উপকারী গাছের যেমন ছাল থাকে না তেমনি উপকারী ব্যক্তির পিঠের, চামড়াও থাকে না! এইটার প্রমাণ এই অর্জুন গাছ।
আপনি যত আবেগী হয়ে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াবেন, টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করবেন, সার্বিকভাবে পাশে থাকবেন ততবেশি আপনার দুর্বল জায়গায় আঘাত করার চেষ্টা করবে কিছু অমানুষ। তার মানে এই নয় যে আপনি বিপদে কারো পাশে দাঁড়াবেন না। অবশ্যই দাঁড়াবেন কিন্তু
অসুর/নরপশুদের কাছ থেকে সাবধান ও সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে তারা প্রয়োজনে আপনাকে বাবা, মাসিমা, দাদা বাবু সব বলবে কিন্তু প্রয়োজন শেষে আপনাকে গালি দিবে এটা আপনি ধরে নিতে পারেন৷
তারপরও আপনাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে কেউ যদি আপনার দ্বারা উপকৃত হয়ে আপনাকে পেছন থেকে বাঁশ দেয়। সেই বাঁশ আপনি একত্রিত করে জনগণের নদী পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেবেন। আপনার এই কৃত কর্মের ফল,
মহান ♥️ শ্রীষ্টি কর্তা ❤ পরম করুনাময় ঈশ্বর ♥️ অবশ্যই আপনাকে আপনার কৃত কর্মের জন্য,
উত্তম জায়গা দান করবেন।
তাই আসুন আমরা সবাই মিলে একসাথে চলার চেষ্টা করি। এতে করে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে।
আজ রাত থেকে আগামীকাল মাগরিবের পূর্বেই সূরা কাহাফ (১৮ নং সূরা) পড়ুন।বেশি বেশি ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) এবং দূরদ শরীফ পড়ুন।দোআ কবুলের সময় এই দিনের কোন এক মুহূর্ত। বিশেষ করে (আছর থেকে মাগরিবের) মধ্যবর্তী সময় দোআ করতে ভুলবেন না। বেশি বেশি দরূদ ও ইস্তেগফার বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও জুমার দিনের অবহেলিত আমল।
শুক্রবারে কি করণীয়?
শুক্রবারের (১০) সুন্নাহঃ
১| গোসল করা। (বুখারিঃ ৮৭৭)
২| ফজরের সালাতে সূরা আস- সেজদা ও সূরা ইনসান পড়া। ( বুখারিঃ ৮৯১)
৩| সূরা কাহাফ পাঠ করা। ( বুখারিঃ ৩/ ২৪৯)
৪| দরূদ পাঠ করা। ( আবু দাউদঃ ১০৪৭)
৫| বেশি করে দু’আ করা বিশেষ করে আসরের শেষের দিকে। ( আবু দাউদঃ ১০৪৮)
৬| জুম্মা সালাতের জন্য তাড়াতাড়ি যাওয়া। ( বুখারিঃ ৮৮১)
৭| উত্তম পোশাক পরিধান করা ও সুগন্ধি লাগানো। (বুখারিঃ ৮৮৬, ৮৮০)
৮| নীরব থাকা ও খুদবা শোনা। ( বুখারিঃ ৯৩৪)
৯| ২/৪ রাকাত নফল সালাত আদায় করা জুম্মা সালাতের পর। ( মুসলিমঃ ৯৩৪)
১০| জুম্মা সালাতের পর একটু ঘুমাইয়া লওয়া।
( বুখারিঃ ৯৪০)।