আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।
“পরিবারের সদস্যদের যেসব কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়, সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলো:”
ভূমিকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা হলো ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং “টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা” হিসেবে লক্ষ্যগুলোকে প্রচার করছে। এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন কি: সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল(এসডিজি) বা টেকসই উন্নয়ন বলতে ঐ ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বোঝায়, যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাও নিশ্চিত হয় আবার প্রকৃতি এবং ইকোসিস্টেমেও কোন বাজে প্রভাব পড়ে না। ভিন্নভাবে বললে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা হল ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা।
টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় আচরণ সমূহ:
১. শিশু শিক্ষার প্রতি বিরূপ মনোভাব।
২. শিশু শ্রম।
৩. শিশু পাচার।
৪. অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতার ভিত্তিক গুণগত শিক্ষা হীনতা।
৫. লিঙ্গ বৈষম্য।
৬. বেকারত্ব।
৭. মরুকরণ।
৮. ভূমি অবক্ষয়।
পরিবারের সদস্যদের আচরণ: দারিদ্রতা বা পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে শিশুদের স্কুল এর পরিবর্তে কাজে পাঠাতে বাধ্য হয় মা-বাবা। তাছাড়া মা বাবা অসুস্থ হলে কিংবা তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে অনেক সময় শিশুরা অর্থউপার্জনে বাধ্য হয়। অভিভাবকদের বৈষম্যমূলক আচরণে অনেক সময় শিশুকে শ্রমিকে পরিণত করে।শিশুদের প্রতি নির্যাতন এবং অত্যাচারও এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা রাখে।
উপসংহার: শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সরকার কাজ করছে। নির্যাতনের শিকার শিশুদের আইনি সহায়তা, চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ সেবা প্রদান করছে। তবে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন জরুরি। তবেই টেকসই উন্নয়নের প্রসার ঘটতে পারে।
.
কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।