বিশ্বের মঞ্চে হয়ে গেল টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২১। এবার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ হোস্ট করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি রাজ্য ওমান। ক্রিকেটের আসর ওমানে রঙ্গিন সাজে সেজে অক্টোবার মাসে শুরু হয় বিশ্বকাপ। দেশে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরও বিশ্বকাপ শুরু হয় প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে। তবে হাজারো ভক্তদের তখনও বাংলাদেশের উপর আশা ছিল অটুট। পরবর্তীতে খারাপ বোলিং ও ব্যাটিং এর কারণে বিশ্বকাপ সুপার ১২ মঞ্চে টানা হারের পর দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
লক্ষ লক্ষ ক্রিকেট অনুরাগীদের আশা একেবারেই নিরাশা করেছে এবারের বিশ্বকাপে। দেশের পাশের দেশ ভারত একাধিকবার বিশ্বকাপ নিয়েছে এবং পাকিস্তানও বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়ে গেছে কিন্তু বাংলাদেশ এখনও কোন ধরণের বিশ্বকাপের স্বাদ ভক্তদের দিতে পারেনি। এইজন্য ভক্তদের ভেতর ক্রিকেট নিয়ে বিদ্রুপ ভঙ্গি তৈরী হয়েছে। এছাড়াও দেশের সংকোটাপন্ন এই সময়ে বিশ্বকাপ অর্জন করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। ভক্তরা এখও আশা করে আছে যে কবে বিশ্বকাপ আমাদের দেশ অর্জন করবে।
ওমান বিশ্বকাপে লজ্জাদায়ক হারের পর ভক্তদের এই মনোভাবনা তৈরী হয়েছে। ওমান বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজ ম্যাচে প্রথম ম্যাচে হারের পরপরই অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক আসংক্যা করেছিল যে এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বড় ধরণের পরাজয় ঘটটে পারে। সুপার টুইলভে গিয়ে বিশ্লেষকের ধারণা সত্য রূপে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকের ধারণা বিসিবির টিম ম্যানেজমেন্ট খুবই ট্রুটিপূর্ণ ছিল। ব্যাটিং এ ওপেনিং বেশী সময় টিকে থাকতে পারেনি। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটিং এ বড় ধরণের ট্রুটির কারণের এত লজ্জাদায়ক হার বিশ্বকাপে ভক্তদের দেখতে হয়েছে।
এছাড়াও বিশ্লেষকেরা বলিং বিপর্জয়ের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। বোলিং বিপর্জয়ের কারণেও কয়েকটি ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে গেছে। এজন্য বিশ্লেষকরা টিম ম্যানেজম্যান্টের উপর দোষারোপ করেছে। খারাপ টিম ম্যানেজম্যান্টের কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই বেহাল দশা। আন্তজার্তিক এই বিশ্বকাপে বোংলাদেশের পরাজয় প্রবাসি বাঙ্গালীরাও মেনে নিতে পারে নাই।
তাদের মতে এই বিশ্বকাপে তাদের প্যপরফরমেন্স খুব ভাল থাকবে। এছাড়া আইসিসি র্যাংকিং এ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের র্যাংকিং খুবই ভাল ছিল যা ওমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বেশ নিচে নেমে গেছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের এই দুরবস্তার একদিন সমাপ্তি ঘটবে ভক্তরা এইটাই কামনা করছে। ক্রিকেট ভক্তরা চাই যে বাংলাদেশ জাতীয় টিম পুনরায় উজ্জিবিত হয়ে উঠুক এবং বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ অর্জন করে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি ও দেশের গৈারব ফিরিয়ে আনুক।
তবে বিশ্বকাপের আমেজ ভক্তদের কাছ থেকে কখনোই মুছে ফেলা যাবে না। বিশ্বকাপের আমেজ আবারও কখনো ফিরে আসবে হাজারো ভক্তদের মনে।