বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। মাস শেষে মিটারে বিদ্যুৎ বিল আসে দ্বিগুন। আমরা বিদ্যুৎ বিলের হিসাব নিজেরা জানিনা বিধায় এসব মহা ঝামেলার মধ্যে পড়ে যায়। প্রিয় পাঠক,আজকে আমরা জানবো কিভাবে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করতে হয়।
বিদ্যুৎ বিলের হিসাব করার আগে কিছু অবশ্যই কিছু বিষয় জানা দরকার। যেমন-
১. ১hp = ৭৪৬W
২. ১০০০W = ১kW
৩. ১ kWh = ১ ইউনিট (১ কিলোওয়াট
আওয়ার = ১ ইউনিট)
৪. h = time (ঘন্টায়)
৫. Power, P = VIcosφ W (Single Phase)
P = √3VIcosφ W (Three Phase)
৬. kW কে সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন
করলে সঠিক উত্তর বেরিয়ে আসবে।৭) কোন মাস কত দিনে শেষ হয় তা জানতে হবে।
এবার আসি লোডের হিসাব
যদি লোডে W এর মান থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ওয়াটে (w) দেওয়া থাকে।কারেন্ট ভোল্টেজের দেওয়া থাকলে (P) এর সূত্র দিয়ে বের করে নিতে হবে। হর্স পাওয়ার (hp) থাকলে 746 দিয়ে গুণ করে W বের করতে হবে।, যেমন: ২০hp=২০*৭৪৬= W ।
W কে ১০০০ দিয়ে ভাগ করে kW এ নিতে হবে।
* kW কে সময় (ঘন্টা) দিয়ে গুন করে ইউনিট বের করতে হবে।
এগুলো বের করার পর বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য প্রথমে এই সূত্রগুলো জানলে খুব সহজেই বিদ্যুৎ বিলের হিসাব বের করতে পারবো।
নেট বিল = এনার্জি বিল + মিটার বিল
এনার্জি বিল = এক মাসে ব্যবহিত ইউনিটের পরিমাণ (kWh) * প্রতি ইউনিটের মূল্য
মিটার বিল = ডিমান্ড চার্জ + সার্ভিস চার্জ
সার্ভিস চার্জ = ১০ টাকা সিঙ্গেল ফেজের জন্য, ৩০ টাকা থ্রী ফেজের জন্য
ভ্যাট = নেট বিলের সাথে ৫% যোগ
নির্দিষ্ট সময় এর ভেতর বিল পরিশোধ করতে না পারেন,অথাৎ এক মাসের বিদ্যুৎ বিল যদি বকেয়া থাকে তাহলে নেট বিলের সাথে ৫% জরিমানা যোগ হবে।