আমরা সকলেই খেতে ভিষণ ভালোবাসি তাই না?বিশেষ করে ফাস্ট ফুড গুলো।কিন্তু বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে আমরা যে ফাস্টফুড গুলো খাই যেমন পিজ্জা,হট ডগ,বার্গার,ফ্রাইড চিকেন এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কত টুকু ভালো তা আমরা না জেনেই খাচ্ছি।আসলে বাইরের ফাস্টফুডগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।কারণ এরা বেশি লাভের জন্য মেয়াদ ছাড়া জিনিস ব্যবহার করে।বাসি পচা খাবার গরম করে দিয়ে দেয়।আর আমরা খুব আনন্দে,খুব তৃপ্তি সহকারে সেগুলো খেয়ে নেই।আমরা একেই আমাদের শরীরের ক্ষতি করছি সাথে সাথে আমাদের টাকাও নষ্ট করছি।
আর যেনো টাকা ও শরীর কোনোটাই নষ্ট না হয় সেটার জন্য নিয়ে এলাম বাড়িতেই পিজ্জ্বা তৈরির রেসিপি।কোনো ওভেন লাগবে না,গ্যাসের চুলাতেই তৈরি করতে পারবেন এই পিজ্জ্বা।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
☞উপাদান☜
১।ময়দা
২।ইস্ট
৩।চিকেন
৪।ক্যাপসিকাম
৫।লবন
৬।মরিচ
৭।অলিভ অয়েল
৮।বেকিং পাউডার
৯।পেয়াজ
১০।চিজ
১১।রসুন
১২।ধনেপাতা
১৩।গোলমরিচের গুড়া
☞তৈরির প্রনালী☜
প্রথমে সামান্য পানিতে ইস্টগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে।তারপর অন্য একটি বাটি নিয়ে সেখানে ময়দা,বেকিং পাউডার লবন ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ডো তৈরি করতে হবে।তারপর সেই ডোতে সামান্য গর্ত করে পানিতে ভিজিয়ে রাখা ঈস্টগুল দিয়ে দিতে হবে।তারপর আবার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।এবং কিচ্ছুক্ষণ ঢেকে রেখে দিতে হবে।৩০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখবেন ডো কতটা নরম হয়ে ফুলে উঠে আছে।তারপির আবার সেটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর একটি প্যানে তেল মালিশ করে তার উপর সে ডো টি ভালোভাবে পুরো প্যানে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রায় ১” পুরু করে।এরপর সে ডো এর উপর হালকা তেল ব্রাশ করে নিয়ে তার উপর কিউব করা চিকেন,ক্যাপসিক্যাম,পেয়াজ কুচি,রসুন কুচি,কাচা মরিচ,গোল মরিচের গুড়া,ও সবার উপরে চিজ দিয়ে দিতে হবে।
এবং ৪৫ মিনিটের জন্য সেটা গ্যাসের চুলায় অল্প আগুনে বেকিং করতে দিতে হবে।
৪৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখতে হবে পিজ্জ্বাটি রেডি হয়েছে কি না।যদি হয়ে যায় তাহলে সেটা তুলে পরিবেশন করতে হবে।
এভাবেই বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু চিকেন পিজ্জ্বা।
আর শুধু শুধু পিজ্জ্বা খেতে কার ভালো লাগে বলুন?তাই পিজ্জ্বার সাথে খাওয়ার জন্য একটি সস তৈরিও শিখিয়ে দেই।
সেটি হলো টকদৈ ও শসার সস।
প্রথমে একটি শসা খুচি খুচি করে কেটে তাতে টক দৈ,সামান্য বাটার,সামান্য গোল মরিচের গুড়া,দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে হবে।তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।তাহলেই হয়ে গেলো সস।
এভাবেই বাড়িতেই তৈরি হয়ে গেলো বিকেলের একটি সুস্বাদু নাস্তা।
এরকম আরো অনেক সহজ সহজ রান্নার রেসিপি নিয়ে আবার একটি আর্টিকেল লিখবো।
আমার আর্টিকেল পড়ে,কমেন্ট ও শেয়ার করে আমার পাশে থাকবেন।
ধন্যবাদ