লাইফস্টাইল
প্রতিদিন যে কয়টি ভুল আমরা করে চলেছি


বর্তমান এই যুগটা এমন এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে মানুষের ভুল খুঁজে পাওয়া খুব সহজ, কিন্তু নিজের ভুল ধরা খুব মুশ্কিল। কেননা প্রত্যেকেই নিজের কাছে প্রভু। তাই দেখবেন আপনারর কাছে যে কাজগুলোকে ঠিক মনে হচ্ছে, সে কাজগুলো হয়তো আমার কাছে ভুল। আর এভাবেই আমরা একের পর এক ভুল করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। তাই ভুল আর ধরা হয় না। তবে আজকে সেই বিষয়গুলিই নিয়েই আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
প্রতিদিনের ভুল
অন্তত ৪ ধরনের ভুল আমরা প্রতিনিয়তই করে থাকি। কি সেগুলো, সেটা হয়তো আপনিও ভাবছন। যাই হোক, যে ভুলগুলো আমরা করে থাকি তার মধ্যে, যেমন—
১. ভেবে কথা বলি না
মাসখানেক আগে ১৬ ই ডিসেম্বরের রাত্রে আমাদের পাইলট স্কুলের এখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান সভায় গিয়েছিলাম। সেখানে মাঠের একদিকে আমি আর আমার এক বন্ধু একটা বিসয় নিয়ে বেশ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুরু করেছিলাম। তা আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমি আসলে আমি আমার মতামতগুলোকে বারবার ডিফেল্ড করে যাচ্ছিলাম, আর আমার ফ্রেন্ডটি চিন্তা চেতনার স্বপক্ষে কথা বলে যাচ্ছিলো। তা এভাবে ঘন্টাখানেক বিতর্ক করে যাবার পর এমন একটা পর্যায় আসলো যেখানে এই আলোচনায় আমাদের কেউই কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলাম না। অর্থাৎ, পুরো বিতর্কের কোনো ফলাফলই নেই!
এখন আমার মনে হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভুল করার মধ্য এটা প্রথম ভুল।
কেবল নিজের যুক্তিতে অনড় না থেকে অন্যের কথাগুলো ঠিক মতো না শুনলে আসলেই কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না।
২. লেখার আগে তেমন ভাবি না
আমাদের লেখালেখির অনেকটাই এখন এমন হয়ে গেছে মোবাইল নাতো কম্পিউটারের স্ক্রিনে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দেখবেন কত মানুষের কত একের পর এক নেগেটিভ কমেন্ট আর কমেন্ট আর পোষ্ট আর পোষ্ট!! একজন মানুষের তো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজ সম্মান রয়েছে। তাই কোনো কিছু পোষ্ট বা কমেন্ট করার আগে যা লিখছি, তা আমার কাছে কতটা সম্মানজনক হবে সেটা নিয়ে আজকাল অনেকেই অত কিছু ভাবে না ভাবুন। আমাদের মনে রাখতে হবে, অকারণে কোনো মানুষকে ট্রল করা বা অপমান করা— অগুলোতে কিন্তু নিজেরই সম্মানহানি নয়, অন্যের নয়।
৩. হেরে যাওয়ার আগেই হেরে যাই
আমাদের মধ্যে অনকেই আছি যারা কোনো কাজ শুরু করার আগেই হা-হুতাশ শুরু করে দেই। এটা করে লাভ কি, এতে কোনো নেই, আমার এতো সময় নেই— এরকম হাজারটা অজুহাতের মাঝে শেষশেষ দেখি যে কাজটাই করা হয়ে ওঠে না। আর কাজ শুরু করার আগে কাজে ব্যর্থতার ভয়টাই আমাদের আর সামনে এগোতে দেয় না।।
আশা করছি এই ৩ টি বিষয় সর্বদা আমরা মনে রেখে ভুল থেকে নিজেদের সংশোধন করতে পারব।
আজকে এ পর্যন্তই। এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। তবে আপনি হয়তো ভাবছেন, নিজের ভুল সংশোধন করে অন্যের ভুল নিয়ে আর্টিকেল লিখছে। আসলে আমি নিজের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়েই ভাবলাম এরকম একটা আর্টিকেল আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই করলাম। ভুল করে থাকলে মাফ করে দিয়েন।
লাইফস্টাইল
ভালোবাসা নিয়ে কিছু বাস্তব কথা


ভালোবাসা নিয়ে প্রথমে ইংলিশ লেখক টমাস মুলার এর একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শুরু করি, ভালো ভাসতে শেখো, ভালোবাসা দিতে শিখো, তা হলে তোমার জীবনে ভালবাসার অভাব হবে না।
এ কথাটি চরম সত্য। আসলে ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। ভালোবাসা হতে পারে প্রকৃতির সাথে,প্রানীর সাথে, প্রেমিকার সাথে, বিধাতার সাথে। মানুষের হৃদয়ের একটি অনুভূতি হল ভালোবাসা। যে অনুভূতি কাউকে দেখাতে পারেন না,অনুভব করে বুঝে নিতে হয়। ভালোবাসা হতে হবে নিখুঁত।
ভালোবাসা মানুষের একটি মহৎ গুণ। যা নিজের মনের ভেতর লালন করতে হয়। নিজেকে নিজে ভালোবাসতে হয়। যে নিজেকে নিজে ভালোবাসতে পারে না,সে অন্য কাউকে ভালবাসতে পারবে না।
বলা হয় ভালোবাসা সবার জন্য সমান। কিন্তু বাস্তবে তা আমরা দেখতে পাই না। বর্তমানে আমাদের সমাজে ধনী গরীবের মাঝে ভালোবাসা হয় না। উচ্চ শ্রেণীর আর নিম্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। ধনী গরীবের প্রেম ভালোবাসা শুধুমাত্র সিনেমায় দেখা যায় বাস্তবে নয়।
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই ভালোবাসা প্রয়োজন।কিন্তু ভালোবাসা সারা জীবনে অনেক কিছু প্রয়োজন রয়েছে।যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক বিষয়গুলো বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের মত প্রয়োজন। আরো বড় বাস্তবতা হচ্ছে, ভালোবাসা দিয়ে কখনো পেট ভরে না, ক্ষুধা দূর হয় না। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা। তবে জীবনে অবশ্যই ভালোবাসা প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু নয়। সেক্সপিয়র এজন্য বলেছিলেন, অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায় ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।
লাইফস্টাইল
মধ্যবিত্ত নিয়ে উক্তি


মধ্যবিত্তরাই পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত। পারেনা ধনীদের সাথে মিশতে পারে না গরিবদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে। মধ্যবিত্তদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত অভিনয় করে পথ চলতে হয়। আমি নিজের মধ্যবিত্ত তাই মধ্যবিত্তের বৃত্ত ও ব্যাসার্ধ আমি ভালো করেই বুঝি। বুকে জমানো হাজারটা কষ্ট নিয়ে অন্যদের কাছে হাসিমুখে থাকতে হয়।
লোকদের মুখে শোনা যায়, এককালে ধনীরা গরিব হয় আর গরীবরা ধনী হয়ে যায়। কিন্তু মধ্যবিত্তরা সবার অগোচরে থেকে যায়। মধ্যবিত্তরা আজীবন মধ্যবিত্ত। ভাবছি আজ মধ্যবিত্ত নিয়ে কয়েকটি উক্তি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
* মধ্যবিত্ত একটি ছোট্ট। কিন্তু এই শব্দটি এতটাই অর্থবহুল যা কখনো একটা অভিধানে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
*মধ্যবিত্তদের উড়ানোর মত টাকাকড়ি নেই,কিন্তু ২ টাকা পকেটে নিয়ে হাসি দেখার মত রয়েছে অলৈাকিক ক্ষমতা।
*মধ্যবিত্তরা পৃথিবীতে জন্মায় অভিনয় করে,সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার জন্য।
*মধ্যবিত্তদের কখনো স্বপ্ন দেখতে নেই,তারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়,কারন স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট খুব বেদনাদায়ক।
*মধ্যবিত্তদের জীবনটা হল ঘরপোড়া গরুর মত তারা সিঙ্গুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।
*মধ্যবিত্তদের একটা যাদুকরী গুন রয়েছে,সেটা হল নিজের কষ্টগুলো চাপিয়ে রাখার ক্ষমতা।
*দুই শ্রেনীর মানুষ পৃথিবীতে থাকা উচিত। একটি ধনী অপরটি গরিব। মধ্যবিত্ত নামে কনো শ্রেনী থাকা উচিত নয়।
*মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়-হুমায়ূন আহমেদ।
* মধ্যবিত্তদের জীবনে অনেক চাওয়া পাওয়ার মাঝে লুকিয়ে রাখা একটি শব্দ “থাক লাগবেনা”।
*মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মানো চেয়ে ফকির হয়ে জন্মানো ভাল। ফকিরদের অভিনয় করতে হয়না কিন্তু মধ্যবিত্তদের সুখে থাকার প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যেতে হয়।-হুমায়ূন আহমেদ।
লাইফস্টাইল
বাইক নিয়ে ক্যাপশন


বর্তমানে আমাদের সমাজে তরুণ প্রজন্ম বাইক চালানো একটা নেশা হয়ে গেছে। বিশেষ করে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী ছেলে গুলো বাইক নিয়ে মাস্তানি করে বেড়ায়। বাইক নিউ ফ্যাশন করতে গিয়ে তা মে কততা ঝুঁকির মধ্যে করতে হয় তা এ যুগের ছেলেরা ধারণা রাখে না। বাইক নিয়ে ক্যাপশন –
প্রতিবছর এ দেশে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় অনেক মানুষ। যানবাহনের মধ্যে যত প্রকার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক এক্সিডেন্ট বাইক এক্সিডেন্ট। নয়তো মৃত্যু হয় তো পঙ্গু। একটা সাজানো গোছানো জীবন চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায়। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে। পত্র-পত্রিকা চোখ রাখলেই এই ভয়াবহ খবর দেখতে পাওয়া যায়। অনেক পিতা মাতার আসেন তাদের আদরের ছেলেকে অল্প বয়সে মটর বাইক কিনে দেন। এটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত।
এই অল্প বয়সে বাইক কিনে দিলে ছেলেগুলো যদি এক্সিডেন্ট না হয় তবে তারা নানা ধরনের বিপদে পরিচালিত হয়। পড়ালেখা বাদ দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মাস্তানি করে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েদের ইভটিজিং করে। এক বাইকে তিন,চারজন বসে হাইস্পিডে চলে যায়। একটু এদিক সেদিক হয়েছে তারা শেষ। একটি দুর্ঘটনা যেন সারা জীবনের জন্য কান্না। নিজের,পিতা মাতা স্বপ্ন এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায়।
আমাদের উচিত পাড়ার ছেলেপেলে গুলোকে বাইক চালানো নিয়ে সতর্ক দেয়া। অনেক ছেলে আসে তারা বাইক ব্যবহারের সময় হেলমেট পরে না, ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চায় না।
এই বিষয়গুলো নিয়ে এখনি সবারই সচেতন হওয়া দরকার। যারা এভাবে বাইক কিনে দেন আমি সমস্ত অভিভাবকদের অনুরোধ করবো, আপনারা আপনাদের সন্তানকে সবসময় খোঁজ রাখুন, কোথাও অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছে কিনা, ছেলে মাদকাসক্ত হচ্ছে কিনা, কোন মেয়েকে ইভটিজিং করছে কিনা, খারাপ ছেলে মেয়েদের সাথে মিশছে কিনা এসব বিষয়গুলো সবসময় খোঁজ খবর রাখা দরকার।
miraz raj
January 22, 2021 at 4:31 pm
nice
Jibon Roy
January 22, 2021 at 5:28 pm
Tnx