আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি মোটা থেকে রোগা হওয়ার ডায়েট চার্ট । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই অনিয়মিতভাবে খাবার খায় ও একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের মধ্যে ভাজাপোড়া ও অত্যাধিক ভাত তথা শর্করা ঢুকে গেছে, কিন্তু এটা উচিত নয়। প্রতিটি মানুষেরই নিয়ম মেনে চলা উচিত। তো অত্যাধিক খাওয়ার কারণে অনেক মানুষই মোটাজনিত সমস্যার সম্মুখীন হয়।
নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বা নিয়ন্ত্রণের আনার জন্য অনেকেই ডায়েট করেন। বিভিন্ন ধরণের ডায়েট রয়েছে। আপনি কোন ডায়েট করবেন তা আপনার ওজন কত ও আপনি কতটুকু ওজন কমাবেন তার উপর নির্ভর করে। দ্রুত ওজন কমানোর চেয়ে আস্তে আস্তে কমালেই ভালো হয়।
এতে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এক ধরণের ডায়েট প্ল্যান আছে যাতে একজন একটি নির্দষ্ট সময়ের জন্য প্রায় সকল ধরণের শর্করা খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটি কিন্তু মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই ডায়েট করা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকক্ষেত্রে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা গিয়েছে। তো আজকের এই পোস্টে আমি একটি স্বাস্থ্যসম্মত কার্যকর একটি ডায়েট চার্ট আপনাদের সামনে হাজির করব। তো শুরু করা যাক।
মোটা থেকে রোগা হওয়ার ডায়েট চার্ট
আপনি যে কয় বেলা বা যে কয়বার খাবেন তার মধ্যে কমপক্ষে একবেলা হলেও অবশ্যই শর্করা ও আমিষ রাখতে হবে কারণ আপনি যদি শর্করা ও আমিষ খাওয়া বন্ধ করে দেন আপনার শরীর অত্যাধিক দুর্বল হয়ে পড়বেন। সারাদিন কি খাবেন তা অনেক অংশই নির্ভর করে আপনি কতটুকু শক্তি খরচ করেন কিংবা কতটুকু কাজ করেন তার উপর।
আপনি কোন বেলায় কি কি খাবেন বা খেতে পারেন তার একটি নমুনা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
সকালঃ সকাল বেলা আপনি শর্করা রাখতে পারেন তার সাথে শাক সবজি কিংবা মাংস রাখতে পারেন। তো শর্করা হিসেবে আপনি রুটি খেতে পারেন। সকাল বেলা ভাত খাওয়া মোটেও উচিত নয়।
বয়স, লিঙ্গ ও শ্রমের উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ২টি আটার রুটি খেতে পারেন। তার সাথে এক বাটি সবজি কিংবা একটি মুরগির মাংস (৩০-৫০ গ্রাম) খেতে পারেন। আপনি চাইলে ডিমও খেতে পারেন। আপনার চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সাথে রং চা খেতে পারেন। সকালের নাস্তা ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সেরে ফেলুন।
দুপুরের আগেঃ এটি মূলত দুপুর ১১টা ১২টার দিকে খেতে পারেন। এসময় আপনি হালকা ফলমূল খেতে পারেন তাছাড়া এসময় শসাও খেতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য শসা কার্যকারী একটি খাদ্য।
দুপুরঃ আমরা বাঙালিরা দুপুর বেলা সাধারণত ভাত খেতে অভ্যস্ত। তাই দুপুরবেলায় আপনি শর্করা হিসেবে ভাত খেতে পারেন। ভাই যথাসম্ভব কম খাবেন। আপনি ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম ভাত খেতে পারেন। ভাতের সাথে আপনি মাছ-মাংস কিংবা ডাল ও শাক সবজি খেতে পারেন। তার পাশাপাশি এক বাটি শসার সালাদ খেতে পারেন।
সন্ধ্যাঃ সন্ধ্যা বেলায় আপনি চা খেতে পারেন। অবশ্যই রঙ চা কারণ দুধ চা এ প্রচুর ক্যালরি থাকে। চা এর সাথে আপনি মুড়ি বা বিস্কুট খেতে পারেন।
রাতঃ রাতে ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ভাই খাওয়ার বদলে আপনি একটি বা দুইটা রুটি খেতে পারেন। রুটির সাথে আপনি শাকসবজি ও ডাল খেতে পারেন। তাছাড়া একটু সালাদ খেতে পারেন। খাওয়ার আপনি একটু টক দেই খেতে পারেন।
ডায়েটে থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই বেশি মিষ্টি খাবেন না।
চিনিযুক্ত কিছু খাবেন না। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা তেলের খাবার খাবেন না। শরবত, কোকাকোলা ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও অতিরিক্ত শর্করা অর্থাৎ ভাত বা রুটি খাবেন না।
ডায়েটের পাশাপাশি অবশ্যই আদর্শ পরিমাণ ঘুম ও ব্যায়াম নিশ্চিত করুন। সাধারণত ৮ ঘণ্টার ঘুমকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর সপ্তাহে কমপক্ষে সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়ামকে আদর্শ বলা যায়।
তো আজকের জন্য এতটুকুই (মোটা থেকে রোগা হওয়ার ডায়েট চার্ট)। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।