বর্তমান প্রায় সকল চাকরির ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকরি করতে গেলে সবার আগে যে জিনিষটা প্রাধান্য পায় তা হল অভিজ্ঞতা বা অন্য কোন বিষয়ে পারদর্শী ।
এখন কথা হল আমি যখন কোন ডিগ্রী দিয়ে বের হলাম তখন আমার চাকরির দরকার অবলেই আমি চাকরি করতে চাচ্ছি ।
সে মুহুর্তে যদি আমার আবার ৪-৫ বছরের জন্য নতুন করে অন্য কোন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হয়ে চাকরি করতে হয় তাহলে আমার পড়াশুনার মূল্যটা কোথায় রইলো । আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অভিজ্ঞদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য । কিন্তু কোথাও এমনটা লিখা থাকে না যে শিক্ষাতদের জন্য অভিজ্ঞতা শিথিলযোগ্য ।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাছে যে বর্তমান বাজারে পড়াশুনা অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতার চাইতে অভিজ্ঞতার অনেক মূল্য বা চাহিদা । তাহলে আমি কেন আমার সন্তানকে অধিক পড়াশুনা করবো । এখন তো আমার মনে হচ্ছে যে আমি আমার সন্তানকে বলবো ‘বাবা পড়াশুনার পাশাপাশি অন্য কাজ না করে অন্য কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা করার চেষ্টা কর । তাহলে দেখবি তোর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল । বর্তমান বাজারে পড়াশুনার চাইতে কাজের অভিজ্ঞতার অনেক বেশি চাহিদা ।
এখন আসি মূল কোথায় ধরা যায়, আমি আমার সন্তানকে পড়াশুনার পাশাপাশি অর্থাৎ ক্লাস ওয়ান থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অন্য কোন একটা কাজ শিখালাম অর্থাৎ এখানে পড়াশুনা করতে চাপ কম আর অন্য কাজের বেলায় চাপ বেশি । স্কুলে একদিন গেলে যাবে না গেলে নেই । কিন্তু কাজে যেন বিঘাত না ঘটে ।
তাহলে দেখা যাবে সে যদি কম্পিউটারে গ্রাফিক্স প্রোগ্রাম সিখে সেটা ভালো করে আয়ত্য করে ফেলবে এই ৫ বছরে । আর তখন তাঁর অভিজ্ঞতার জোরে যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবে অনায়াসে । পরবর্তীতে তাকে আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশুনার পাশাপাশি অর্থাৎ পড়াশুনা করে যাতে কোনরকম পাস করা যায় সে মতে পড়াশুনা করিয়ে বাকি অধিকাংশ সময় ওয়েব ডেভলোপমেন্ট বা ওয়েব ডিজাইন শিখায় তাহলে তো কোথায় নেই । তাঁর চাকরি ঠেকায় কে ।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার অনেক সুবিধা দিয়েছে আসলে আমি বলতে চাচ্ছি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কথা যেখানে প্রতি শুক্রবার ক্লাস হয় । সেখানে আমি আমার সন্তানকে ভর্তি করিয়ে দিবো । যাতে করে কোন রকম পাস করে । বর্তমান সময়ে যখন পড়াশুনা করে ভালো রেজাল্ট করে পাস করে বেরিয়েও অনেক শিক্ষিত বর্তমেন বেকার তখন কেন আমি অযথা আমার সন্তানকে ভালো স্কুলে পড়াবো কেন তাঁর পড়াশুনার পিছনে এত টাকা ফেলবো ।
তাঁর চেয়ে ভালো তাকে অন্য একটা লাইনে কাজ শিখানোর জন্য টাকা খরচ করলে তাঁর ভবিষ্যৎ ভাল হবে বলে আমি এটাই মনে করি । সময় যখন বলছে যে পড়াশুনার চাইতে অভিজ্ঞতার অনেক বেশি চাহিদা এই সময়ে, তখন পড়াশুনাকে কেন গুরুত্ব দিতে হবে । যে সময়ে ভাল জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের চাইতে তাঁর পয়েন্টের চাহিদা বেশি সে সময়ে কেনইবা চাইবো না যে, যে কোন মূল্যেই হোক আমার সার্টিফিকেটে ++দিয়ে ভরিয়ে দিতে হোক না সেটা বেআইনি পথে আমার দরকার + পাওয়া কোন বিষয় সমন্ধে ভালো জ্ঞান অর্জন করা নয় ।
বর্তমানে তো সরকারি প্রতিষ্ঠানেই দেখা যায় বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩.৫০ –এর নিচে প্রাপ্ত নাম্বার যারা পেয়েছে তাদের আবেদন করার দরকার নেই । এখানে মেধার কোন স্থান নেই স্থান আছে শুধু + পয়েন্টের ।
তাই ভেবেছি আগে কাজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান অর্জন পড়ে । আর যে কোন মূল্যে সার্টিফিকেটে + রাখতে হবে সেটা নকল করি বা প্রশ্নপত্র ফাস করি । সেটা দেখার বিষয় নয় । বিষয় শুধু + অর্জন এতে করে আপনার ভালো জ্ঞান থাকুন আর নাই থাকুন প্রতিষ্ঠান তো আর বলবে না যে আপনি কিভবে পাস করলেন । বা এমনটাও বলবে না যে যারা নকল করে পাস করেছে তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই । তারা শুধু দেখবে আপনার সার্টিফিকেটে + চিহ্ন >ধব্যবাদ ।