২০২২ সালে এসে আমরা যখন ভাবি একটা ভালো মানের ডিভাইসের খোঁজ করি প্রথমেই মাথায় আসে আপেলের কথা। টেক জায়ান্ট আপেল শুরু থেকেই তাদের প্রতিটি ডিভাইস অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে, ইউজারের কথা মাথায় রেখে তৈরি করে চলেছে, দাম একটু বেশি হলেও মানের দিকে কোন কম রাখেননি এই প্রতিষ্ঠানটি।
ম্যাকবুক প্রো আর ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের প্রতিটি ল্যাপটপে আছে অত্যাধুনিক ফিচার এবং সেরা অপারেটিং সিস্টেম। দীর্ঘদিন যাতে একজন ব্যাবহারকারী এই ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে, সেটা মাথায় রাখার পাশাপাশি তারা মাথায় রাখেন যাতে সব স্তরের মানুষ সহজেই এই ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই ধরনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডিভাইস কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। সেগুলো নিয়েই আজকে আমাদের আলোচনা
আপনার বাজেটঃ
ল্যাপটপ কিনার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেই বিষয়টি আসে তা হলো বাজেট। এই বাজেট ওপর নির্ভর করে নির্বাচন এর সম্পূর্ণ বিষয়টি, বাজেট এবং প্রধান উদ্দেশ্য ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন করা হয় সেরা পন্যটি। তাই যে কোন ল্যাপটপ বা কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই আপনার বাজেট ঠিক করতে হবে কতটুক আপনি অ্যাফোর্ড দিতে সক্ষম। এবার আসা যাক অ্যাপেল ল্যাপটপে! আপনি যদি সিদ্বান্ত নিয়ে থাকেন যে একটি অ্যাপেল ল্যাপটপ বা ম্যাকবুক ক্রয় করবেন তবে অবশ্যই আপনার বাজেট ১,০০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকার মধ্য রাখতে হবে।
কারন বর্তমান 2022 এর বাজরে ১ লক্ষ নিচে কোন ল্যাপটপ নেই যা পূর্বে Macbook air m1 256 GB সেটিও এখন ১ লক্ষ উপরে চলে গিয়েছে। তবে আপনার বাজেট যদি হয় ১,৫০,০০০ – ২,০০,০০০ টাকার মধ্যে তবে আপনার জন্য রয়েছে অনেক ওপশন। বিশেষ করে অ্যাপেল এর নতুন প্রকাশিত M2 chip দিয়ে Macbook pro m2 যেটি শুরু হয়েছে ১.৫০ লক্ষ টাকা থেকে। এছাড়াও অ্যাপেল ল্যাপটপ এর দাম সম্পর্কে জানতে এখানে ভিজিট করুন: https://mcsolution.com.bd/apple-store-deals/
কী কাজে ব্যবহার করবেন?
ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য বা কী কাজে ব্যবহার করবেন অন্যতম একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয় ল্যাপটপ ক্রয়ের ক্ষেত্রে। আপনার ল্যাপটপ ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য এর ভিত্তি করেই আপনার ল্যাপটপ নির্বাচন করতে হবে। যদি আপনার প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে থাকে ওফিসিয়াল ওর্য়াক বা ইডিটিং বা কোডিং তবে আপনি বিজনেস ক্যাটাগরির ল্যাপটপগুলো দেখতে পারেনম, যেই ল্যাপটপগুলো ডিজাইন করা হয়েছে এইসব মানুষদের কথা মাথায় রেখে।
এর অন্যতম একটি উদাহরণ হলো অ্যাপেলের এই Macbook সিরিজ। তবে আপনার ল্যাপটপ ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে গেমিং তবে এই ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে একটু ভিন্ন যেমন আপনি গেমিং সিরিজগুলো দেখবেন এবং গেমিং এর ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ন যেই বিষয়টি তা হলো গ্রাফিক্স যেটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তবে আপনি যদি গেমার হয়ে থাকেন বা আপনার প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে থাকে গেমিং তবে অ্যাপেল আপনার জন্য নয়।
সহজে বহনযোগ্য কি?
আপনি যদি একজন ভ্রমন প্রেমি হয়ে থাকেন বা আপনার প্রায়ই যদি জায়গা পরিবর্তন করতে হয়ে থাকে। তবে আপনার জন্য এই সেকশন খুবই গুরত্বপূর্ণ! বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ যারা পিসি থেকে ল্যাপটপে আসছে তাদের প্রধান কারনই এটি। কারন একটা পিসি কখনোই এক জায়গা থেকে অন্য নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না যেটার সমাধান ল্যাাপটপ এ রয়েছে । এবং এক্ষেত্রে শুধৃু ল্যাপটপ নিলেই হবে না এই বিষয়টা আপনার মাথায় রাখতে আমার ল্যাপটপটাকি লাইটওয়েট নাকি আটার বস্তা!
অবশ্যই আপনার একটি লাইটওয়েট ল্যাপটপ বেছে নিতে যদি আপনি এই ক্যাটাগোরিতে পড়েন। আর অ্যাপেল ল্যাপটপগুলি ডিজাইন করা হয়েছে এইসব ইউজারদের কথা মাথায় রেখে তবে পর্যায়ক্রমে অ্যাপেলের ও কিছু ডিভাইস রয়েছে যেগুলো হেভি ওয়েট সম্পন্ন। আপনার প্রোয়জন বা কতটুক ওয়েট ক্যারি করতে পছন্দ করবেন তা ওপর ভিত্তি করে আপনার ডিভাইসটি নির্বাচন করতে হবে।
প্রসেসর এবং র্যাম:
জিপিউ এর পর যেই দুইটি বিষয় লক্ষ করতে হয়ে তা হলো প্রসেসর এবং র্যাম। প্রসেসরকে একটি ল্যাপটপ বা একটি ডিভাইস এর mother বলেও আখ্যায়িত করা হয়। অবশ্যই অ্যাপেল ল্যাপটপ ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই দুইটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে শুধু অ্যাপেল ল্যাপটপ নয় যেকোন ল্যাপটপ ক্রয়ের পূর্বে এই বিষয় আপনার সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।
অ্যাপেল এ সিপিউ এর কত ক্ষমতাসম্পন্ন তা নিবাচর্ন করা হয় কোর সংখ্যা এর উপর যার কারনে এই ল্যাপটপগুলি একটি ভিন্ন এবং অ্যাপেলের এর কম কনফিগারেশন বা রেঞ্জের ল্যপটপ ভেরিয়েন্টটি হচ্ছে Macbook Air M1 ২৫৬ জিবি যেটি এখন বর্তমান বাজারে ৯৮,০০০ থেকে ১,০২,০০০ এর মধ্যে পাওয়া যায় এবং এর র্যাম রয়েছে ৮ জিবি যেটি ভেরিয়েন্ট অনুসারে ৬৪ জিবি পর্যন্ত রয়েছে।
কোথা থেকে কিনবেন?
কোথা থেকে কিনবো? এইটা একটা অতি পরিচিত প্রশ্ন প্রায় বেশিরভাগ ইউজারের। এর প্রধান কারন হচ্ছে আমরা প্রায়ই দেখি যে ক্রেতারা অ্যাপেল ডিভাইস ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে যা বিভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু রিসেলার যারা পুরাতন বা রিকন্ডিশন ল্যাপটপগুলো নতুন বলে চালিয়ে এবং কথার জালে ফেলে আপনাকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলে যে ডিভাইস শতভাগ ব্রান্ড নিউ এবং কোনো কাজ করা হয় নি যার কারনে অ্যাপেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি মানুষের অতি সাধারন একটি প্রশ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে।
সে ক্ষেত্রে আপনার সহজ সমাধান এবং বিশ্বাস্ত পার্টনার হতে পারে MC Solution BD। এই কোম্পানিটি গত কিছু বছরে তাদের দুর্দান্ত সার্ভিসের মাধ্যমে অনেক ক্রেতার মন জয় করে নিয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় যেখানে অন্য কোনো জায়গায় অ্যাপেল এর ইন্টারন্যাশনাল ওয়ারেন্টি দেয় না সেখানে MC Solution ১ বছরের অ্যাপেলের ইন্টারন্যশনাশ সাভির্স ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।