গ্রামের নাম হঠাৎপুর। সেই গ্রামটি ছিল রেল লাইনের পাশে। গ্রামটির নাম অনেক ভয়ংকর কারণ, রাতে সেই গ্রামে রেল লাইনে ভুতের আওয়াজ পাওয়া যেতো। আর তো মাঝে মাঝে রেল লাইনে মানুষের রক্ত মাখা লাশ পাওয়া যেতো। তাই সেই গ্রামের লোকজনেরা রাতে ঘর থেকে বের হতো না। সেই গ্রামে বাস করতো হেলাল। সে ভুতকে বিশ্বাস করতো না। রাতে হেলাল অনেক বার রেল লাইনে পাশে যেতে চাইতো। কিন্তু তার বাবা-মা তাকে ঘর থেকে বেরোতেই দিতো না।
একদিন হেলালের বাবা-মা হেলালকে শহরে পড়ালেখা শিখানর জন্য পাঠিয়ে দিলো। দিন কাটতেই লাগলো। আর গ্রামে আসতে আসতে লোক জন নিখোঁজ হতে লাগলো। কেউই বুঝতে পারছিলো না যে, কি হচ্ছে এই গ্রামে। বেশির ভাগ লোকজনেরা বলাবলি করতেছে যে, এই মানুষ নিখোঁজ হওয়ার কারণ হচ্ছে ,ভুতুরে রেল লাইন।
তারা এমনি এমনি বলছে না। যারাই নিখোঁজ হচ্ছে তারাই রেল লাইনের পাশে রক্তাক্ত হয়ে পরে মরে লাশ হয়ে থাকতেছে। এই ভাবে কিছু দিন চলতে থাকলো। আর মানুষ এক এক করে মরতেই থাকলো। একদিন হেলাল তার গ্রামে শীত কালিন ছুটি কাটাতে আসলো। আর সে জানতে পেলো গ্রামের লোকজনদের রেল লাইনের ভুত মেরে ফেলতেছে। কিন্তু হেলাল তা বিশ্বাস করলো না যে, ভুত মানুষদের মেরে ফেলতেছে। কারণ, সে তো জানে ভুত বলতে কিছুই নেই।
তাই হেলাল ঠিক করলো যে, “সে রাতে রেল লাইনে নজর রাখবে”। সেই অনুযায়ি হেলাল রাতে রেল লাইনের পাশে একটি ঝোপে লুকিয়ে থাকলো। আর ভুতের অপেক্ষা করতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পর হেলাল দেখতে পেলো একজন সাদা কাপড় পড়া ব্যক্তি মুখ দিয়ে ভুতের আওয়াজ বের করতেছে। সে অবাক হলো। আবার কিছুক্ষণ পর দেখলো সাউন বক্স থেকে ভুতের আওয়াজ বের হচ্ছে।
এবার হেলাল বাড়িতে ফিরে আসলো। আর দিন হলেই তার বন্ধুদের সব কথা জানিয়ে দিলো। সে কি কি রাতে দেখেছিল। হেলালের বন্ধুরা ঠিক করলো সেই ভুতকে শাস্তি দেবে।
তাই তারা রাতের জন্য অপেক্ষা করলো। এরপর রাত হলো। হেলাল ও তার বন্ধুরা সেই রেল লাইনের ঝোপের আরালে লুকিয়ে থাকলো। কিছুক্ষণ পর সের ভুত আসলো। তখন সবাই ভুতের ওপর ঝাপিয়ে পরলো। আর ভুতের অভিনয় করা খুনিকে বেধে রাখলো। সকাল হলো এবং সকলে দেখতে পেলো সেই গ্রামেরি একজন মানুষ। সে হিংসার কারণে সবাইকে মেরে ফেলছিল।
তাই এবার গ্রামের লোকজনেরা লাঠি দিয়ে তার হাত পা ভেঙ্গে দিলো আর শেষে সেই লোকটি মারা গেলো। কিন্তু সবাই জানলো ভুত রেল লাইনে আর নেই। আসলে সেই লোকটি এবার সত্যি সত্যি ভুত হয়ে রেল লাইনে থাকা শুরু করল। তাকে মাঝে মাঝে রাতে কান্না করতে দেখা যায়।
তো বন্ধুরা কি ভুতের কাহিনী কেমন লাগলো?
সকলকে ধন্যবাদ।