আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য বিষয়। ছোট ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত তাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।
শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট যাত্রার পর থেকে এর বিভিন্ন উপকারী বিষয়বস্তুর মাধ্যমে এটি মানুষকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের শিশু কিশোরদের মধ্যেও ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে এবং দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই ব্যবহার অনেক সময় অপব্যবহারে রূপ নিচ্ছে। এটি তাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে। এর কারণ হলো সঠিক মনিটাইজেশন না থাকা।
আমাদের শিশু-কিশোরদের পিতা-মাতারা ইন্টারনেটের এই সদ্ব্যবহার সম্পর্কে তেমন একটা সচেতন নন। কারণ তারা নিজেরাই এই ইন্টারনেটে তাদের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে শুধুমাত্র কিছু সস্তা বিনোদন লাভের আশায়। ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার প্রয়োগ সম্পর্কে তারা অনেকটাই অসচেতন। যার ফলে শিশু-কিশোররা এই সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারনা পর্যন্ত অর্জন করতে সক্ষম হয় না।
আমার যদি লক্ষ করি বিগত বছরগুলোতে ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই বৃদ্ধির হার বয়স্কদের তুলনায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে ব্যাপক। কিন্তু তারা যদি সঠিকভাবে এই ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে না শিখে তারা বিভিন্ন প্রকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে যা আমাদের মোটেই কাম্য নয়।
বাংলাদেশ এর বিপরীত নয়। তাই বাংলাদেশের শিশুরা যেন ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিতে সক্ষম হয় সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে সিসেমি ওয়ার্কশপ। সিসেমি ওয়ার্কশপ একটি গ্লোবাল ওয়ার্কশপ যা শিশু-কিশোরদের টেলিভিশন ওয়ার্কশপ নামেও পরিচিত। এটি নিউ ইয়র্কে সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়। বাংলাদেশেও এর কার্যক্রম চালু আছে। সিসিমপুর তাদেরই অন্য কার্যক্রম গুলোর মধ্যে একটি। এটি শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক বিকাশ ঘটাতে তাদের কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করে থাকে।
তাদের এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে তারা পিতামাতাদেরকে একটি নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত সম্পর্কে কিছু গাইড লাইন প্রদান করবে যা শিশুদের ওপর বাস্তবায়ন করা হলে তারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাবগুলো হতে মুক্ত থাকতে সক্ষম হবে।
এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকে শিশুদের কাছে আরও আকর্ষনীয় এবং মজাদার করে তোলার জন্য একটি গেম তৈরি করা হবে যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদেরকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত ইত্যাদি উপকারী বিষয়গুলোর সাথে খেলার ছলে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এই অসাধারণ উদ্যোগের প্রচারণায় যুক্ত হতে চলেছে আমাদের অতি পরিচিত কিছু মুখ হালুম, টুকটুকি, শিকু এবং ইকড়ি।
আশা করা যায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে শিশুরা ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিকগুলো অনেকটাই এড়িয়ে চলতে সক্ষম হবে যা তাদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।