আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
আজকের গল্পটা হচ্ছে বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টার নেট এর ব্যবহার নিয়ে। বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এর ব্যবহার অপরিসীম তা লেখে হয়তো শেষ করা যাবে না। আমারা সব দিক দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি এর মধ্যে বিনোদন অন্যতম।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে বিনোদন জগতের একটি নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন বিনোদনের জন্য মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে হতো আমারা আগে সিনামা দেখার জন্য সিনামা হলে যেতে হতো,গান শুনার জন্য গানের জলসায় যেতে হতো, খেলা দেখার জন্য খেলার মাঠে যেতে হতো। এখন এ ধরনের বিনোদনের জন্য মানুষকে আর ঘর থেকে বের হতে হয় না। প্রথমে রেডিও তারপর টেলিভিশন এসেছে। তারপর এসেছে কম্পিউটার। একসময় কম্পিউটারে সংযুক্ত হয়েছে ইন্টারনেটের সাথে। যার ফলে একজন মানুষ চার দেয়ালের ভিতর আবদ্ধ থেকেও পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের বিনোদন উপভোগ করতে পারে। প্রথম যখন কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছিল তখন তার মূল কাজ ছিল কম্পিউট বা হিসাব করা, শুধু বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা সরকার একটা কম্পিউটারের মালিক হতে পারত। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে কম্পিউটার সহজলভ্য হয়ে এসেছে এবং এক সময় মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে শুরু করেছে। কম্পিউটার যখন শক্তিশালী হয়েছে তখন এটি শুধু লেখালেখি বা হিসাব নিকাশের জন্য ব্যবহৃত না হয়ে ধীরে ধীরে বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে। গান, চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র সবকিছু এখন কম্পিউটার দিয়ে করা যায়। তথ্য প্রযুক্তির কারণে বিনোদনের গ্রহণের প্রক্রিয়া টি তে যে রকম পরিবর্তন এসেছে ঠিক সেরকম পরিবর্তন এসেছে বিনোদনের বিষয়গুলোতে। সংগীতকে ডিজিটাল রূপ দেওয়ায় এখন আমরা কম্পিউটারে গান শুনতে পারি। ঠিক একই ভাবে আমরা ভিডিও বা চলচ্চিত্র দেখতে পারি। সিডি রম কিংবা ভিডিও বের হওয়ার পর সেখানে বিশাল পরিমাণ এর তথ্য রাখা সম্ভব হয়েছে। সিনেমা হলে না গিয়ে ঘরে বসে কম্পিউটার কিংবা টেলিভিশনে সিনেমা দেখা এখন খুবই সাধারন একটা ব্যাপার। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি হবার পর নতুন কিছু বিনোদনের জন্ম হয়েছে যেটি আগে উপভোগ করা সম্ভব ছিল না, তার একটা হচ্ছে কম্পিউটার গেমস।সারা পৃথিবীতে এখন কম্পিউটার গেমের বিশাল শিল্প তৈরি হয়েছে এবং নানা ধরনের কম্পিউটার গেম এর জন্ম হয়েছে। কম্পিউটার গেমসের ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে আন্দাজ করা যায় এটি বিনোদনের অন্তত সফল একটি মাধ্যম।এর সাফল্যের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক লোকজন ও তার রুচি মতো আনন্দ দিতে পারে পারে। নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কম্পিউটার গেমস একজন আরেকজনের সাথে খেলা যায় এমনকি দেশের বাইরের কারো সাথে খেলা যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই বিনোদন উপভোগ এর তীব্রতা এত বেশি হতে পারে যে,সেটি এক ধরনের আসক্তির জন্ম দিতে পারে, তাই সারা পৃথিবীতে কম্পিউটার গেমস খেলার ব্যপারে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।
আজ আর লিখব না। সবাই সুস্থ এবং সতর্ক থাকবেন। আবার অন্যদিন আসব অন্য একটা বিষয় নিয়ে।
!!!!!!!আল্লাহ হাফেজ!!!!