বর্তমানে আমরা সবাই লাইফ স্টাইল নিয়ে অনেক সচেতন। আমরা প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে নিজেদেরকে অন্যের সামনে উপস্থাপন করি। এই উপস্থাপন করার ভঙ্গিতে একেকজনের একেক রকম। তবে যারা একটুও নম্র-ভদ্র কিন্তু একটু স্টাইলিস্ট হতে চাচ্ছেন তারা হাতে অন্য কিছু না পড়ে শুধুমাত্র একটি সুন্দর বড় ডায়াল এর ঘড়ি পড়তে পারেন।
দেখবেন এই একটি সুন্দর বড় ডায়ালের ঘড়ি আপনাকে সবার কাছে রুচিশীল এবং ভদ্র স্টাইলিশ হিসেবে উপস্থাপন করছে। আপনি ভাবতেই পারবেন না বর্তমানে ঘড়ি অতীতের মতোই সমান জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তায় এর এখনো কোনো ভাটা পড়েনি। সেই আদিকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কোনো জিনিস যদি তার অস্তিত্ব জনপ্রিয় করে রাখতে পেরেছে সেটা হচ্ছে ঘড়ি। বর্তমানে অনেক তরুণ এবং তরুণীর হাতে ঘড়ি পড়তে পছন্দ করেন।
কারণ হাতে ঘড়ি পরা তরুণ-তরুণীদের দারুন স্মার্ট দেখায়। যেটা অন্য কিছু পড়লে এতটা সৌন্দর্য ও কনফিডেন্স আসেনা। ঘড়ি বর্তমানেও তুমুল জনপ্রিয়। ছেলে কিংবা বড় কারক তফাৎ তার কাছে নেই। কমবেশি সব বয়সেই মানুষ ঘড়ি পড়তে পারেন। এখন তো ঘড়ির নানান রকম ডিজাইন ও হরেক রকম ক্যাটাগরি চলে এসেছে। এখন ফ্যাশন বলতে ঘড়ি থাকবে না এমন কথা ভাবাও যায় না। তরুণ-তরুণীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ঘড়ি। তবে আজকাল অনেক তরুণ-তরুণীরাই বড় ডায়ালের ঘড়ি পড়তে পছন্দ করেন। ঘড়ি পড়তে পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
প্রকারভেদ অনুযায়ী ঘড়ি দু রকমের হয়:
১. হাত ঘড়ি
২.ও দেওয়াল ঘড়ি।
তবে বর্তমানে অনেক প্রকারের ঘড়ি বাজারে দেখা যায় তবে ম্যাক্সিমাম লোক থেকে দুই ক্যাটাগরিতে চেনে। এখন হয়তো ভাবছেন ঘড়ির দাম নিয়ে।তবে এখানে একটি সুখবর হলো আজকাল ভুবনদা কম দামে ভালো ভালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাওয়া যায়। দেখতে অনেক দামি ব্র্যান্ডের মনে হয়। স্কুল কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটির ছেলেদের এখনকার নিত্যদিনের সঙ্গী ঘড়ি। সচরাচর সব জায়গাতেই ঘড়ি পাওয়া যায়। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে একটি না একটি ঘড়ির দোকান নেই। রীতিমতো হুলুস্থুল এবং তুমুল মার্কেট এই ঘড়ির রয়েছে। তবে ঘরের স্টাইল ক্যাটাগরি এবং সুযোগ-সুবিধার উপর নির্ভর করে এর দাম। ঘড়ির দাম কি খুব একটা বেশি?
একদম না।তবে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু জায়গায় অনেক দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি রয়েছে।সেগুলো শুধুমাত্র বড় বড় তারকা এবং সুপারস্টার ভাই এরাই এগুলো ব্যবহার করে থাকেন। মাঝে মাঝে অসম্ভব এবং রুচিশীল কোন জিনিস কিনে এরা সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়। এমন অনেক তারকা আছেন যারা কোটি কোটি টাকা দামের ঘড়ি পড়েন। তারা এটি শুধুমাত্র শখের বশে করে থাকেন। তবে আপনি তারকা কিংবা স্টার্ না, ঘড়ি পড়তে আপনাকে এসব কোন কিছুই হতে হবে না। আপনি চাইলে বেশি দামের এবং কমদামের আপনার রুচি অনুযায়ী কিনে নেবেন। দেখবেন আপনি যেখানে যাচ্ছেন বা যাদের সাথে মিশেন তারা আপনাকে রুচিশীল ভাববে।
ব্যক্তিত্ব প্রকাশে ঘরের অবদান: বর্তমান যুগে সবকিছুই এখন স্মার্টলি হয়ে থাকে। সবাই খুব স্মার্ট জিনিসগুলোই পছন্দ করেন। অনেকেই আছে যারা খুব ব্যক্তিত্ব সচেতন। যারা নিজেদেরকে খুব সুন্দর রাখতে পছন্দ করি। এবং মানুষের মাঝে উপস্থাপনের একটি আদম্য ইচ্ছা আমাদের মনের মধ্যে বসবাস করে। তাদের অবশ্যই ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ঘড়ি কিংবা হাত ঘড়ি কে।কারণ আপনি যখন নিজেকে একজন তরুণ ও রুচিশীল মানুষ হিসেবে প্রকাশের ভঙ্গিমা করবেন তখন আপনার মাঝে কিছু ব্যতিক্রমী জিনিস থাকতে হবে। আবার এখন তো দেখা যায় কম আর বেশি সবাইকেই ঘড়ি পড়তে। এখন আপনি হয়তো ভাবছেন সবাই যেটা করে সেটা আপনি বললে হয়তো ভালো দেখাবে না।
পরামর্শ: এমন ভাবার কোন কারণ নেই, এখন আপনি যেটা ভাবছেন সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারন পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস নেই যার তৈরি এখনো হয়নি। কিছুই তৈরি হয়ে গিয়েছে শুধু সেটাকে ডেভলপমেন্ট এর কাজ চলছে। ভেবে দেখুন এক সময়ে মোবাইল ফোন মানুষের হাতে হাতে ছিল। তবু কিন্তু মানুষ বর্তমান সময়ে ফোন কিনছে। কেন কিনছে শুধুমাত্র পরিবর্তন হয়েছে এর ডিজিটালাইজেশনের। এক সময় যেটা ছিল এনালগ, এখন সেটা শুধু ডিজিটালি রূপ নিয়েছে। এক সময় আমরা ব্যবহার করতাম বাটন ফোন/তখন আমরা ভেবেছিলাম এভাবে তো একদিন ফোনের বাজার শেষ হয়ে গিয়েছে/কিন্তু ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো এখন আমার কাছে একটি বাটন আছে ও একটি এন্ড্রয়েড ফোন আছে। এটার মানে একদম পরিষ্কার সেটা হচ্ছে যে জিনিসটিকে আপনি ভাবছেন সেটি অনেক পুরনো ট্রেন্ড। আসলে সেই পুরনো ট্রেনটিকে আপনি একটু মডিফাই করে আপগ্রেড করে নিলেই আপনি হয়ে উঠবেন সবার মাঝে অনন্য। হয়তো বিষয়টি আমি বোঝাতে পেরেছি আপনাদের। খুব ছোট ছোট জিনিসকে আপনি চাইলেই অসাধারণ করে নিতে পারবেন।যেমন ধরুন একজন একটি ঘড়ি পড়ে আছে সেটির দাম 200 কিংবা 300 টাকা। আপনি একটি ঘড়ি কিনেছেন 10000 টাকা। সে ক্ষেত্রে কি 200 300 টাকার ঘড়ি টি আপনার 10000 টাকার ঘড়ি যে ওয়েট এবং এর যে মর্যাদা সেটিকে ক্ষুন্ন করতে পারবে। নিশ্চয়ই নয়। এমনটি ভাবার কোনো যুক্তি আসে না। এটি অতি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী অ্যাক্টিভেশন। দিনদিন এটি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কিছু ভেরিয়েশন এসেছে এতে। আপনি সেই নতুন নতুন ফিচার এবং ভেরিয়েশন টাকে একসেপ্ট করুন। দেখবেন আপনি সবার মাঝে হয়ে উঠবেন স্মার্ট সচেতন একজন তরুণ কিংবা তরুণী। সুতরাং আধুনিক যুগে এখনো ঘরের চাহিদা আকাশচুম্বী। কিছু কিছু ঘড়ি আছে যে ঘুরে ঘুরে দাম শুনলে আপনি এখনো চমকে যাবেন। ঘড়ি নিয়ে হাজার রকমের ক্যাপশন দিলেও লিখে শেষ করা যাবে না।শুধু এতটুকুই বলব আধুনিক যুগেও এর কদর কোন অংশে কমে যায়নি। বরং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। এক সময় শুধু বৃদ্ধ লোকেরা ঘড়ি হাতে দিত।এখন দেখা যায় তরুণ কিংবা তরুণী কিংবা বৃদ্ধ কিংবা ষাটোর্ধ্ব যারা ফ্যাশন সচেতন এবং লাইফ স্টাইল নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন তারা এটি অবশ্যই খেয়াল করবেন। তাই ঘড়ি নিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না।এতোটুকুই বলবো আধুনিক যুগেও আপনি যদি ফ্যাশন সচেতন এবং স্টাইলিস্ট হতে চান সে ক্ষেত্রে একটি ঘড়ি হতে পারে আপনার প্রথম চয়েজ। তাই বলবো ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস বাড়াতে ঘড়ির স্টাইলিশ লুক এখনো মনকে ছুঁয়ে যায়।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার ছোট্ট একটি কমেন্টস আমাদেরকে নতুন নতুন কনটেন্ট লিখতে উৎসাহিত করে। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। অমিক্রণ থেকে সতর্ক হয়ে চলাচল করবেন। আল্লাহ হাফেজ।