখ করে বলেন যে বয়স্কদের প্রতি রাখতে হবে কারণ বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তিরা ঘর থেকে বের না হলেও তারা তাদের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। কারণ তারা বাইরে যাচ্ছেন এবং ফিরে সেসকল বয়স্কদের কাছে যাচ্ছেন। আর এভাবেই আমরা নিজেদের অজান্তেই বয়স্ক ব্যক্তিদের এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার মূল কারণ।
বয়স্কদের করোনাভাইরাস থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালো করে 20 সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে এবং মাস্ক পরে তারপরই বয়স্কদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবং প্রতিদিন কুমকুম গরম পানির মধ্যে হলুদ, আদার রস দিয়েছিলেন এর আগেও।
উল্লেখ্য যে বিগত 24 ঘন্টায় 13 হাজার 788 টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে 12 হাজার 694 টি। যার মধ্যে করণা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় 2 হাজার 433 জন। আর এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় 3 লক্ষ 58 হাজার 277 টি। আর এই নিয়ে শনাক্তের 19.09 শতাংশ যা অন্যান্য কয়েক দিনের থেকে অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন। এছাড়ও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত 24 ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন 35 জন। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে প্রায় 28 জন হচ্ছে 51 থেকে 90 বছর বয়সী ব্যক্তি। এছাড়াও বিগত 24 ঘণ্টায় মোট সুস্থ হয়েছেন 571 জন ব্যক্তি এই নিয়ে মোট সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন 12 হাজার 161 জনেরও বেশি ব্যক্তি।
আর তাই এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত সুস্থ হওয়া হওয়ার হার 21 দশমিক 13 শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।