বর্তমান দিনে একটি স্মার্টফোন আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি। এক্ষেত্রে মোবাইল দ্বারা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যোগাযোগ করতে হলে আমাদের মোবাইলে ব্যালান্স থাকতে হয়। আপনার আমার মতোই সবার মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড বা রিচার্জ করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আমরা সবাই মোবাইল রিচার্জের দোকানে গিয়ে থাকি।
আমাদের মোবাইলে টাকা লোড করে দেওয়ার বিপরীতে তারা কিছু নির্দিষ্ট কমিশন আয় করে থাকে। তাহলে যদি আপনি কম টাকার মধ্যে একটি মোটামুটি লাভজনক ব্যবসা খুঁজছেন মোবাইল রিচার্জ ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।একদম সল্প পুঁজিতে যেকেউ চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আজকের আর্টিকেল পড়ে আমরা মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবো। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।
মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?
আপনি যেকোনো বিজনেস শুরু করে চাইলে আপনাকে কিছু স্টেপ মেনে তারপর সেটি শুরু করতে হবে। এক লাফে যেমন গাছে উঠা সম্ভব না তেমনি আপনি একটি স্টেপে কখনো কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। তাহলে আসুন কয়েকটি স্টেপ জেনে নেই যেগুলোর মাধ্যমে আমরা এই বিজনেস শুরু করতে পারি।
১) জায়গা নির্বাচন করুনঃ রিচার্জের ব্যবসা করতে আপনাকে একটি দোকান দেওয়ার প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে কোথায় দোকান দেওয়াটা লাভজনক হবে সেই চিন্তা করে একটি ভালো জায়গা নির্বাচন করুন। চেষ্টা করবেন যেখানে বেশি মানুষদের আনাগোনা সেখানে এটি শুরু করতে।
২) বাজেট নির্ণয়ঃ বিজনেস শুরুর আগে থেকে অন্যান্য পরিকল্পনার সাথে বাজেট পরিকল্পনা করাটা গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যবসায় শুরুর আগে থেকে পরিচালনা করা পর্যন্ত কি পরিমান খরচ হবে সেটি নির্ধারণ করে টাকা গুছিয়ে নিন। ব্যবসায়ের মূলধন জোগাড় করতে ব্যাংক লোন বা অন্যান্য পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
৩)প্রচার করুনঃ অনলাইন বা অফলাইন দুই ধরনের ব্যবসায় প্রচার বিষয়টি অনেক জরুরী। প্রচার এর দ্বারা আপনি আপনার কাঙ্খিত ব্যবসা বহু লোকের নিকটে পৌঁছে দিতে পারেন। ব্যবসায়ের লাভের স্বার্থে পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করে প্রচারণার কাজ চালানো যেতে পারে। এখন জেনে নেই এই ব্যবসা শুরু করতে হলে আমাদের কি কি থাকা লাগবে।
ফ্লেক্সিলোড/রিচার্জের ব্যবসা শুরুতে কি কি প্রয়োজন?
ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে ভিন্ন রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন হয়। তবে ফ্লেক্সিলোড এর ক্ষেত্রে যা যা লাগবে সেগুলো হলোঃ
১) যতটি সিমের লোড ব্যবসা করতে চান ততটি সিম। বাংলাদেশে যেহেতু গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক, এয়ারটেল এই ৫ টি সিম বেশি প্রচলিত সেহেতু আপনিও ৫ টি সিমের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৫ টি সিম ভিন্ন কোম্পানি থেকে আপনাকে ক্রয় করতে হবে।
২) ৫ টি সিমের জন্য ৫ টি ভিন্ন সেট ক্রয় করতে পারেন। তবে ডুয়েল সিম আছে এমন মোবাইল নিলে ২-৩ টি মোবাইল দিয়ে হবে।
৩)ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স বা যাবতীয় কাগজপত্র গুছিয়ে নিন।
৪) ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর খুঁজে নিন, ডিলার ব্যতিরির এই বিজনেস করতে পারবেন না।
এসকল কিছু থাকলে আপনি এবার ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় নামতে পারেন।
সর্বশেষ পরামর্শ
ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায় পরিশ্রম করে কাজ করলে প্রতি মাসে অন্তত ৮-১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
তবে চেষ্টা করবেন অন্য কোনো বিজনেস এর পাশাপাশি এটি করতে তাহলে আপনার লাভের পরিমাণ বেশি হবে। আল্লাহ হাফেজ