আমাদের চারপাশের জগৎ প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তি হচ্ছে ক্ষুদ্রতর, পরিবহন ব্যবস্থা হচ্ছে দ্রুততর আর দালান কোঠাগুলো হচ্ছে আরো উঁচু। বর্তমানে উঁচু উঁচু ভবন তৈরি করা কয়েকটি দেশের জন্য অনেকটাই মান-সম্মানের ব্যাপার। ইন্টারনেট ঘেঁটে বর্তমান বিশ্বের কয়েকটি উঁচু ভবনের কথা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।
১. বুর্জ খলিফা
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং ২ হাজার ৭১৭ ফুট অথবা ৮২৮ মিটার। ২১ শে সেপ্টেম্বর ২০০৪ এ শুরু হওয়া বিল্ডিংটির নির্মাণকাজে ব্যয় হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজটি শেষ করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। বুর্জ খলিফা একবারে ২৫ হাজার লোক বহন করতে পারে। ১৬০ তলা ভবনে ৫৭ টি লিফট এবং আটটি এসকেলেটর রয়েছে। এখানে বিশ্বের দ্রুততম লিফট রয়েছে যাতে আপনাকে লিফটে উঠতে বিরক্ত হতে না হয়।ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার গতি বিশিষ্ট এই এলিভেটর সেকেন্ডে ৩৩ ফুট ওপরে উঠতে পারে। নির্মাণের পর থেকে এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন।।
২. সাংহাই টাওয়ার
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল্ডিং, সাংহাই টাওয়ারটি চীনের সাংহাইয়ে ২.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। বিল্ডিংয়ের উচ্চতা প্রায় ৬৩২ মিটার বা দুই হাজার তিয়াত্তর ফুট। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে সাংহাই টাওয়ারের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। আমেরিকান আর্কিটেক্ট জেনসেলের নকশাকৃত, সাংহাই টাওয়ারটি মূলত তিনটি ভবনের সংমিশ্রণ। ১২১ তলা বিশিষ্ট দীর্ঘতম টাওয়ারটিকে সাংহাই টাওয়ার বলা হয়। অন্য দুটি হ’ল জিন মাও টাওয়ার এবং সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিনান্সিয়াল সেন্টার।
৩. আবরাজ আল বাইত ক্লক টাওয়ার
সৌদি আরবের ‘আবারাজ আল বাইট ক্লক টাওয়ার’ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিল্ডিং হিসাবে তালিকাভুক্ত। ৬০১ মিটার অথবা ১,৯৭২ ফুট উঁচু এই ভবনটি মক্কায় অবস্থিত। আর্কিটেক্ট ডার আল হান্ডাসাহ দ্বারা ডিজাইন করা ক্লক টাওয়ারটিতে ১২০টি তলা রয়েছে। বিল্ডেন গ্রুপ, সৌদি আরবের বৃহত্তম ঠিকাদার, ভবনটি নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেছিল। ‘ক্লক টাওয়ার’ নামকরণের পেছনের কারণ হ’ল এই বিল্ডিংটি বিশ্বের দীর্ঘতম উঁচু ঘড়িটি অবস্থিত। ২০০৮ সালে দোহার একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মুসলিম আলেমগণ গ্রিনিচ মীন টাইমকে বাদ দিয়ে এই ঘড়ি অনুযায়ী ‘মক্কা মীন টাইম’ বা ‘এমএমটি’ পালনের আহ্বান জানান। ১৩০ ফুট ব্যাসের মক্কা ঘড়িটি তৈরি করতে সৌদি সরকারের ৩০০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে।