আজকে কোন বিজ্ঞান বা স্বাস্থ্য রিলেটেড টপিক লিখব না।আজকের টপিকটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে লেখা একটি টপিক।আর এটি পারর্সোনাল বা ব্যক্তিগত experience। আর শুধু তাই নয় Grathor এ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম সেগুলো ও আলোচনা করবো।আশা করি সেই সমস্যা গুলো সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন সাথে তার সমাধান ও। তো চলুন শুরু করা যাক।
এই Grathor এ আমি বড়জোড় একমাস যাবত কাজ করেছি।এর আগে জানতাম ও না।হঠাৎ ফেসবুকের কোন এক লিংকের মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটে ঢুকে রেজিস্ট্রার করে কাজ করা শুরু করে দেই ।আর মোটামুটি প্রায় ৫০+ আর্টিকেল ও লিখে ফেলেছি।যদিও আরও বেশী লিখতে পারতাম,কারণ আমি স্টুডেন্ট, তাই বিশেষ করে পড়াশোনার দিকেও খেয়াল দিতে হয়।যতটুকু সময় পাওয়া যায় ততটুকু সময়তেই grathor এর আর্টিকেল লিখার জন্য ব্যয় করি।আর আমার একটা আর্টিকেল লিখে প্রায় ২০-৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে।যেহেতু আমার পোস্টে সরাসরি কপি পেস্ট বলতে গেলে হয়ই না।আর হলেও খুব গুরুত্বপূর্ণ আর সঠিক ইনফরমেশন দিতে হয়,তবুও সেটা হবহু কপি পেস্ট নয় তাই মোটামুটি ৯৮% পোস্টই আমার Approve হয়েছে।যেহেতু প্রথমে এত বুঝতাম না, তাই ২-৩ টা পোস্ট কপি পেস্ট করেছিলাম,সেজন্য সেই পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয়া হয়।তাই,পরবর্তীতে সাবধানতার সাথে পোস্টগুলো লিখছি আর একটা পোস্ট লিখে রিভিশন দেই যে কোথাও ভুল ত্রুটি রয়েছে কিনা।
একটা পোস্ট লিখা কিছুটা হলে কঠিন, যা আমি বলবো।আর এই গ্রেথরে যেহেতু কপি পেস্টের সুযোগ নেই সেহেতু,আমার মতে এই ওয়েবসাইটের প্রায় সবাই ই পারফেক্ট Writter.আর একটা পোস্ট বা Article লেখা ছেলে খেলা নয়।বিভিন্ন ধরণের টপিক নিয়ে রিসার্চ করতে হয়,বিভিন্ন সোর্স থেকে ১০০% সঠিক তথ্যই নিতে হয়।তাই এই গ্রুপে যারা কাজ করেন তারা ট্রেনিং ছাড়াই কোন ব্লগারের চেয়ে কম কিছু নন।
আমি বেশীর ভাগ পোস্টই লিখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,স্বাস্থ্য নিয়ে যেহেতু আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র।মাঝে মাঝে টিপস্ নিয়েও আলোচনা করি এখানে।টেকনোলজি রিলেটেড পোস্টই বেশী লিখি। তাই প্রতি মূহুর্তেই আমাকে আপডেট থাকতে হয় যে কোন প্রযুক্তি বাজারে এসেছে,আর কোন প্রযুক্তি আমাদের কাছে অজানা,সেই প্রযুক্তিগুলো নিয়েই রিভিউ লিখে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি।এর জন্য তাই কিছুটা খাটতে হয়।
এবার আমি কিছু ভুল সম্পর্কে বলব যা আমিও করেছি, কিন্তু তা সংশোধন করেছি।যেমনঃ প্রথম প্রথম এইখানে জয়েন হওয়ার পর,খুব বড় বড় পোস্ট লিখতাম,কারণ ৩৫০ শব্দের নিচে কোন পোস্ট approve করা হয়না এটাই জানতাম তাই বড় পোস্ট লিখতাম যেন approve হয়।কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম অনেকেই ছোট ছোট পোস্ট যা ৩৫০ শব্দেরও নিচে লিখে যাচ্ছেন,সেগুলো approve ও করা হচ্ছে।তাই,আমিও ভাবলাম যে এত কষ্ট করে বড় বড় পোস্ট লিখার দরকার কী?ছোট পোস্ট লিখলেই হয়,এতে খাটুনিও কম লাগবে আর সময়ও। তাই আমি ওদের অনুসরণ করে ছোট পোস্ট লিখা শুরু করে দিলাম।তবে সব পোস্ট যে ছোট এমন কিন্তু নয়। পরে দেখলাম সে পোস্ট গুলো approve করা হচ্ছে।তাই সেগুলো লিখতেই থাকলাম।কিন্তু আস্তে আস্তে কিছু পরিবর্তন খেয়াল করতে লাগলাম,আগে যে পোস্টগুলো(মানে যেগুলো ৩৫০ শব্দের বেশী ছিল) করতাম, সেই সবগুলো পোস্টের জন্য টাকা পেতাম,অথচ ছোট পোস্ট লিখার পর থেকে পোস্টের সংখ্যা অনুযায়ী আমি টাকা পাচ্ছিলাম না অথচ পোস্ট ঠিকই Approve করা হচ্ছিল।ব্যাপারটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না।ভেবেছিলাম হয়তো Admin এর ভুল হচ্ছে এজন্য email লেখার কথা চিন্তা করলাম।তবুও email লেখার আগে আয়ের নীতিমালার শর্তাবলী আরেকবার চেক করলাম,ব্যাপারটা যদি সেখানে থাকে আরকি।কিন্তু আমি দেখলাম যে এটা আমারই ভুল, অর্থাৎ ৩৫০ শব্দের নিচেও পোস্ট approve করা হয় ঠিকই তবে তার জন্য অর্থ প্রদান করা হয় না।তখন আপসেট হয়ে গেলাম,কারণ আমি চাইলেই আরও তথ্য add করে পোস্টগুলো মজাদার আর বড় করতে পারতাম।পরে email লেখার প্ল্যান মাথা থেকে সরিয়ে ফেলি।তাই সবাই যেন এই ভুলটি না করেন।
এবার কিছু প্রবেলম বলব যা আমার সাথে হয়,যেমনঃআমি পোস্ট লিখতে পারছি না।অর্থাৎ আমি কোন আর্টিকেল লিখতে পারছি না।ওয়েবসাইটের কিবোর্ড অপশন কাজ করছে না।সত্যি তখন খুব বিরক্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।এই সমস্যা সলভ্ করা যায় ৩ উপায়ে যথাঃ১)নেট কানেকশন ঠিক করে, বা নেট যেন বেশী পায় সে ব্যবস্থা করা ২)ফোন রিস্টার্ট মারা অথবা ৩)ব্রাউজারের ডাটা ক্লিয়ার করা। তবে সবচেয়ে বেশী কাজে দেয় ৩ নম্বর অপশনটি৷আর একটাও কাজে না দেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
শেষমেষ আমি বলতে চাই, গ্রেথর থেকে টাকা এখনো পায়নি কারণ আমার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স এখনো 1000 টাকা হয়নি , তাই ১০০০ এ যেতে আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট লিখতে চাই কিন্তু তবুও এডমিন ভাইকে ধন্যবাদ।কারণ এই গ্রেথরে লেখালেখি করে শুধু যে নতুন নতুন জিনিসের সাথে পরিচয় হচ্ছি তা নয়, লেখা লেখির দক্ষতাও আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে।
সবচেয়ে সুন্দর পোস্টগুলো করলে অর্থাৎ একটা খুব সুন্দর পোস্ট থেকেও ১০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব।তাই সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি,এতে একটা প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে।এজন্য এডমিনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।তবে শেষমেষ একটা প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।আপনার একটা আর্টিকেল লিখতে কতক্ষণ সময় লাগে?কমেন্টে জানিয়ে দেবেন দয়া করে। 🙂
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
-ধন্যবাদ