থ্রিলার যারা পছন্দ করেন, আমার মতো,তারা খুব নিশ্চিন্তে মুভিটি দেখতে পারেন..! দেশীয় এমন পলিটিক্যাল থ্রিলার এর আগে আমি দেখিনি। সাধারনত আমাদের দেশের সব থেকে বিরক্ত লাগে যেটা তা হলো শেষ পর্যন্ত অভিনয় এবং কাহিনী’র রেশটা ধরে রাখতে না পারা।
কিন্তু এই সিরিজটা আলাদা,কাহিনীটা পরিচালক শুরুর দিক থেকে শেষ অব্দি বেশ ভাল ভাবে ধরে রেখেছেন তো বটেই,সাথে শেষের দিকের ছিলো দারুণ চমক। ফজলুর রহমান বাবু যেখানে মুখ্য চরিত্র সেখানে অভিনয় শিল্পীদের আলাদা করে অভিনয়ের ব্যাপারে না বললেও চলে। তবু বলি, চমৎকার এমন অভিনয় দেখবো এতটা আশা না করেই দেখলাম এবং অভিভূত হলাম।আমাদের দেশে ওয়েবসিরিজ এর ভবিষ্যৎ চমৎকার মনে হচ্ছে।
‘‘ডিটেকটিভ ড্রামা ‘মুন্সিগিরি‘’
আসলে দূর্দান্ত সব থ্রিলার দেখা চোখ আমার সবসময় কলিজা ছেদ করা থ্রিলারই খুঁজে বেড়ায়। সে কারন এটা খুব সাদামাটা লেগেছে। সাদামাটা সাজানো হলেও বাংলাদেশে ভালো কিছু হচ্ছে এটা মুন্সিগিরি দেখে বলা যায়। এটা সিরিজ করলে ভালো হবে, মানে ব্যোমকেশ, ফেলুদা টাইপ একটার পর একটা সিরিজ আনলে ভালো লাগতো।
নেগেটিভ রিভিউ হলো: এক্সট্রা করে নিজের অভিনয় যোগ্যতা দেখানোর কোন স্কোপ এখানে কোন শিল্পীরই ছিলো না। আসলে সেরকম কোন ক্যারেক্টারই নাই। সব ক্যারেক্টারই সাধারণ।
পজেটিভ হলো: ডিবিদের যে লাইফ দেখানো হয়েছে মানে ব্যক্তিগত লাইফ তাদের নাই। সবটাই কাজের জন্য উৎসর্গ। পারিবারে সময় তারা দিতে পারে না। স্ত্রীর সাথে বাহিরে দাওয়াতে যাওয়ার প্ল্যান, গিফট কিনতে গিয়ে অফিসের ফোন, অফিসের কাজে চলে যাওয়া, পরিবারে মিলাদের মাঝখানে অফিসের ফোন, সাথে সাথে আসামী ধরতে সব ছেড়ে যাওয়া এগুলো … এগুলো চরম সত্য। আমার বাসায় ডিবি কর্মকর্তা ভাড়া ছিলেন, আমি দেখেছি তাদের লাইফ কাছ থেকে। ইনফ্যাক্ট তাদের এই যে দেশ ও দশের জন্য নিজের লাইফ উৎসর্গ করা এটা আমাকে খুব ভাবাতো। তারপরও তারা একটু ভুলেই চাকরী হারায়, উর্দ্ধতন কর্তৃক সাজা পায় খুব বেশী।
আর জনগনের গালি তো আছেই। অথচ ভুল ত্রুটি সব খানেয় হয়। তাদের পরিশ্রমের পারিশ্রমিক দেয়া হয় এটা অনেকেই বলবেন। আমি বলি কি পরিশ্রমের পারিশ্রমিকতো পাবেনই যে কোন কাজেই তবে সব কাজে তো ব্যক্তিলাইফ উৎসর্গ করতে হয় না, যেটা করতে হিয় ডিবি দের। যাক গে, আসছিলাম সিনেমার রিভিউ দিতে, অন্য কথায় চলে গেলাম কি করবো বলুন মুন্সিগিরিতে এ রিয়েল ফ্যাক্ট দেখে মন কেমন করা মন আমার ডিবিদের গুণগান গেয়ে চলেছে সেদিন থেকেই।
মুন্সিগিরি বাংলাদেশের প্রেক্ষপটে সাদামাটা এক গোয়েন্দা কাহিনীর সিনেমা। দেখেতে পারেন পরিবার নিয়ে। ভালো লাগবে। নিজ পরিবারকে, নিজের কাছের মানুষদের এমন কষ্ট দিয়েন না যেন তারা আপনার মৃত্যু কামনা করতে বাধ্য হয়।এ কথা কেন বললাম সেটা সিনেমা লাস্ট পর্যন্ত দেখলে বুঝবেন।
(রাখী দোজা)