আমাদের সব বয়সের মানুষের মধ্যে একটা বড় মানুষিক রোগ হলো হতাশা | বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন কারণ নিয়ে হতাশা লক্ষ্য করা যায় | বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা একটু বেশি এ দেখা
যায় |
যে কারণ গুলোর জন্য মূলত হতাশা লক্ষ্য করা যাই তা পর্যবেক্ষন করলে দেখা যাবে বেশির ভাগ মানুষেরই নিজের অপ্রাপ্তির বিষয়গুলো থেকে হতাশা শুরু হয় | কোনো জিনিস আশানুরূপভাবে জীবনে না পেলে মানুষ হতাশ হয়ে পরে |
সাধারণত কিশোর বয়স থেকেই হতাশাবোধ শুরু হয় | বেশির ভাগ মানুষ এই নিজের জীবনটিকে অন্যের জীবনের সাথে তুলনা করতে বেশি সাচ্ছন্দবোধ করে |অন্যের জীবনের প্রাপ্তি গুলোর সাথে নিজের জীবনের অপ্রাপ্তি গুলো তুলনাই মূলত হতাশার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় |
হতাশাবোধ এমন একটি মানুষিক ব্যাধি যা একটি চোখে না দেখা গেলেও একটি মানুষ কে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় | হতাশাবোধ থেকে মানুষ আস্তে আস্তে একটি মানুষিক রোগীতে পরিণত হয় |
দিনে দিনে তার যেন অপ্রাপ্তিগুলোই প্রাপ্তি জিনিসগুলোর থেকে চোখে বেশি ধরা দেয় | হতাশাবোধ থেকে মানুষ বিভিন্ন অপকর্মেও লিপ্ত হয়ে পরে |
হতাশা থেকে বের হওয়ার মূলত প্রধান উপায় হলো নিজের জীবনকে অন্যের জীবনের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে | আপনি সবসময় জীবনের যে কোনো পরিস্থিতে নিজের জীবনকে আপনার থেকে কম সুখী মানুষের সাথে তুলনা করুন | সবসময় মনে রাখবেন আপনার যা আছে তা হয়তো অনেকেরই নেই | আপনার এই জীবনটা পাওয়ার জন্য দেখুন কত মানুষ প্রতি নিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে | সেই মানুষগুলোর সাথে আপনার জীবনের তুলনা করুন |
সবসময় মনে রাখতে হবে এই পৃথিবীতে সবাই সব কিছু নিয়ে সুখী না | সব মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু অপ্রাপ্তির তালিকা রয়েছে | তাই নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে দুঃখী মানুষ ভাবার কোনো কারণ নেই |
আপনি যা করতে ভালোবাসেন সেটা দিয়েই জীবনের নতুন সূচনা করুন | নিজেকে কখনো অন্যের থেকে ছোট ভাববেন না | হতাশাগ্রস্থ মানুষের পরিবারের মানুষ এবং আশেপাশের সকলে তাদের সাহায্য করুন | তাদের সাহস যোগান | অনুপ্রেরণা হওয়ার চেষ্টা করুন সেই হতাশাগ্রস্থ মানুষটির |
আর সব শেষে বলবো নিজের জীবনটাকে ভালোবাসুন | একটাই তো জীবন | এই জীবনে হয়তো বা অপ্রাপ্তির তালিকাটা একটু বেশি বড় | কিন্তু তাতে কি প্রাপ্তিগুলোর ক্ষুদ্র তালিকা নিয়েই নাহলে অনেক ভালো থাকার চেষ্টা করবো সবাই | আজ থেকেই প্রতিজ্ঞা করি জীবনে কখনো হেরে যাবো না | কোনো অবস্থাতই না |