বর্তমান আমাদের দেশের স্মার্টফোন খুব বেশি প্রভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। প্রযুক্তির বিশেষ ভাবে এগিয়ে চলাতে আমরা এখন সবাই আমরা নিজেদের কাছে একটি স্মার্টফোন থাকার কথা ভাবি। এখন বেশিভাগ মানুষ নানা সুবিধা অসুবিধার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। আর প্রযুক্তির প্রসারতায় স্মার্টফোনের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। আমাদের হাতে একটি স্মার্টফোন থাকা মানে প্রযুক্তির এক বিশেষ অবদান এবং সমগ্র অনলাইন জগৎটি আমাদের হাতে থাকা কে বুঝায়। এটি শুধু আমাদের বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই স্মার্টফোন বাজারে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের চাহিদা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষের মধ্যে এখন স্মার্টফোন ব্যবহার বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই স্মার্টফোনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়্। বর্তমান সময় এখন সারা বিশ্ব অনলাইন পদ্ধতি হয়ে যাওয়ার ফলে এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষ তাদের বিভিন্ন কাজ হাসিল করে ফেলছে,এটি আমাদের পার্সোনাল জিনিস হিসাবে এবং এই আধুনিক যুগে নানা প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আমরা বিভিন্ন পেশার মানুষ ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই সময় এটি ব্যবহার করে থাকি। এই স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক নানা কোম্পানি তাদের সাধ্য মতন প্রস্তুত করে চলছে, এইসব কেনাবেচায় শুরু হয়েছে নানা কোম্পানির প্রতিযোগিতা। সাধারানত আমরা এখন আমাদের ফোন দিয়ে নানা কাজ কর্ম হাসিল করে থাকি। এর মধ্যে আমাদের একটি বিশেষ নেশা হচ্ছে ছবি তোলা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠান সহ আমাদের নানা কাজে আমরা ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে থাকি। আর এখন ফোনের মধ্যেমে মানুষের ছবি তোলার ব্যাপারটি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা বেশি ভাগই যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি আমরা চাই আমাদের ফোনের ক্যামেরাটি অনেক ভালো মানের হোক যাতে আমরা অনেক আর্কষণীয় ভাবে ছবি তুলতে পারি।
আর এখন প্রায় বেশিভাগই লক্ষ্য করা যায় আমারা আমাদের পার্সোনাল ফোনে খুব সুন্দর ভাবে ছবি তুলে ছবিটি আমাদের যেকোন সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে থাকি, এবং সেখান থেকে অনেক লাইক কমেন্ট পাওয়ার আশা করি, হয়তো ছবিটির কোয়ালিটি ভালো হলে ও ভালো মানের ক্যামেরার ছবি হলে আমাদের বেশি ভাগ মানুষেরই সেটি চোখে পড়বে। আর এখন এই আধুনিক যুগে আমাদের ক্যামেরার ব্যবহার কমে গিয়েছে আমরা বেশি ভাগই এখন ফোনের মাধ্যেমে ছবি তুলে এই কাজটি হাসিল করি থাকি, আর এই কাজ টি হাসিল করতে আমরা সবাই একটি ভালো মানের ক্যামেরার স্মার্টফোন কিনতে চাই। তবে আপনারা জেনেও অবাক হবেন যে এখন কার এই ফোন কোম্পানিগুলো উন্নত ক্যামেরার ফোন তৈরী করে থাকে। যা দ্বারা আমরা অনেক ভালো মানের ছবি তুলতে পারি। এই মতন কিছু ফোন আছে যা শুধু সাধারন মানের ক্যামেরার ফোন নয় বিশ্বমানের ও বিশ্বসেরা ভালো মানের ক্যামেরার ফোন হয়ে থাকে। আমারা অনেকেই সেই ফোন গুলোকে চিনি না ও জানি না, তাই আর দেরি না কের চলুন জেনে নেই বিশ্বসেরা ভালো মানের ক্যামেরার ফোন কোনগুলো:
১. অ্যাপেল আইফোন ১২ প্রো – Apple iPhone 12 Pro:
বিশ্বসেরা ও বিশ্বমানের ভালো একটি ক্যামেরার ফোনের মানের কথা বললে সবার আগে নাম আসবে অ্যাপেল আইফোন ১২ প্রো এর। আপনি যদি ফোনের ক্যমেরার প্রসঙ্গে আসেন তাহলে এই ফোনটি ক্যমেরার দিক দিয়ে বিশ্বসেরা তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে আছে। আর সাধারনত অ্যাপেলের আইফোনের ক্যমেরা সবসময় এটি উন্নত হয়ে থাকে। এখানে আপনি ছবি তুলে অবাক হবেন যে এটিতে এতো সুন্দর ছবি উঠে থাকে। আর এই অ্যাপেল আইফোন ১২ প্রো তে আছে ১২ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল লেন্স সেটাপ, প্রাইমারি লেন্স এফ/১.৬ অ্যাপারচারের, টেলিফোটো লেন্স এফ / ২০ অ্যাপারেচার, আল্ট্রাওয়াইড লেন্স এফ ২.৪ অ্যাপারেচারের। এতে একটি T O F 3D ডেপ্থ সেন্সিং লেন্স ও আছে। ফোনটিতে আরও থাকছে ১২ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল লেন্স এবং এস্এল 3D ডেপ্থ লেন্স, ফোনটিতে স্মার্ট এইচডিআর এবং ডেপ্থ কনট্রোরল ফিচারও থাকছে। একটি ফোটো তোলার পর অ্যাপেলের ফোন গুলো অনেকটা কম প্রসেসিং করে যার কারনে এই ফোনের তোলা ছবি গুলো দেখতে অনেকটা জীবন্ত লাগে। তবে আরও যে সব কোম্পানির ফোন রয়েছে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, ভিভো এসবের থেকে এটিতেই সবচেয়ে ভালো ছবি উঠে থাকে। এই ফোন টি দিয়ে সাধারনত কম আলোতে তুলনায় অনেক অসাধারন ভালো ছবি তোলা যাবে। এই আইফোন ১২ প্রো তে লিডার ( লাইড ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং ) স্ক্যানার সংযুক্ত করা হয়েছে যার কারনে এটি দিয়ে অনেক ভালো মানের ছবি উঠে থাকে। এটি আশেপাশের পরিবেশের জন্য্ একটি ডেপথ ম্যাপ তৈরী করে কম আলোতে অটোফোকাস ছয় গুন দ্রুততায় ছবি উঠতে সাহায্য করে থাকে। ফোনটির টেলিফোটো লেন্সের সাহায্যে তোলা বেশি দূরত্বের ফটোগুলোতেও পর্যাপ্ত ডিটেইলস পাওয়া যাবে। ৫২ ন্যানোমিটার টেলিফোটো লেন্স দিয়ে ৪ এক্স জুম ইন শট নেয়া সম্ভব হয়। ফোনটির পিছনে থাকা তিনটি ক্যামেরার সাহায্যে ৬০ ফ্রেম রেট ৪কে রেজুলেশনের ভিডিও ক্যাপচার করা যাবে। যার জন্য বিশ্বসেরা ফোনের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে এই ফোনটি যা মানুষেকে উৎসাহিত করে তুলছে।
২. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ অলট্রা – Samsung Galaxy S21 Ultra:
স্যামসাং এস সিরিজের এই ফোনটিতে রয়েছে অনেক আকর্ষনীয় ক্যামেরা যা বেশিভাগ মানুষের মন মাতিয়ে দিয়েছে। তবে স্যামসাং এর এস সিরিজের সব ফোনগুলো বেশে ভালই চমক দেখিয়ে থাকে। আর ফোনটির ক্যামেরার বিশ্বের তালিকা পাওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে হাই স্পেকের সাথে উন্নত ক্যামেরা। নিসন্দেহে এর ক্যামেরা যেকোনো ডিএসএলআর ক্যামেরাকেও হার মানাতে সক্ষম হয়ে থাকে। আর তাই বিশ্বের ভালো মানের ছবি তোলার ফোনের তালিকায় এটি জায়গা পেয়েছে, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২১ ক্যামেরার মানের দিক দিয়ে বিশ্বে ২য় স্থান অর্জন করে আছে। এই ফোনে সাধারনত স্কোয়াড ক্যামেরার এক দূর্দান্ত সেটাআপ রয়েছে। এতে আছে এফ ১.৮/ অ্যাপারেচারের একটি ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স, এফ / ৪.৯ অ্যাপচারের একটি ১০ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স, এফ / ২৪ অ্যাপাচারের একটি ১০ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স, এবং এ্ফ / ২.২ অ্যাপাচারের একটি ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। ফোনটির ক্যামেরার একটি অসাধারন ফিচার হলো টেলিফোটো লেন্সের মধ্যেমে ১০ এক্স অপটিক্যাল জুমের পাশাপাশি ১০০ এক্স ভালো মানের জুমে ছবি তোলা যায়। এটিতে দুইটি সুপার ফাস্ট অটোফোকাস এবং ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ) ফিচার ইমেজ রয়েছে। ফোনটিতে থাকা ক্যামেরা গুলোর মাধ্যমে ২৪-৩০ ফ্রেমরেট ৮ কে রেজুলেশনের ভিডিও ধারণ করা যাবে। স্যামসাং এর এই ফোনটিতে সামনে রয়েছে এফ ২.২অ্যাপারচারের একটি ৪০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা যা অনেক ভালো মানের সেল্ফি পিক উঠে থাকে, এবং সেটি দিয়েও ৪কে রেজুলেশনের ভিডিও ধারণ করা যাবে। আর এই কারণে মানুষের ছবি তোলার কাজে এই ফোনটি বিশেষ ভাবে এগিয়ে থাকে।
৩. হুয়াওয়ে পি৪০ – Huawei P40 Pro:
বিশ্বসেরা স্মার্টফোনের ক্যামেরার তালিকায় ৩য় স্থান রয়েছে হুয়াওয়ে পি ৪০। এই ফোনটির ক্যামেরা এক কথায় সত্যি অসাধারন ও আকর্ষনীয়। এতে একটি ফোটো বিশেষ ভাবে অনেক ভালো মানের হয়ে থাকে। এই ফোনটির সাধারনত মোবাইল ফটোগ্রাফিকে এক অন্য স্থানে নিয়ে গিয়েছে, এর পিছনের ক্যামেরা সাধারনত কোয়াড ক্যামেরা সেটাআপ করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে একটি এফ ১.৯ অ্যাপাচারের ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স, একটি এফ ৩.৪ অ্যাপাচারের ১২ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স, এ্কটি এফ ১.৮ অ্যাপাচারের ৪০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং একটি T O F 3D ডেপথ সেন্সিং লেন্স। এটি দিয়ে কম লাইটে অসাধারন সব ফটো ক্যাপচার করা যাবে, পাশাপাশি এর টেলিফোটো লেন্স দিয়ে অপটিক্যালভাবে চমৎকার জুম ইন শট নেওয়া যাবে। ফোনটিতে সাধারনত ৫এক্স জুম ছাড়াও থাকছে ৫০ এক্স ডিজিটাল জুম ব্যবহারের সুবিধা। সেলফি তোলার জন্য সামনে রয়েছে এফ ২.২ অ্যাপাচারের ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি ভালো মানের ক্যামেরা। এটি ছবি তোলার ক্ষেত্রে অনেক ভালো কোয়ালিটির ছবি প্রকাশ করে থাকে। এই জন্য এটিও কম সম মানুষের মন জয় করে নেই।
৪ গুগল পিক্সেল ৪এক্সএল – Google Pixel 4 XL :
এই বিশ্বসেরা ভালো মানের ক্যামেরার ফোন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই ফোনটি কে বাদ দিয়ে আলোচনা তো করাই যাবে না। কেননা এতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ক্যমেরা প্রযুক্তি যা এই ফোনটিকে অন্য সব ফোন থেকে ইউনিক করেছে। গুগলের এই ফোনটিকে বেস্ট আই ক্যামেরার ফোন বলা হয়ে থাকে। আর এই জন্য এই ফোনটি বিশ্বের তালিকায় ৪র্থ স্থান অর্জন করে আছে। স্মর্টফোন ক্যামেরার কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে দিয়ে কিভাবে চমৎকার সব ফোট ক্যাপচার করা যাবে তা গুগল প্রযুক্তি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে। আগের ফোন গুলোতে সাধারনত সিঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করা হলেও এখন এই অবস্থান থেকে সরে এসেছে গুগলের এই ফোনটি। এখানে আছে পিডিএফ ও আইএসএফের সাথে এফ ১.৭ অ্যাপাচারের একটি ১২.২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স এবং এফ ২.৪ অ্যাপাচারের একটি ১৬ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স। আর ফোনটির সামনে রয়েছে এফ ২ অ্যাপাচারের ৮ মেগাপিক্সেলের লেন্স এবং একটি T O F 3D ডেপথ সেন্সিং লেন্স যা বোকেহ ইফেক্ট তৈরী করতে সাহায্য করে থাকে। এই ফোনটি সাধারনত কম আলোতে অনেক উজ্জল ও আর্কষনমূলক ছবি উঠে থাকে। এই ফোন দিয়ে তোলা ছবি গুলো অনেক ক্যালারফুল হয়ে থাকে। ফোনটিতে গুগলের উন্নত ফটো প্রসেসিং অ্যালগরিদম এবং স্বয়ংক্রিয় এইচডআরের মতন ফিচার গুলো থাকায় এটি দিয়ে ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব্ হয়ে থাকে। এটির সাহায্যে আরো ভালো ডিটেইলসে জুম ইন শর্ট নেওয়া যায় টেলিফোটো লেন্সের মাধ্যমে ৮এক্স জুমে ছবি তোলা যাবে। ছবি তোলার পাশাপাশি ৩০ ফ্রেমরেট ১০৮০ পিক্সেলের রেজুলেশনের ভালো মানের ভিডিও ক্যাপচার করা যাবে। তবে এই ফোনটিতে কোন আল্ট্র ওয়াইড লেন্স না থাকায় যা ক্যামেরার দিক দিয়ে অ্যাপেল আইফোন, স্যামসাং, এর ফোন গুলো থেকে পিছিয়ে আছে।
৫. হনোর ৩০প্রো – Honor 30Pro:
হুয়াওয়ে সব ব্র্যান্ডের ফোন হনোর ৩০ প্রো এর মতনি এর ক্যামেরা অনেকাংশ হুয়াওয়ে পি৪০ প্রো এর মতনি। এই ফোনটিতে থাকছে হাই ক্যামেরা স্পেসিফিকেশন। এতে রয়েছে এফ ১.৮ অ্যাপাচারের একটি ৪০ মেগাপিক্সেলের সুপার সেনন্সিং প্রাইমারি লেন্স, এফ ৩.৪ অ্যপাচারের একটি ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স, এফ ২.২ অ্যাপাচারের একটি ১৬ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স, এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সিং লেন্স। আর সমনে রয়েছে এফ ২ অ্যাপাচারের একটি ৩২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স এবং এফ ২.২ অ্যাপাচারের একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড সেন্স। এই ফোন দিয়ে কম আলোতে অনেক সুন্দর ফটো তোলা যাবে। ফোনটি ৫এক্স জুমের পাশাপাশি ৫০ এক্স ডিজিটাল জুমের সুবিধা। আগের সাধারনত হুয়াওয়ে পি ৪০ ফোনটিতে RYYB সেন্সর না থাকলে এবার ফোনটিতে ৪০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্সে RYYB সেন্সর রয়েছে। ফোনটির পিছনে থাকো কোয়াড ক্যামেরার মাধ্যমে ৬০ ফ্রেম রেট ৪ কে রেজুলেশনের ভিডিও ক্যাপচার করা যাবে। তবে এই ফোনটিতে আগের হুয়াওয়ে পি ৪০ এর মতন গুগল প্লে সার্ভিস নেই। যা একটি নেতিবাচক দিক বলা যেতে পারে।
৬. হুয়াওয়ে মেট ৩০প্রো – Huawei Mate 30Pro:
বিশ্বসেরা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের আর একটি ফো্ন সেটি হল হুয়াওয়ে মেট ৩০প্রো। ফোনটি রিলিজ হওয়ার পর ফটোগ্রাফি ক্ষেত্রে ডিএক্স ও মার্কে সর্ব্বোচ্চ রেটিং অর্জন করেছিল। এই ফোনটিতে যা থাকছে কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা এফ১.৬ অ্যাপচারের একটি ৪০ মেগাপিক্সেলের সুপার সেন্সিং লেন্স, এফ ২.৪ অ্যাপাচারের একটি ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফোটো লেন্স, এফ ১.৮ অ্যাপাচারের একটি ৪০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স, এবং একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সিং লেন্স। সেল্ফি তোলার জন্য ফোনটির সামনে রয়েছে একটি ৩২ মেগাপিক্সেলের লেন্স এবং একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সিং লেন্স। ফোনটিতে থাকছে আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল শ্ট, আল্ট্রা ওয়াইড নাইস শট, র্পোটইট শট, ও বোকেহ ইফেক্টের সুবিধা। এর সাধারনত সেকেন্ড লং এক্সপোজার নাইট মোড ব্যবহার করে কম আলোতে ভালো ছবি তোলা সম্ভব।
৭. ওয়ান প্লাস ৮প্রো – One Plus 8Pro:
বিশ্বসেরা তালিকায় ক্যামেরা ভালো মানের ফোনের দিক দিয়ে ৭ম স্থানে রয়েছে এই ওয়ান প্লাস ৮প্রো ফোনটি। এটিতে আছে কোয়াড ক্যামেরা সেপআপ। ফোনটিতে আছে এফ ১.৮ অ্যাপাচারের একটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং একটি ৫ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সিং লেন্স রয়েছে। আর সামনে থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেলের অনেক ভালো মানের সেল্ফি ক্যামেরা।। এই ফোন দিয়ে দিনের আলোতে বেশি ভালো ফোটো তোলা যাবে। নাইটস্কোপ ৩.০০ মোড ব্যাবহারে করে রাতের বেলাতেও উজ্জ্বল এবং হাই ডিটেইলস ফোটো পাওয়া যাবে।
৮. শাওমি মি ১০ ৫জি – Xiaomi Mi 10 5G:
শাওমি ফোন মূলত আমাদের বাংলাদেশে এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই কোম্পানির এই ফোনটি সাধারনত বিশ্বসেরা ফোনের ক্যামেরার তালিকায় ৮ম স্থান রয়েছে। এক কথায় এটি কম দামের মধ্যে অনেক ভালো মানের ছবি তোরার একটি ফোন বলা যায়। এই ফো্নটিকে বেস্ট ভ্যালু ফর মানি ফ্লাগশিপের ফোন। এটিতেও কোয়াড ক্যমেরা সেটআপ করা আছে। এতে থাকছে এফ ১.৭ অ্যাপাচারের একটি ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্স, এফ ২.৪ অ্যাপাচারের একটি ১৩ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়াইড লেন্স, একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স এবং একটি ডেপথ লেন্স। এছাড়াও ফোনটিতে আরও থাকছে ২০ মেগাপিক্সেলের সেল্ফি ক্যামেরা এই ফোন দিয়ে আলোতে সাধারনত দূর্দান্ত শর্ট নেওয়া যাবে। ফোনটির ক্যামেরা প্রট্রেট মোড ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব সুন্দর ভাবে ফোকাস করতে পারে। এই ফোনে থাকছে সনি আইএমএক্স ৬৮৬ সেন্সর।
৯. গুগল পিক্সেল ৪ এ – Google Pixel 4 A:
গুগল পিক্সেল ৪এ ফোনটি সাধারনত গুগল পিক্সেল ৪ এক্সএল এর অর্ধেক দামে পাওয়া যায়। এই মিডরেঞ্জ ফোনে থাকছে ফ্ল্যাগশিপ কোয়ালিটির ক্যামেরা্। এর পিছনে রয়েছে এফ ১.৭ অ্যাপাচারের একটি ১২ মেগাপিক্সেলের লেন্স, এবং সামনে রয়েছে এফ ২ অ্যাপাচারের একটি ৮ মেগাপিক্সেলের লেন্স। গুগলের উন্নত ফটো প্রসেসিং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এর সিঙ্গেল ক্যামেরা দিয়েই দারুন সব ফটো তোলা যাবে। এটি রাতেও ভালো ফটো তোলা যাবে।
১০. সনি এক্সপ্রিয়া ১ আইআই – Sony Xperia 1 II:
বিশ্ব সেরা ফোনের তালিকায় থাকা এই ফোনটি সাধাররত ১০ম স্থানে রয়েছে। এই ফোন টি দিয়ে যে শুধু ছবি তোলা যাবে তা কিন্তু নয় আপনি যদি হাই কোয়ালিটির ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন। ফোনটির পেছনে রয়েছে একটি ডেপথ সেন্সিং লেন্স, ও তিনটি ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার লেন্স, যার একটি ওয়াইড একটি আল্ট্রা ওয়াইড টেলিফোটো। সামনে থাকেছে ৮ মেগাপিক্সেলের লেন্স ক্যামেরা। এটিও ভিডিও গ্রাফির জন্য একটি ভালো মানের একটি ফো্ন। তবে এটি দিয়ে আপনি ভালো ছবিও তুলতে পারবেন।