বৃষ্টির ফোঁটার ক্ষীণ শব্দ দেয়ালের আড়াল থেকে শোনা যায়। পা শরীরে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির ছোয়া থাই গ্লাসের ফাঁক দিয়ে। নিঃশব্দে শুয়ে রয় বালক প্রতীক্ষা আরেকটি নিত্যনতুন দিনের । জেগে ওঠে একরাশ অলসতা নিয়ে । কাঁধে ব্যাগ পায়ে জুতো পরনে নীল শার্ট আর কালো জিন্স গন্তব্য ভ্যাম্পায়ারের শহর। যখন সে হতভাগা বালক পৌঁছায় সেই দালানে যেথায় প্রতি কোনে এক একটা গল্প কিছু হতাশার কিছু সপ্নের আবার কিছু মায়ার তেমনি করে সাহসিকতার, ভালোবাসার , ব্যার্থতার, আশার হাজার হাজার গল্প। হাজার মানুষের হাজার রূপ । কেউ ভালো কেউ খারাপ কেউ সুন্দর, কেউ আসক্ত, কেউ খুনি, কেউ ব্যার্থ প্রেমিক কত কত মানুষ। সময় খুব কম। জানতে হবে অনেক বেশি, কথা বলতে হবে কম। বদ্ধ উন্মাদ! পরিচয় হারিয়ে সে খুঁজছে তার পরিচয় । কে সে ? এখানে কি তার প্রয়োজন? কেউ কি পারে তারে এই হাজারের ভিড়ে আলাদা করতে! এই রোবটিক জীবন সে তো চায় না ! চায় না প্রতিদিনের সেই ব্যস্ততা। দরকার একটুখানি নীরবতা, নিয়ন বাতির আলো, লেবু মেশানো লাল-চা হাতে সময় এখন প্রেমিকার চোখের কাজল দিয়ে লেখা চিরকুটখানি পড়া । তাকে যেতে হবে ফিরে যেখান থেকে এসেছিল। কারন, তাকে খুঁজে প্রেয়সী রোজ সন্ধ্যায় নীল লীলাবতীর তীরে । সময় হয়ে এসেছে। আজই যেতে হবে । আজ এই শহরে ছুটি । নীল শার্ট পড়া কাজল কালো চিরকুট হাতে ছেলেটারও আজ ছুটি। ছেলেটি ছুটে যায় ওই অদৃশ্য মায়ার টানে। বালিকার চোখ-মুখ পানে ওই ফেরির ঘাট কেন জানি কবে ভিড়বে বালকের ফেরি এই উন্মক্ত প্রান্তরে। রূপালী হাসিতে ছলছলে চোখে বালিকার আপ্রাণ চেষ্টা কান্না আড়াল করবার। নীল শার্ট, বা-হাতে ঘড়ি, ডান হাতে ট্রেনের টিকিট দুটি দুলছে। বালক ফিরে এসেছে ঘরে এবার যেতে হবে ভ্যম্পায়ারের শহরে বালিকার নীরব চোখ বেয়ে পড়া মুক্ত জানিয়ে দেয় এত বছরের তৃষ্ণার্ততা। এবার তাদের গন্তব্য ভ্যম্পায়ারের শহর। হে ওই শহরে পারবে না তাদের কেউ আটকাতে। কারণ, ওটা ভ্যম্পায়ারের শহর, এর প্রতি অলিতে গলিতে চাপা আর্তনাদ । ওই শহরে কেউ কাউকে চিনেনা। ওই শর ভীষন ব্যাস্ত। ওই শহরের পশুর আস্তাবল ময়লার স্তূপ। ওই শহর যান্ত্রিক। ওই শহরে অলি গলিতে মাদকের যত কারবার। ওই শহরে রাত জাগে। ওই শহরের সব গলিতে পৌঁছায় না ভোরের প্রথম আলো। ওই শহরে সকাল, হতবিহ্বল ছোটাছুটি। ওই শহরে আমি প্রতিদিন হাঁটি কয়েক ক্রোশ। ওই শহরে হরেক রকমের দালানের মহামারী বড় ছোট মাঝারি কিংবা দৈত্যাকার যে যাই বলি । শহরের বাঁকে বাঁকে রহস্য যত খুঁজবে তত বাড়বে। এই শহর গল্প বলে কোটি টাকায়। এই শহরে হাজার হাজার বালক বালিকা । এই শহরে আমি প্রতিদিন নিত্য নতুন রূপে দেখি । ওই নীল শার্ট পরা বালকের হাতে হাত ধরে আছে বালিকাটি। বালিকার মনে ভীষন ভয়। বালকের উপর যত সংশয় । থাকবে বালক নাকি ছুটবে আবার নতুন পণে এই নিয়ে যত কল্পনা জল্পনা বালিকার মনে। বালকের চোখে মুখে দায়িত্বের চাপ, সংকল্প ইস্পাত কঠিন দৃঢ়। এবার ভাঙবে ভ্যম্পায়ারের দেশের যত রহস্য। হাসবে শেষ হাসি বুঝাবে এ শহরকে নিয়মের যত গুরুত্ব। এ শহর নিষ্ঠুর, সূর্যের প্রখরতা তার অন্ধকারকে ডাকতে পারে না। যে শহর কারো বাঁধ মনে না । যে শহরে সময় হরিণের গতিতে ছোটে । এ শহরে আমি অপেক্ষায় থাকি নীল শার্ট পরা সেই বালকদের । কারণ, ইতিবাচক পরিবর্তন যে খুব জরুরি। আমি এই শহরের প্রতিটি শিরা-ধমনীতে বিচরণ করেছি। আমি এই শহরকে নিজের মত করে নিয়েছি। আমি শহরকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি রাতজাগা শহরের বাসিন্দা। আমি রাত জেগে গল্প লিখি । একদিন এই ভ্যম্পায়ারের শহর নীল শার্ট পরা বালকের দাম্ভিকতার গল্প শোনাবে তোমাকে!
ইন্দোনেশিয়ার নীল বর্ণের আগ্নেয়গিরি
সাধারণত আমরা লাল বা হলুদ বর্ণের আগ্নেয়গিরি দেখে থাকি বা এই সম্পর্কে জেনে থাকি। নীল আগ্নেয়গিরি শব্দটি শুনতে যেমন চমৎকার,...