আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই সকল পাঠক ভাই ও বোনদের । সম্প্রতি গুগল নতুন একটি ফিচার এনেছে যার নাম গুগল ফ্যামিলি লিংক। তো আজকের এই পোস্ট টিতে আমরা সবাই জানতে পারবো গুগল ফ্যামিলি লিংক কী?
বর্তমানে শিশুরা জন্মের পর থেকে প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। শিশুরা বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এই নিয়ে অভিভাকরা দুশ্চিন্তায় থাকেন। তবে গুগল ফ্যামিলি লিংক হয়তো অভিভাবকদের কিছুটা নিশ্চিন্ত করতে পারে। কারণ গুগল ফ্যামিলি লিংক এর মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানের মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই ফিচারটি আপনি সহজেই গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
গুগল ফ্যামিলি লিংক দিয়ে যা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন: এই গুগল ফ্যামিলি লিংক এর মাধ্যমে অভিভাকরা দূর থেকে তাদের মোবাইল দিয়ে তাদের শিশুর মোবাইল লক করতে পারবেন। এই ফিচারটি দিয়ে আপনি নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন যে তারা কি কি দেখতে পারবে বা তারা কি কি ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়াও এই ফিচার দ্বারা অভিভাকরা যা যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তা হলো শিশুদের মোবাইলের লক হওয়ার সময়, ডাটা লিমিট, অ্যাপ ব্লক বা অ্যাপ্রুভ করা ইত্যাদি সব করতে পারবেন দূর থেকে।
যেভাবে শিশুর মোবাইলের সাথে গুগল ফ্যামিলি লিংক কানেক্ট করবেন: এই ফিচার চালু করতে হলে অভিভাবক ও শিশুর মোবাইল একে অপরের সাথে লিংক করতে হবে। এরপর দুজনের মোবাইলে একটি পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে। এই পাসওয়ার্ড দিয়েই অভিভাকরা শিশুদের মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই ফিচার দ্বারা অভিভাকরা ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। ১৩ বছরের বেশি বয়সী কিশোরদের মোবাইল গুগল ফ্যামিলি লিংক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে।
এই ফিচার দ্বারা কি করবেন: এই গুগল ফ্যামিলি লিংক দিয়ে অভিভাকরা তার শিশুর মোবাইলে নজর রাখতে পারবেন।মে তাদের শিশু মোবাইলে কি করছে। তাছাড়া শিশু প্লে স্টোর থেকে কি কি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে তাও অভিভাকরা ঠিক করে দিতে পারবেন। এই ফিচার দ্বারা অভিভাকরা শিশুদের গুগল একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া ও ফ্যামিলি লিংক ব্যবহার করে শিশুদের কন্টেন্ট সাজিয়ে দিতে পারেন।
সব মিলিয়ে গুগল ফ্যামিলি লিংক অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কমাতে দারুন একটি ফিচার চালু করেছে। যা দিয়ে অভিভাকরা শিশুদের অনলাইন দুনিয়া সাজিয়ে দিতে পারেন তাদের নিজেদের মনের মতো। এক কথায় শিশুদের নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি দারুন ফিচার চালু করেছে গুগল প্লে স্টোর।
আমার এই আর্টিকেল টি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আজকের মতোন এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। বিদায়।