Grathor.com থেকে খুব সহজে মাসে “9 “থেকে “10 “হাজার টাকা ইনকাম করার বেস্ট গাইডলাইন!

বর্তমান সময়ে grathor.com দেশের টপ লেভেল এর একটি ব্লগ সাইট।তরুণদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর নাম জিজ্ঞেস করতেই প্রথমেই এই ওয়েবসাইটের নাম চলে আসে। মূলত তরুণ লেখক, এবং বাংলা সাহিত্য ও এর বিকাশে, এই সাইটটি অনবদ্য অবদান রেখে চলছে। মোটামুটি কমার্শিয়াল একটি সাইট। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, এর জনপ্রিয়তা বর্তমানে আকাশচুম্বী। লেখক এবং পাঠকদের এক অনবদ্য মিলন মেলায়, অনলাইন এখন লাইব্রেরি। আমরা যারা মোটামুটি লেখালেখি করে ইনকাম করতে চাই, তাদের জন্য এটি একটি স্বর্ণ দুয়ার। যে কেউ চাইলে, এখানে পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম লেখালেখির মাধ্যমে, উপার্জন করছে। লেখালেখির মাধ্যমে টাকা উপার্জন যারা করতে চান, তারা গাইডলাইন সঠিকভাবে ফলো করবেন।

আশা করি গাইডলাইন ফলো করলে আপনি খুব সহজে মাসে বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যারা মাসে 9 থেকে 10 হাজার টাকা ইনকাম করতে চান?

সর্বপ্রথমেই আপনাকে যে কাজটি করতে হবে। আপনি এই ওয়েবসাইটের একটি প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ কিনে নিন।

প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ/কিংবা প্র মেম্বারশিপ কেন কিনবেন?

দেখুন আমরা যারা লেখালেখি করি, তাদেরকে প্রচুর সময় দিতে হয় এখানে। তো এখন ভেবে দেখুন প্রতিটি সময়েরই একটি মূল্য থাকে। আর আপনি যদি আপনার সময় এর ভালো ভ্যালু চান। তবে অবশ্যই আপনাকে একটু আপডেট থাকতে হবে। এখন ধরুন আপনি এখানে একজন ফ্রি মেম্বার। সে ক্ষেত্রে আপনি এখানে লেখা পোস্ট করলে, স্বাভাবিকভাবেই আপনার লেখা টি, খুব বেশি দামে বিক্রি হবে না। কারণ আপনি ফ্রি মেম্বার। আপনার আগে যারা এখানে মেম্বার হয়েছে, তাদের কদর টাই বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে যারা নতুন। তারা এই সমস্যাটিতে খুব ভালোভাবেই ফেঁসে যান।

এরপর আসা যাক পোস্ট মূল্যায়ন:ভেবে দেখুন আপনি যখন সাধারন কিংবা ফ্রি মেম্বার হিসেবে জয়েন করেছেন/সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিটি পোস্ট এর ভ্যালু দেয়া হচ্ছে, 10 থেকে 15 টাকা । অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিদিন পাঁচটি পোস্ট করেন/কিংবা নতুন কোনো আরটিকেল লেখেন/সে ক্ষেত্রে আপনি পেমেন্ট পাচ্ছেন, ১০*৫=50 টাকা। আর যারা, প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ নিয়েছেন তাদের পোস্ট ভ্যালু, সর্বনিম্ন, 15*5=75 টাকা। অর্থাৎ আপনার চেয়ে তারা 25 শতাংশ এগিয়ে থাকেন সব সময়। তাহলে আপনি ফ্রি মেম্বার থাকবেন নাকি প্রিমিয়াম মেম্বার হবেন সেটা আপনি ডিসিশন নিবেন। অর্থাৎ যদি আপনি ভালো পরিমাণ আয় করতে চান তবে এখানে প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ নিলে আপনি দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে ধাবিত হবেন। এটা একটি সাধারণ হিসাব। অর্থাৎ আপনি একই সময়ে এবং একই কাজ করলেই এখন থেকে 25% এগিয়ে থাকবেন। সুতরাং সম্ভব হলে আজই একটি প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ কিনে রাখুন।

প্রিমিয়াম মেম্বার হবার অন্যান্য ফেসিলিটি: 

  • প্রিমিয়াম মেম্বারদের আর্টিকেল সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়।
  • ক্রিমিয়া মেম্বাররা আর্টিকেল রেট বেশি পান
  • প্রিমিয়াম মেম্বাররা কোম্পানির নিবন্ধিত স্টাফ
  • ভবিষ্যতে প্রিমিয়াম মেম্বারদের মেম্বারশিপ কখনো ডিজেবল হবে না
  • প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ এ আপনি ভিউ বোনাস গুলো পাবেন খুব ভালো
  • প্রিমিয়াম মেম্বাররা সব সময় ফ্রি মেম্বারদের চেয়ে অগ্রাধিকার বেশি রাখেন।
  • প্রিমিয়াম মেম্বাররা 600 টাকা হলে ইউদ্র দিতে পারেন। যা ফ্রীমেম্বারদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এছাড়াও আরো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গুলো আপনারা ওয়েবসাইটের  অফার আর্টিকেলে দেখতে পাবেন।

এটাতো গেল  সাধারণমেম্বার থেকে, প্র মেম্বারশিপ এর সুবিধা।এখন আসা যাক আপনি কিভাবে এখান থেকে মাসে 9 থেকে 10 হাজার টাকা ইনকাম করবেন!

  1. প্রতিদিন কমপক্ষে ,২০ টি আর্টিকেল লিখুন। তাহলে এমনিতেই আপনার, ১৫*২০=300 টাকা হয়ে যাবে। প্রতিদিন 300 টাকা হলে 30 দিনে 9 হাজার টাকা। এবার বিশ্বাস হলো তো।
  2. প্রতিটি আর্টিকেল লিখতে, কমপক্ষে 40 মিনিট সময় দিন। এবং সময়গুলো ভাগ ভাগ করে নিন। যেমন ধরুন, সকালবেলা তিন ঘন্টা/বিকেলবেলা তিন ঘন্টা/রাত্রিবেলা আপনার সুবিধামতো বেছে নিলেন/তাহলে হবে কি আপনার একঘেয়েমি লাগবেনা/আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে/একসময় আপনি হয়ে উঠবেন প্রফেশনাল একজন আর্টিকেল রাইটার/
  3. প্রতিটি বিভাগে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন। যেমন ধরুন,শিক্ষা থেকে শুরু করে রান্না পর্যন্ত প্রায় 25 টিরও অধিক বিভাগ রয়েছে। সেখান থেকে আপনার পছন্দমত ২০ টি বিভাগ বাছাই করে নিন। চেষ্টা করুন প্রতিটি বিভাগে লিখতে।তাহলে আপনি লেখার মধ্যে এক ধরনের ভেরিয়েশন পাবেন। যা একজন লেখক এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।যারা লেখালেখি করেন তাদের কাছে লেখালিখিটা খুব কঠিন কিছু নয়। সম্ভব হলে আপনি যে বিভাগটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন সেই বিভাগে বেশি করে আর্টিকেল লিখুন। কিছু কিছু বিভাগ আছে যেখানে লিখতে, খুব কঠিন কিছু মনে হয় না। সেখানে একটু আর্টিকেলের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিন। তাহলে দেখবেন খুব সহজেই আপনি প্রতিদিন প্রচুর আর্টিকেল লিখতে পারছেন।
  4. সর্ব প্রথম চেষ্টা করবেন, আউটসোর্সিং বিভাগে লিখতে। কারণ আউটসোর্সিং বিভাগের লেখাগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয়। অনলাইনে ঢুকেই সর্বপ্রথম মানুষ অনলাইন কিংবা আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানতে চান। সে ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং বিভাগে ভিজিটর সংখ্যা অনেক বেশি।সুতরাং যেখানে ভিজিটর বেশি সেখানে আপনার লেখার ডিমান্ড বেশি। তাই চেষ্টা করবেন আউটসোর্সিং বিভাগে লিখতে। কারণ এখানে লেখার ভ্যালুটা অনেক বেশি। আপনি যদি পাঁচটি আউটসোর্সিং আর্টিকেল লিখতে পারেন, তাহলে আপনি অল্প পরিমাণ আর্টিকেল লিখেই উপরে উল্লেখিত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং আউটসোর্সিং কিংবা অনলাইন সম্পর্কে আর্টিকেল লেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
  5. সময় ভাগ করে নিন/অনেক সময় দেখা যায় দু-চারটি আর্টিকেল লেখার পরে আর্টিকেল লেখার উপর থেকে মন উঠে যায়/সে ক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট একটি সময়ে বেছে না নিয়ে সময়গুলোকে ভাগ ভাগ করে নিন/দেখবেন আপনার তেমন কোন কষ্ট হচ্ছে না/আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন অনেক আর্টিকেল আপনি প্রতিদিন নিজেই সৃষ্টি করতে পারবেন/আর সে আর্টিকেলগুলো পোষ্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ডেইলি টার্গেট অর্জন করতে পারবেন/মনে রাখবেন যত আর্টিকেল দিবেন তত টাকা পাবেন ।
  6. অন্যের আর্টিকেলগুলো বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করবেন। লেখক হতে গেলে আপনাকে প্রচুর পড়তে হবে। আপনাকে লেখালেখির মার্কেট সম্পর্কে যাচাই করতে হবে। কোন লেখক কি ধরনের লেখা লিখছেন। তা কেমন ভিজিটর দেখছেন। কোন লেখাগুলো অধিকসংখ্যক ভিউ পাচ্ছে। কোন লেখাগুলো মানুষ পছন্দ করছে।সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা আপনি পেয়ে যাবেন।সুতরাং আপনি যে ওয়েবসাইটে লিখবেন সেই ওয়েবসাইটের অন্যের লেখা গুলো বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করবেন। হতে পারে সেখান থেকে আপনি নতুন কোনো আইডিয়া পেয়ে যেতে পারেন। আপনি যেহেতু লিখবে নি সে ক্ষেত্রে, আপনাকে এখানে সময় দিতে হবে। আপনি যত সময় এখানে ব্যয় করবেন ঠিক ততটাই আপনি আর্ন করতে পারবেন।
  7. যদি আপনার এন্ড্রয়েড ফোন না থাকে, আপনি খুব ভালো করে টাইপিং শিখে নিন। কারণ যারা ভাগ খুব ভালো টাইপিং করতে পারে, তাদের কাছে ২০, আর্টিকেল লেখা কোন ব্যাপারই না। সুতরাং বাংলা ফোক কিংবা ইংরেজি আপনি খুব ভালো টাইপিং টা শিখে নেবেন। সে ক্ষেত্রে বানান ভুলের হাত থেকে আপনি বেঁচে যাবেন। অল্প সময়ে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
  8. আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে আপনার চিন্তা ভাবনা গুলো আগের ড্রাফ্ট করে নিতে হবে। আপনি যদি প্রিপারেশন এর আগে প্রিপারেশন না নিয়ে থাকেন, তবে আপনি কখনই কোন কাজে সফল হতে পারবেন না। সুতরাং আপনাকে প্রিপারেশন এর আগে প্রিপারেশন ও নিতে হবে। আপনি কি লিখবেন। সেটি আগের দিন ঠিক করে নিতে হবে। তাহলে দেখা যাবে আপনি খুব সহজেই প্রচুর আর্টিকেল লিখতে পারছেন । চেষ্টা করবেন সবসময়, আগেভাগে সেই আইডিয়া গুলো সাজিয়ে নিতে। একটির পর একটি ক্রমান্বয়ে সাজাবেন,তারপর সেখান থেকে বেছে বেছে যখন আপনার মনের মাঝে যে টপিকটি আসবে সে টপিক নিয়ে লিখে ফেলতে পারবেন। আর্টিকেল লেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন।
  9. যে কোন বিষয়ের উপর ফোকাস করুন, বেশি বেশি ভাবনা চিন্তা করুন। ভাবনা চিন্তা গুলো সহজ এবং সরল ভাবে করুন। মানুষের ভালো হয় এমন চিন্তা করুন। আপনি দেখতে পাবেন আপনার সামনে শুধু আর্টিকেল আর আর্টিকেল। আপনি আর্টিকেল লিখে শেষ করতে পারবেন না।আপনার জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও আর্টিকেল লেখা শেষ হবে না। আর আমি তো শুধুমাত্র ২০ টি আর্টিকেল এর কথা বলেছি। কেউ চাইলে দিনে 30,/ 40 টি লেখা কোন ব্যাপারই না/

পজিটিভ ভাবুন মনকে শক্ত করুন,,: এখানে পজিটিভ ভাবার কথাটা আমি এইজন্য বললাম, অনেকে আছেন যারা ২০ টি আর্টিকেলের কথা শুনেই, হতভম্ব হয়ে গেছেন।ভাবার কিছু নেই আমি যে থিওরি টি দিয়েছি এই থিওরি টি যদি আপনি পালন করতে পারেন তবে লাভটা আপনারই হবে। তাই মনকে শক্ত করুন। আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করে নিন আপনাকে এই কাজটি করতে হবে।

দেখুন আপনি যদি কোনো অফিস কিংবা আদারস কোন জায়গায় কাজ করতেন, সেক্ষেত্রে হয়তো আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হতো/নির্দিষ্ট একটি সময়ে পর্যন্ত ডিউটি করতে হতো/তারপর প্যারা /তারপর আপনি মাস গেলে 10 কিংবা 15 হাজার টাকা স্যালারি পেতেন/এখন ভেবে দেখুন আপনি যদি এই 10 থেকে 15 হাজার টাকা বাড়িতে বসেই ইনকাম করতে পারেন/তবে কেন আপনি সেখানে 5/7 ঘন্টা সময় দিবেন না/আপনি যদি ফুলটাইম কাজ করেন সেক্ষেত্রে হয়তো আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন/

আউটসোর্সিং এর গতিতে, আপনি অনলাইন আসলে  অফলাইন দুনিয়াকে ভুলে যাবেন। কারণ যারা, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে মোটামুটি ভাবে কিছু আয় করতে চান, তাদেরকে বলব মন দিয়ে, কাজ করুন। প্রথম প্রথম হয়ত একটু সময় লাগবে, আস্তে আস্তে একটা সময় আপনি ভালো আর্ন করতে পারবেন। যেটা আপনাকে অবাক করে দিবে। সুতরাং ঘরে বসে না থেকে অনলাইনে টুকটাক কিছু না কিছু করার চেষ্টা করুন। হয়তো একটা সময় এটি হয়ে যাবে আপনার একমাত্র অবলম্বন।

গাথোর থেকে এই গাইডলাইন ফলো করলে আপনি মাসে 9 থেকে 10 হাজার টাকা নয় এরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আশা করি সবাই চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এটি খুব কঠিন কিছু নয়।প্রতিদিন অনলাইনে নতুন নতুন কনটেন্ট এর চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার এই বাজারে আপনি কেন নিজেকে পিছিয়ে রাখবেন। প্রতিদিন নতুন নতুন কনটেন্ট যোগ করুন ভালো পরিমাণ আর্ন করুন। মনে রাখবেন যে কোন কাজ করতে গেলে আপনাকে সময় এবং শ্রম দুটি দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে ব্লগ রাইটিং খুব কঠিন কিছু নয়। ইচ্ছে করলে আপনি আপনার হাতে থাকা ফোন দিও কাজটি করে নিতে পারেন। তাই আজ থেকে শুরু করুন নতুন এই গাইডলাইন। যা আপনাকে মাসে 9 থেকে 10 হাজার টাকা ইনকামের , কিছুটা হলেও পথ দেখাবে। ( ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন)

:::::::::::::: মমিন সাগর::::::

Related Posts

16 Comments

মন্তব্য করুন