আজকের পোস্টে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত দুটি ফুল পদ্ম ফুল ও শাপলা ফুল সম্পর্কে কথা বলতে যাচ্ছি। শাপলা ফুল ও পদ্ম ফুল কি, শাপলা ও পদ্ম ফুলের পার্থক্য আছে কিনা, শাপলা ও পদ্ম ফুল কখন ফোটে, শাপলা ও পদ্ম ফুল বিক্রি করে আয় করা যায় কিনা, শাপলা ও পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে৷ তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
জাতীয় ফুল শাপলা ফুল
শাপলা হলো সপুষ্পক এক ধরণের জলজ উদ্ভিদ। শাপলা ফুলকে কিছু কিছু এলাকায় শালুকও বলা হয়। শাপলা ফুল বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত একটি ফুল। শাপলা ফুল এশিয়া বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশ ও তার আশেপাশের স্থানসমূহে বেশি পাওয়া যায়। ইংরেজিতে শাপলা ফুলকে Water Lily বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Nymphaeaceae। বৈজ্ঞানিক দিক থেকে Nymphaeaceae একটি পরিবারের নাম এবং এই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সকল ফুলের নামই শাপলা ফুল৷ শাপলা ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।
যেমন: সাদা, গোলাপি, লাল, হলুদ, নীল, বেগুনি ইত্যাদি। এর মধ্যে সাদা রঙের গোলাপই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
সাদা রঙের শাপলা ফুল বা White Warer Lily হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।
এর বৈজ্ঞানিক নাম Nymphaea alba। নীল শাপলা ফুল বা Blue Water Lily শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফুল।
একে তারা নীল মাহানেল বলে থাকে। শাপলা ফুল সাধারণত এমনিই পানির মধ্যে হয়।
সাধারণত পুকুর বা এমন কোনো স্থান যেখানে পানিতে কোনো স্রোত নেই এমন জায়গায় শাপলা ফুল জন্মে থাকে।
শাপলা ফুলের পাতা ও ফুল পানির উপরে ভেসে থাকে যদিও এর মূল এবং অন্যান্য অংশ সাধারণত পানির নিচে থাকে।
পদ্ম ফুল সম্পর্কে
পদ্ম ফুল বাংলাদেশের আরেকটি অত্যান্ত জনপ্রিয় ফুল। শাপলা ফুলের মতো পদ্ম ফুলও একটি সপুষ্পক জলজ উদ্ভিদ। পদ্ম ফুল ভারতের জাতীয় ফুল। পদ্ম ফুল ভিয়েতনামেরও জাতীয় ফুল। পদ্ম ফুলকে ইংরেজিতে Lotus বলে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Nelumbo nucifera বলা হয়। পদ্ম ফুল Nelumbonaceae পরিবারের অংশ। পদ্ম ফুলও নানা রঙের হতে পারে৷ পদ্ম ফুল মূলত সাদা বা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে৷ এছাড়াও নীল, বেগুনি বা হলুদও হতে পারে। পদ্ম ফুলের ফুল ও পাতা জলের উপর ভেসে থাকে। কিন্তু এর মূল পানির নিচের মাটির ভিতর থাকে। অনেকটাই শাপলা ফুলের মতো।
শাপলা ও পদ্ম ফুলের পার্থক্য আছে কি না?
শাপলা ফুলের ও পদ্ম ফুলের মধ্যে বেশ কয়েকটি পার্থক্য রয়েছে।
কিন্তু এর পাশাপাশি কিছু ওভারঅল মিলও রয়েছে। নিচে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
শাপলা ও পদ্ম ফুলের পার্থক্য মানে মিল অমিল
১. শাপলা ফুল একটি সপুষ্পক ফুল এবং পদ্ম ফুলও ঠিক একই একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ।
২. শাপলা ফুল একটি জলজ উদ্ভিদ এবং পদ্ম ফুলও একটি জলজ উদ্ভিদ। জলজ উদ্ভিদ অর্থ হচ্ছে যেসব ফুলের পানির নিচে বা পানিতে হয়। শাপলা ও পদ্ম ফুল পুকুর বা অগভীর জলাশয়ে যেখানে স্রোত কম হয় এমন স্থানে হয়।
৩. শাপলা ফুল ও পদ্ম ফুল উভয় ফুলেরই রঙ একই ধরণের হয়ে থাকে। সাদা, নীল, লাল ইত্যাদি।
৪. পদ্ম ফুল এবং শাপলা ফুল উভয়রেই বাহ্যিক বর্ণনা অনেকটাই একই। দুইটি ফুলেরই পাতা ও ফুল পানির উপরে ভেসে থাকে কিন্তু মূল পানির নিচের মাটিতে থাকে।
৫. শাপলা ফুল ও পদ্ম ফুলের ফুল ফোটার সময়কালের মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে। কাছাকাছি সময়ে উভয় ফুল ফোটে। নিচে এ বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করা হবে।
শাপলা ও পদ্ম ফুলের পার্থক্য
শাপলা ফুল ও পদ্ম ফুলের মধ্যে অনেক কয়টি পার্থক্য রয়েছে। কারো প্রথম দেখায় কোনটি শাপলা ও কোনটি পদ্ম বোঝা দুষ্কর। নিচে ফুল দুটির মধ্যে কিছু পার্থক্য তুলে ধরা হলো।
১. শাপলা ফুল Nymphaeaceae পরিবারের সদস্য অপরদিকে পদ্ম ফুল Nelumbonaceae পরিবারের অংশ।
২. পদ্ম ফুলের পাতা সাধারণত সম্পূর্ণভাবে গোল বা বৃত্তকার হয়ে থাকে। কিন্তু শাপলা ফুলের পাতার একপাশ থেকে অল্প কিছুটা কাটা থাকে। পাতা দুটি পাশাপাশি থাকলে আপনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন।
৩. শাপলা ফুলের পাতা সাধারণত পানির মধ্যে ভাসতে থাকা অবস্থায় থাকে। অপরদিকে পদ্ম ফুলের বেশিরভাগ পাতা সাধারণত পানি থেকে কিছুটা উপরে থাকে যদিও অনেক পাতা পানিতে ভাসতে থাকে।
৪. পদ্ম ফুলের ফুলের আকার সাধারণত শাপলা ফুলের চেয়ে আকারে বড় হয়ে থাকে। একটি শাপলা ফুল গড়ে প্রায় ৩০.৫ সেমি হয়ে থাকে। অপরদিকে একটি পদ্ম ফুল প্রায় ১৫২ সেন্টিমিটারের মতো হয়ে থাকে।
৫. পদ্ম ফুলের পাতার মতো পদ্ম ফুলের ফুলও পানিতে ঠিক ভাসে না বরং পানি থেকে অল্প কিছুটা উপরে অবস্থান করে।
শাপলা ও পদ্ম ফুল কখন ফোটে?
শাপলা ও পদ্ম ফুল পানিতে ফোটে। শাপলা ফুলকে সাধারণত বারো মাসই দেখা যায় এদের জন্মের তেমন কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই যদিও কিছু কিছু ঋতুতে শাপলা ফুল ফোটার ও বৃদ্ধির জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। বিশেষ করে বর্ষা কালে শাপলা সবচেয়ে বেশি ফোটে। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাসে মূলত শাপলার ফুল ফোটা শুরু হয়। এরপর ভাদ্র এমনকি আশ্বিন মাস পর্যন্ত শাপলা ফুল ফুটতে থাকে। শাপলা ফুল মূলত রাতের দিকে ফোটে এবং দিনের বেলায় কিছুটা সঙ্কুচিত হয়ে যায়। আবার শাপলা ফুলের কিছু জাতি রয়েছে যা দিনের বেলায় ফোটে। কিন্তু বেশিরভাগ শাপলা ফুলই রাতের বেলায় ফোটে এবনহ দিনের বেলায় কিছুটা বন্ধ থাকে।
অপরদিকে পদ্ম ফুলের ফোটার সময়ও অনেকটাই একই ধরণের৷ বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে ফুল ফোটা আরম্ভ শুরু করে।
ভাদ্র ও আশ্বিন অর্থাৎ শরৎকালে পদ্ম ফুল বেশি ফোটে এবং এই ফুল ফোটা হেমন্তকালেও চলতে থাকে।
পদ্ম ফুল মূলত রাতে ফোটে। ভোরে এবং সকালেও ফুল খোলা থাকে।
কিন্তু রোদ প্রখর হওয়ার আগ পর্যন্ত ফুল প্রস্ফুটিত থাকে।
শাপলা ফুল কোথায় কোথায় ব্যবহার হয়
শাপলা ফুল যে কেবল সুন্দর তা কিন্তু নয়। এর সৌন্দর্য ছাড়াও মানুষ শাপলা ফুলকে নানা কাজে ব্যবহার করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের কাছে শাপলা ফুলের গুরত্ব অনেক মূলত এর সৌন্দর্যের জন্য। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও অনেক কাজে শাপলা ফুলিকে ব্যবহার করা হতো। শাপলা ফুলকে ঘর সাজানো ও নানা নানা ধরণের প্রার্থনা অনুষ্ঠানে শাপলা ফুল ব্যবহৃত হত। এছাড়াও খাদ্য হিসেবেও শাপলা ফুল ব্যবহার করা হত। শাপলা ফুলের ডাটাকে সবজি হিসেবে খাওয়া হয় যা এখনো খাওয়া হয়ে থাকে। শাপলা ফুলের গর্ভাশয়ে আঠালো বীজ ভেজে এক ধরণের খৈ তৈরি করা হয় একে ঢ্যাপের খৈ বলে।
এছাড়াও শাপলার একটি কন্দের মতো অংশ শালুকও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
লাল শাপলা ও নীল শাপলা ঘরে ডেকোরেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাগান সাজাতেও বাগানের আশেপাশের জলধারায় শাপলা লাগানো হয়। শাপলার ওষুধি গুণও রয়েছে।
শাপলা ফুল ব্যবহার করে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয় যা অপরিপাকজনিত রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পদ্ম ফুল কোথায় কোথায় ব্যবহার হয়
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পদ্ম ফুল অনেক পবিত্র। নানা পূজা বিশেষ করে দুর্গা পূজায় পদ্ম ফুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শাপলা ফুলের মতো পদ্ম ফুলেরও ডাটা সবজি হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। পদ্ম ফুলের নানা ধরণের ঔষুধি গুণও রয়েছে। মানবদেহে ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণে এটি খাওয়া যায়।
এছাড়াও চুলকানি ও রক্ত আমাশয়ের ক্ষেত্রেও এটি কাজ করে।
প্রদাহ কমাতে, ত্বকের ক্ষেত্রে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পদ্ম ফুল ব্যবহার করা হয়।
শাপলা ও পদ্ম ফুল বিক্রি করে কি আয় করা যায়?
হ্যাঁ। শাপলা বা পদ্ম ফুল ব্যবহার করএ নিশ্চয়ই আয় করা যাবে। এমন অনেক লোকই আছে যারা এসব ফুল সংগ্রহ করে ও বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্ভর করে। অনেক মানুষ ঘর সাজানো বা বিভিন্ন কারণে এসব ফুল কিনতে পারে৷ এছাড়াও খাদ্য হিসেবেও শাপলা ও পদ্ম ফুলের ডাটার ভালো ডিমান্ড আছে। তো ডাটা বিক্রি করে ভালো আয় সম্ভব। আবাএ পদ্ম ফুল হিন্দুদের কাছে বিশেষ সম্মানের। তাই কোনো পূজার আগে আগেও ফুলের চাহিদা অনেক বেশি হয়ে যায়। বিশেষ করে দুর্গা পূজার সময় পদ্ম ফুলের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যদিও পদ্ম বা শাপলা ফুল বিক্রি করে তেমন বড় মাপের কোনো আয় আশা করা যায় না।
এছাড়াও নানাভাবে পদ্ম ফুল কিংবা শাপলা ফুল দিয়ে আয় করা যায়।
আপনি চাইলে এসব ফুল চাষ করে পরবর্তী তা বিক্রি করতে পারেব।
আবার একোতা পুকুর বা বিলে এসব ফুলের চাষ করতে পারেন। এবং দর্শনার্থীদের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
যেমন প্রথমে ওই পুকুর বা বিলে মাঝি রাখবেন এবং তাদের আয়ের একটি অংশ আপনি নিবেন।
কিংবা বিল এলাকায় প্রবেশের জন্য আপনি চাইলে একটা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করে রাখতে পারে।
যদিও এর জন্য আপনার অনেক টাকা খরচ করতে হবে এবং আয়ও বেশি হবে।
ছুটির দিনসমূহে অনেক দর্শনার্থী পাবেন এছাড়া সিজন অর্থাৎ বর্ষাকাল বা শরৎকালে উপচে পড়া ভিড় দেখতে পাবেন।
বরিশালে শাপলা ফুলের এবং কুমিল্লায় পদ্ম ফুলের এমন একটি বাগান ইতিমধ্যে আছে।
শাপলা ও পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য বর্ণনা
আগেই বলা হয়েছে শাপলা ফুল ও পদ্ম ফুল প্রাচীনকাল থেকেই অনেক কদর পেয়ে আসছে এর সৌন্দর্যের জন্য। এখনও অনেক কম মানুষই আছে যারা পুকুর বা বিলে শাপলা ফুল বা পদ্ম ফুল দেখে মুগ্ধ হবে। বলা হয়ে থাকে, যাদের ফুল পছন্দ তারা মানুষ নয়। জলাশয়ের মধ্যে ফুল ফোটার চেয়ে সুন্দর আর কি হতে পারে।
যেই বা এয়াওকল ফুল দেখেছে তাদের জন্য সেই অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেয়াহের শাপলার বিল কিংবা পদ্মের বিলে মানুষের এত যাওয়ার মাধ্যমে বোঝা যায় যে সবার এসব ফুল কত পছন্দ।
শাপলা ফুল মূলত সাদা, নীল, গোলাপি, লাল, নীল রঙের হয়ে থাকে। প্রতিটি রঙের ফুলই অত্যন্ত সুন্দর দেখতে।
শাপলা ফুলের পাতার জন্ম হয় মাটির নিচের মূল থেকে। পাতাগুলো সাধারণত গোল এবং সবুজ রঙের হয়ে থাকে।
ফুলগুল সাধারণত পাতার উপরে অবস্থান করে। পাতার দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার বা এর কিছু কমবেশি হয়ে থাকে।
ফুলগুলোর ৪ থেকে ৫টি বৃতি থাকে। একটি ফুলের প্রায় ১৫টি এর মতো পাপড়ি থাকে।
একটি বৃতি প্রায় ১১ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ফুল ও পাতা সাধারণত পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে।
পদ্ম ফুলের মূল মাটির নিচে অবস্থান করে।
পদ্ম ফুলের ফুল ও পাতা সাধারণত মাটি থেকে হালকা উপরে অবস্থান করে যদিও কিছু কিছুক্ষেত্রে পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখা দেয়৷ পাতা গোলাকার, সবুজ ও বেশ পুরু।
পাতার বোটা লম্বা ভিতরটা ফাঁপা।ফুল আকারে বড় হয়ে থাকে এবং অসংখ্য নরম পাপড়ির সমন্বয়ে পদ্ম ফুল গঠিত হয়।
নতুন ফুটন্ত ফুলে সাধারণত অনেক সুঘ্রাণ থাকে। পদ্ম ফুলের রঙ সাধারণত সাদা ও গোলাপির মিশ্রণ।
যদিও এছাড়াও আরো নানা রঙের পদ্ম ফুল হতে পারে। যেমন সাদা, লাল, নীল ইত্যাদি।
তো আজকে আমরা জানলাম শাপলা ফুল ও পদ্ম ফুল কি, শাপলা ও পদ্ম ফুলের পার্থক্য আছে কিনা, শাপলা ও পদ্ম ফুল কখন ফোটে, শাপলা ও পদ্ম ফুল বিক্রি করে আয় করা যায় কি না, শাপলা ও পদ্ম ফুল এর সৌন্দর্য ইত্যাদি সম্পর্কে। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। পোস্টটি কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
তথ্যবহুল আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ
Well done
Good writing
Nice
তথ্যগুলোর জন্য ধন্যবাদ
Nice
অনেক সুন্দর আলোচনা ।
Wlc
gd
Good