Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

৬ষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান

🎉 Get ৳10000 Bonus!

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে  আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ৬ষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।

৬ষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্ট

 

 

                   ১নং প্রশ্নের উত্তর (ক)

চাষের উপযোগী মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হলো:

আলু চাষ: আলু চাষের জন্য হালকা প্রকৃতির মাটি উপযোগী। বেলে দোআঁশ মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

গম চাষ: গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি জমি বেশ উপযোগী। তবে মাঝারি নিচু জমিতেও গম চাষ করা যায়। দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি গম চাষের জন্য সর্বোত্তম।

পাট চাষ: পাট চাষের জন্য উত্তম,মধ্যম জমি বেশি উপযোগী। দোআঁশ মাটি পাট চাষের জন্য বেশি উপযোগী।

তরমুজ চাষ: তরমুজ চাষের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উত্তম।

বাদাম চাষ: বাদাম চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ, দোআঁশ এবং বেলে মাটি উপযোগী।

 

                     ১নং প্রশ্নের উত্তর (খ)

শিক্ষকের শেষ মন্তব্যটি পলি দোআঁশ মাটিকে নির্দেশ করে। কারণ আদর্শ পলি দোআঁশ মাটিতে অর্ধেক বালিকণা এবং বাকি অর্ধেক পলি কণা ও কাঁদাযুক্ত থাকে। ধান চাষের জন্য এই মাটি উপযোগী নয়।

কারণ কংকর যুক্ত পলি দো-আঁশ ও বেলে মাটি ছাড়া সব মাটি ধান চাষের জন্য উপযোগী। এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো। নদ- নদীর অববাহিকা ও হাওর-বাওড় এলাকা যেখানে পলি জমে সেখানেও ধান ভালো হয়।উঁচু, মাঝারি, নিচু সব ধরনের জমিতে ধান চাষ করা যায়। যেমন নিচু জমিতে বোরো ও আমন চাষ করা যায়। অম্লত্ব থেকে নিরপেক্ষ অবস্থা ধান চাষের অনুকূল। মাটিতে জৈব পদার্থ কম হলে কম্পোস্ট ব্যবহার করে এর মাত্রা বাড়ানো যায়।

মাটির নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফেট তাদের মাত্রা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়। পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোক্ত গুণাগুণ যেহেতু পলি দোআঁশ মাটিতে বিদ্যমান থাকে না তাই এই মাঠে ধান চাষের উপযুক্ত নয়।

 

                      ২নং প্রশ্নের উত্তর:

আমার এলাকায় জন্মে এমন ফুল ফল শাকসবজি ও মসলা জাতীয় ফসলের তালিকা তৈরি করা হলো:

ফুল জাতীয় ফসল: গোলাপ, গাঁদা, বেলি, রজনীগন্ধা  হাসনাহেনা ইত্যাদি।

ফল জাতীয় ফসল: পেপে, কলা, জাম, কাঁঠাল, আনারস ইত্যাদি।

শাক সবজি জাতীয় ফসল: আলু, বেগুন, লাউ, গাজর, শসা, পালং শাক ইত্যাদি।

মসলা জাতীয় ফসল: পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, ধনিয়া ইত্যাদি

উপরোক্ত ফসলগুলো অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিচে বর্ণনা করা হলো:

ফুলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব:

১.ফুল সহজে চাষ প্রক্রিয়া ও অভিযোজন ক্ষমতার কারণে এটি বহুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।ফুলমালা তৈরি,ঝুলন্ত ঝুড়ি, বিয়ে বাড়ির স্টেজ সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে বিক্রেতা লাভবান হয়

ফলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব:

১.ফলের উৎপাদন বিপণন ব্যবস্থাপনা এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ অত্যন্ত শ্রমঘন কাজ বিধায় এগুলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।

২.যেহেতু দেশি ফল হতে আমরা নানা ধরনের পুষ্টি পেয়ে থাকি। তাই এর চাষ আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

শাকসবজির অর্থনৈতিক গুরুত্ব:

১. বিদ্যমান বাজারে শাক সবজি বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় খুব সহজেই।

২.শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করে কৃষিখাতের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখা যায়।

মসলার অর্থনৈতিক গুরুত্ব:

১. মসলার দাম  থাকায় সবার নাগালের মধ্যেই থাকে

২.বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের রান্নার কাজে সবচেয়ে ব্যবহৃত হয় মসলা

 

কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং  পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। 

 

আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক  করুন।

Related Posts

5 Comments

Leave a Reply