ব্লাড গ্রুপিংয়ের জন্য যা যা দরকারঃ
১। ব্লাড গ্রুপিংয়ের ৩ টা এন্টিজেন।
a. Anti-A (এন্টিজেন-এ)
b. Anti-B (এন্টিজেম-বি)
c. Anti-D (এন্টিজেন-ডি)
২। সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত একটা সুঁচ লাগবে।
৩। একটা কাঁচের স্লাইড লাগবে।
৪। তুলা লাগবে।
৫। জীবানুনাশক লাগবে।
প্রথম কাজ হলো, যার ব্লাড গ্রুপ নির্বাচন করবেন তার হাতের যে কোনো একটা আঙুল ভালো করে জীবাণুমুক্ত করে নিবেন। এরপর সুঁচ দিয়ে আঙুল এর আগায় হাল্কা খোঁচা দিয়ে কাঁচের স্লাইডে ৩ ফোটা রক্ত নিবেন। রক্ত নেয়ার পর নিন্মোক্ত নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করুন।
১ম ফোঁটা এন্টি-A তে রাখবেন।
২য় ফোঁটা এন্টি-B তে রাখবেন।
৩য় ফোঁটায় এন্টি-D তে রাখবেন।
রাখার পর ভাল করে সুঁচ এর গোড়া দিয়ে মেশাবেন। খেয়াল রাখবেন রক্ত এবং এন্টিজেন মেশানোর সময় একটা যেনো একটা অন্যটার সাথে মিশে না যায়।
এখন ব্লাড গ্রুপিংয়ের এর নিয়মঃ
১। মেশানোর পর যদি Anti -A ফাটে আর Anti-B না ফাটে তাহলে রক্তের গ্রুপ হবে A।
২। যদি Anti-A না ফাটে আর Anti -B ফাটে তাহলে রক্তের গ্রুপ B।
৩। যদি Anti- A এবং Anti-B দুইটাই ফাটে তাহলে রক্তের গ্রুপ AB।
৪। যদি Anti-A ও Anti-B একটাও না ফাটে তাহলে রক্তের গ্রুপ O।
আমরা রক্তের গ্রুপ নির্বাচন শিখলাম।
এখন positive আর negative নির্বাচনঃ
১। Anti-D (এন্টিজেন-ডি) …….. যদি ফাটে তাহলে রক্ত +(positive)।
২। Anti-D (এন্টিজেন-ডি) ……… যদি না ফাটে তাহলে রক্ত —(negative)।
মানুষ হিসেবে আমরাই পারি সারা পৃথিবীতে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে এক স্বগীর্য় পরিবেশ তৈরি করতে। আপনার এক একটি ভালো কাজই পারে একটি সমাজের কল্যাণ সাধনে কাজ করে যেতে। এরূপ একটি কল্যাণকর কাজ হলো ‘রক্তদান’।
আমরা জানি, ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। রক্তদান এমনই একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনো অর্থ ছাড়াই শারীরিকভাবে সুস্থ একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি পারেন পরম সুখের অধিকারী হতে। তবে এ জন্য প্রয়োজন হবে শুধুই তার স্বদিচ্ছা।