স্টার টপোলজি
নেটওয়ার্ক সকল কম্পিউটার থেক কেবল বের হয়ে আসে একটি কেন্দ্রিয় স্থানে যুক্ত হয় । এই কেন্দ্রিয় এসব ক্যাবল একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত হইয় যাতে কনসেনট্রেট বলে । এ কনসেনট্রেটর হবা বা সুইচ হতে পারে ।কোন কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সফার করতে চাইলে প্রথমে সেই হাব অথবা সুইচ পাঠিয়ে দেয় . এরপর হাব বা সুইচ সে সিগনালকে লক্ষ্যস্থলে পাঠিয়ে দেয় ।
স্টার টপোলজির সুবিধাসমূহ
- সহজেই নেটওয়ার্কে অধিকসংখ্যক কম্পিউটার যোগ করা যেতে পারে । স্টার টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা নির্ভর করে হবে কয়টি পোর্ট আছে তার উপর । একটি হাবের সবকইটি পোর্ট ব্যবহারিত হলে এই নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারন করা যেতে পারে আরকেটি হাব সেই হাবের সাথে যোগ করে এখানে হাবের সংখ্যা বাড়িয়ে নেটওয়ার্কে অধিক সংখ্যক কম্পিউটার যোগ করে যেতে পারে ।
- নেটওয়ার্কে কোন সমস্যা দেখা দিলে সহজেই কেন্দ্রিয় অবস্থান মানে হাব থেকে সমস্যা অনুসন্ধান শুরু করা যায় । ইনটলিজেন্ট হাব ব্যবহার করা হলে সেটি নেটওয়ার্ক মনিটরঙ্গের কাজও করতে পারে ।
- নেটওয়ার্কের কোন একটি কম্পিউটার বিকল হয়ে গেলে তা নেটওয়ার্কের উপর কোন প্রভাব ফেলে না । অন্যান্য কম্পিউটার নিজেদের মধ্যে ঠিকমতোই যোগযোগ করতে পারে । কোন কম্পিউটার সমস্যাযুক্ত ভাও বের করা যাই সহজেই ।
- হাব বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল সাপোর্ট করলে একইসাথে কয়েক ধরনের ক্যাবল ব্যাবহারের সুবিধা পাওয়ার যায় ।
স্টার টপোলজির অসুবিধাসমূহ ঃ
- কেন্দ্রের হাব অকেজো হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্কই বিকল হয়ে পড়ে ।
- এই টপোলজিতে অধিক ক্যাবল লাগে । কারন প্রতি কম্পিউটার থেকে ক্যাবলকে কেন্দ্রয় হাবের নিকট নিয়ে যেতে হয়। ক্যাবল বেশি খরচও বেশি হয় ।
রিং টপোলজি
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য এ ধরনের টপোলজি ব্যবহার করা হয় । এ ধরনের নেটওয়ার্কের বড় সুবিধা হলো এখানে প্রতিটি কম্পিউটার সমান অধিকার পেয়ে থাকে এবং অধিক কম্পিউটারে কারনে নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স কমে গেলে সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হয় । রিং টপোলজিকে বলা হয় একটিভ টপোলজি । এ টপোলজিতে কোন কম্পিউটার অন্য কোন কম্পিউটারের নিকট মেসেজ পাঠাতে চাইলে সেটি এর নিকটবর্তী কম্পিউটারের নিকট যাবে ।
সে কম্পিউটার দেখবে সেই মেসেজকে পরবর্তী কম্পিউটারের নিকট পাঠাবে , এভাবে সেটি গন্তব্যে পৌঁছাবে । প্রতিটি কম্পিউটার সেই সিগন্যাল্কে বর্ধিত করে পরের কম্পিউটারে নিকট পাঠায় । আর টপোলজিতে ডেটা প্যাকেট সবসময় একইদিকে প্রবাহিত হয় । বাস নেটওয়ার্কের মতো এখানে কোন টার্মিনেটর ব্যবহারের দরকার পড়ে না , কারন এখানে উন্মুক্ত প্রান্ত বলে কিছু থাকে না । বিশেষ ধরনের রিং নেটওয়ার্ক হলো টোকেন রিং নেটওয়ার্ক । টোকেন রিং নেটওয়ার্কে টোকেন পাসিং বলে একটি পদ্ধতি আছে ।
এতে একটি সংক্ষিপ্ত মেসেজ , যা টোকেন নামে পরিচিত , রিঙ্গে ঘুরতে থাকে । এই টোকেনটি যখন যে কম্পিউটারের কাছে থাকে তখন সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠাতে পারে । ডেটা পাঠানো শেষ হলেও টোকেনটি আবার ছেড়ে দিতে হবে এবং সেটি রিং বা বলয়ে আবর্তিত হতে থাকবে । যে কম্পিউটারের ডেটা পাঠানোর দরকার পড়বে সে ওই টোকেন ক্যাপচার করবে এবং ডেটা পাঠাবে ।
এইটা টপোলজির ২য় পর্ব। ৩য় পর্বে থাকবে রিং টপোলজির সুবিধা- অসুবিধা ও ট্রি টপোলজি।
বিভিন্ন নতুন নতুন তথ্য পেতে এই সাইটটি ভিজিট করুন ।