সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজকের নতুন আরো একটি টপিকস্ নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। মানব জীবনের বিভিন্ন মানবীয় গুন বা বৈশিষ্ট্য মানুষকে বৈচিত্র্যময় করেছে। বিচিত্র গুনের অধিকারী এই মানুষ বিবেকের বলে বলিয়ান হয়ে চাইলে সে গ্রহণযোগ্য মানুষ এবং অগ্রহণযোগ্য মানুষ দুটির যে কোন একটি হতে পারে।
মানুষের ভাবা উচিত এমন একদিন ছিল এই পৃথিবীতে আমি ছিলাম না এখন আছি আবার এমন একদিন আসবে যেদিন এই পৃথিবীতে আমি আর থাকব না। মানুষের মানবিক যে গুণগুলো থাকা প্রয়োজন যেটা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়, মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ন ঘটায় সেই সমস্ত গুণ ব্যতিত অন্য কোন গুণ যেমন অহংকার বা বড়ত্ব ইত্যাদি মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। আত্মহংকার মানুষের জন্য শোভনীয় উপকরণ নয় এটি স্বয়ং আল্লাহর অধিকারে সংরক্ষিত। মানুষ ভাবে না তাকে একবিন্দু নাপাক পানি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে যদি ভাবতো তাহলে সে কখনো আত্ম অহংকারী হয়ে উঠতে পারতোনা।
অহংকার পতনের মূল।এই সমাজের একশ্রেণীর মানুষ আত্ম অহংকারী হয়ে অন্য মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। সে মনে করে আমি ব্যতীত বাকি সবাই মূর্খ,কিছুই জানেনা। নিজের বড়ত্ব সবার কাছে প্রকাশ করে।কিন্তু আসল বাস্তবতা হলো একজন মানুষ কেমন সেটি নিজে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই অন্যরাই বলে দিবে আপনি কেমন।
সমাজে ধনী-গরিব, সাদা- কালো, ধর্ম-গোত্রের বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করে।সমাজে এই সকল পেশার মানুষের যথাযথ স্ব স্ব সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু সমাজের কিছু অর্থশালী বা বৃত্তশালী মানুষেরা গরিব বা ভিন্ন বর্ণ বা ভিন্ন গোত্রের মানুষদেরকে একটি অযোক্তিক ফ্রেমে আবদ্ধ করে রেখেছে। তাদের সাথে আচরণ গত মূল্যবোধ পরিবর্তন করে ফেলে। এই কাজগুলো তথাকথিত সভ্য মানুষের অসভ্য কাজ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
সবসময়ই মনে রাখবেন মানুষ মানুষই। কোন অযাচিত অনাকাঙ্ক্ষিত ফ্রেমে বেঁধে মানুষ কে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না। অর্থ -সম্পদ বা ধন-ঐশ্বর্যের বাহাদুরি, তীক্ত বাণী বিনিময় , অশুভ ইশারা বা অঙ্গভঙ্গি করে মানুষকে ছোট করে নিজেকে অহংকারী বানাবেন না।
মনে রাখবেন অহংকার = জ্ঞান-বুদ্ধি। অর্থাৎ স্বীয় জ্ঞান থেকে আপনার বুদ্ধিকে শেষ করে দিলে বা মাইনাস করে দিলে কী থাকে????? অহংকার থাকে। আর স্বীয় জ্ঞানে বুদ্ধির প্রয়োগ না থাকলে তাকে নির্বোধ বলে। তাহলে এসকল নির্বোধরাই অহংকারী হয়। মহান আল্লাহ্ আমাদের শুভ বুদ্ধির দোয়ারকে উন্মোচন করুন।
এই আর্জি বা নিবেদন রেখেই সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করলাম।