আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ৭ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা (পার্ট-২, ৬ষ্ঠ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।
১নং প্রশ্নের উত্তর (ক)
ফসলের মৌসুম: একটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে তার শারীরিক বৃদ্ধি ও ফুল, ফল উৎপাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ওই ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাৎ কোন ফসলের বীজ বপন থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত সময়কে সেই ফসলের মৌসুম বলে। বাংলাদেশের জলবায়ুর উপর নির্ভর করে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল জন্মে। ফসল উৎপাদনের জন্য সারাবছরকে প্রধানত দুটি মৌসুমে ভাগ করা হয়েছে। যেমন
১.রবি মৌসুম এবং ২.খরিপ মৌসুম
১নং প্রশ্নের উত্তর (খ)
রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে পার্থক্য:
রবি মৌসুম:
১. আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে।
২. রবি মৌসুমের প্রথম দিকে কিছু বৃষ্টিপাত হয়; তবে তা কম।
৩. রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আর্দ্রতা কম থাকে।
খরিপ মৌসুম:
১. চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ মৌসুম বলে ।
২.খরিপ মৌসুমে বিশেষ করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
৩. খরিপ মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আর্দ্রতা বেশি থাকে।
১নং প্রশ্নের উত্তর (গ)
মুরগি পালনে মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশকীয় ও অন্যতম প্রধান বিষয়। বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝড়া শস্য, পোকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই এরা পরিমিত সুষম খাবার পায় না।তাই মুরগির পরিমিত সুষম খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টি উপাদান গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১. শর্করা: শর্করা মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যক একটি পুষ্টি উপাদান।তাই মুরগিকে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন: গম, ভুট্টা, চালের খুদ, চালের কুঁড়া, গমের ভুষি ইত্যাদি খাওয়ানো প্রয়োজন।
২. পানি: মুরগি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে। খামারে পানীয় খাবারের ব্যবস্থা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশুদ্ধ পানি মুরগিকে খাওয়াতে হবে।
৩. আমিষ: মুরগির পর্যাপ্ত শর্করা খাবারের পাশাপাশি আমিষ জাতীয় খাবার যেমন: সয়াবিন মিল, তিলের খৈল, সরিষার খৈল, শুটকি মাছের গুড়া প্রভৃতি খাওয়াতে হবে।
৪. ভিটামিন: ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও শাকসবজি মুরগির দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।তাই মুরগিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
১নং প্রশ্নের উত্তর (ঘ)
মুরগি পালনে মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয়। মুরগি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে। মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ।
মুরগির খাদ্য উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা আমিষ খনিজ লবণ স্নেহ ভিটামিন জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। সুষম খাবারে মুরগির দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো উপস্থিত থাকে।বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝরা শস্য, পোকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। এতে পরিমিত সুষম খাবার পায় না। যার ফলে মুরগি থেকে প্রত্যাশিত ডিম ও মাংস পাওয়া যাবে না।দৈনিক ১০ থেকে ১৫ গ্রাম এবং প্রাপ্ত মূল্য প্রায় ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম খাদ্য খেয়ে থাকে। তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে থাকে। তাই খামারে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ থাকতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মুরগিকে দৈনিক ২০০ মিলিলিটার বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়। তাই মুরগির খামারে খাদ্য ও পানির গুরুত্বপূর্ণ।
২নং প্রশ্নের উত্তর:
গাছের বৈশিষ্ট্য:
ক. কাঁঠাল একটি দ্বিবীজপত্রী, কাষ্টল ও চিরহরিৎ বৃক্ষ।
খ. কান্ড শক্ত হলুদ রঙের হয় এবং ২১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
গ. বীজ সাদা বর্ণের হয়।
ঘ. ফুল সবুজ বর্ণের হয়।
ঙ. সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ।
চ. পলি ও দোআঁশ বা অল্প লাল মাটিতে ও উঁচু জমিতে কাঁঠাল চাষ ভালো হয়।
কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক করুন।