হাই বন্ধুরা ,তোমরা কি অবস্থা তোমাদের? আজকে আমি তোমাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি তোমাদের কাজে আসবে। আমার আজকের বিষয় হচ্ছে’ কোষ্ঠকাঠিন্য’।
কুষ্ঠ কাঠিন্য নিয়ে আমরা অনেক সমস্যায় ভোগী। কিন্তু অনেক সময় কারো সাথে এই বিষয় এ লজ্জায় শেয়ার করতে পারি না। কোষ্ঠকাঠিন্য কোন বিশেষ ধরনের রোগ নয়। যখন কারো শক্ত পায়খানা হয় কিংবা দুই বা তারও বেশি দিন পায়খানা হয় না, এ অবস্থাকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে, যেমন পায়খানার বেগ চেপে রাখলে, বৃহদান্ত্রে অপাচ্য খাদ্য অংশ থেকে অতিমাত্রায় পানি শোষিত হলে, পৌষ্টিক নালির মধ্য দিয়ে খাদ্যের অপাচ্য অংশ ধীরে ধীরে গমনে মল থেকে বেশি পানি শোষিত হলে। আবার পরিশ্রম না করলে, আন্ত্রিক গোলযোগে, কোলনের মাংসপেশি স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে ধীরে সংকুচিত হলে, রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবার না খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলত্যাগ কষ্ট দায়ক হয়। ফলে পেটে অস্বস্তিকর অবস্থা , ফ্যাট ব্যাতা ও নানা রকম অনুষঙ্গিক অসুবিধা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য থেকে হার্নিয়া সহ বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। আবার পরিপাক নালীর টিউমার সহ বিভিন্ন অসুখের লক্ষণ হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রতিকারের উপায়:-এই রোগ প্রতিকারে যা করতে হবে তা হল, আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, নিয়মিত শাকসবজি, আপেল, নারকেল, খেজুর ,আম ,কমলা, পেঁপে, আনারস ,কলা ইত্যাদি খাওয়া। নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করা, হাটা চলার অভ্যাস গড়ে তোলা। ধন্যবাদ সবাইকে আজ আর লিখব না।
লেখা ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ,সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।
ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাক্স পড়ে বের হবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। ধন্যবাদ।