আসসালামু আলাইকুম। আমরা সবাই অনলাইন এ বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ও ওয়েবসাইট গুলোর সাথে সংযুক্ত। আমরা অনেকেই সফটওয়্যার পাইরেসি ও প্লেজিয়ারিজম সম্পর্কে জানি না। চলুন আজকে আমরা সবাই সফটওয়্যার পাইরেসি ও প্লেজিয়ারিজম সম্পর্কে জানি।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
♦সফটওয়্যার পাইরেসি:
সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে অনুমোদিত মালিক বা প্রস্তুত কারীর বিনা অনুমতিতে কোন সফটওয়্যার কপি করা, ব্যবহার করা, নিজের নামে বিতরন করা কিংবা কোন ধরনের পরিবর্তন এর মাধ্যম এ নিজের নামে বলে চালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কার্যক্রমকে বুঝায়। বর্তমান এ সফটওয়্যার পাইরেসি একটি অতি পরিচিত শব্দ। সফটওয়্যার একটি মেধাভিত্তিক প্রযুক্তি পন্য। এটি উন্নয়ন এর জন্য প্রোগ্রামার বা প্রস্তুতকারীকে তার মেধার যথাযথ ব্যবহার করতে হয়। আর এর ফলে তৈরিকৃত সফটওয়্যার প্রোগ্রামার বা প্রস্তুতকারীর সাক্ষর বহন করে। এ কারনে কোন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার এর স্বত্বাধিকারী ঐ প্রোগ্রামার বা প্রস্তুতকারীই হতে পারেন। কিন্তু সফটওয়্যার পাইরেসির জন্য এই স্বত্বাধিকারীত্ব খর্ব হয়। সফটওয়্যার পাইরেসির ফলে কোন সফটওয়্যার লাইসেন্স ছাড়া ব্যবহার করা যায় বলে একদিকে যেমন প্রোগামে মেধার মুল্য কমে যায়, অন্যদিক এ তার ফলে আর্থিক ক্ষতি হয়। প্রোগ্রামের স্বত্বাধিকার অক্ষুন্ন রাখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বত্বাধিকার আইন বা কপিরাইট ল (copyright law) প্রচলিত আছে। এই আইনের মাধ্যম এ সফটওয়্যার পন্যকে অন্যান্য পণ্যের ন্যায় বাজারজাতকরণ এবং উৎপাদনের সকল অধিকার প্রোগ্রামারকে দেওয়া হয় এবং সংরক্ষন করা হয়। তবে বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে কপিরাইট আইনটির প্রচলন ও জনসচেতনতা না থাকার কারনে অবাধে সফটওয়্যার পাইরেসি চলছে।বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া আমাদের প্রায় সকল ক্ষেত্রে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এর ফলে কপিরাইট আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যবহারকারী নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
♦প্লেজিয়ারিজম:
অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া বা প্রকাশ করাকেই প্লেজিয়ারিজম বলে। অনেক সময় কোন লেখার গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুচ্ছও নকল করলে তা প্লেজিয়ারিজম এর মধ্যে পড়ে। প্লেজিয়ারিজম একটি বেআইনী কাজ। কাজেই প্লেজিয়ারিজম প্রতিরোধ করা উচিৎ। ইদানীং শিক্ষা ক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম অনেক বেশি দেখা যায়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো উচ্চতর চিন্তা করার দক্ষতা লাভ। অর্থাৎ কোন বিষয় তা যতই জটিল হোক না কেন তা বিশ্লেষণ, মুল্যায়ন, সংক্ষেপন বা নতুন ধারনার প্রবর্তন করার দক্ষতা অর্জন। এই দক্ষতা অর্জন অসম্ভব হয়ে যায় অনুলিপি বা নকলের মাধ্যম এ। লেখার ক্ষেত্রেও নকল বা অনুলিপি করাকে প্লেজিয়ারিজম বলা হয়। নীতিগত ভাবে যা এক জটিল সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। শিক্ষামূলক পরিবেশে প্লেজিয়ারিজম ঘটে তখনই যখন কোন লেখক উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অন্যের ভাষা, চিন্তা বা লেখকের কোন নিজস্ব ধারনা বা বিষয় বস্তু সুত্র উল্লেখ বা স্বীকার না করে ব্যবহার করে। বই পুস্তক বা জার্ণালে মুদ্রিত বা অনলাইন এ প্রকাশিত কোন লেখা বা গবেষণার ফলাফলের ক্ষেত্রেও প্লেজিয়ারিজম হতে পারে। শিক্ষক এবং প্রশাসকরা প্লেজিয়ারিজম নিয়ে বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন কারন তারা চান শিক্ষার্থীরা আহরিত জ্ঞান এর উপর যে কাজ করে সে কাজে যেন শিক্ষার্থী নিজের চেষ্টা ও চিন্তাভাবনা প্রকাশ পায়। তবে ইন্টারনেটে এই যুগ এ যখন অসংখ্য লেখা যে কোন বিষয় এর উপর অতি সহজে পাওয়া যায় তখন শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের পড়া, লেখা, নিজস্ব চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বেশ বেগ পেতে হয়। অনলাইন এর মাধ্যম এ প্লেজিয়ারিজমকে সাইবার প্লেজিয়ারিজমও বলে। ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত কোন আর্টিকেল বা গবেষণা পত্রের অংশবিশেষ বা সম্পূর্ন অনুলিপি করা বা ডাউনলোড করা বা ওয়েব হতে প্রাপ্ত কোন ধারনা প্রকৃত সূত্র উল্লেখ না করে ব্যবহার করাই সাইবার প্লেজিয়ারিজম।
** সফটওয়্যার পাইরেসি বা প্লেজিয়ারিজম অনলাইন এর একটি ক্ষতিকর দিক। যা আমদের লেখা বা অনুলিপি চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে নিতে পারে। এর থেকে বেচে থাকার জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং নিজের লেখা অনুলিপি সেইফলি নিজের কাছে সংরক্ষন করে রাখতে হবে। আশা করি পোষ্টটি সবার কাছে ভাল লাগবে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যেভাবে ব্লুটুথ ডিভাইসের ব্যাটারির স্তর পাবেন
বর্তমান বিশ্ব বেতার প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অডিও শোনার জন্য, বা ভিডিও সামগ্রী স্থানান্তরিত করার জন্য, প্রায় সব কিছুতেই ওয়্যারলেসে...